![]() |
---|
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অনেকের মুখেই নীতি কথা শুনেছি। তবে সেই কথা অনুযায়ী চলার চেষ্টা খুব কম মানুষ করে থাকে। তবে আমার কাছে মনে হয় যদি কোন কথা আমরা বিশ্বাস করি, তাহলে সে অনুযায়ী চলাটা অনেক বেশি প্রয়োজন। মানুষ বড়ই স্বার্থপর আপনার সাথে সম্পর্ক তৈরি করবে শুধুমাত্র স্বার্থের জন্য। স্বার্থ যেখানে শেষ সেখান থেকেই আপনাকে তারা অপমান করা শুরু করবে। শুধুমাত্র অপমান করে কখনোই তারা শান্ত হবে না। আপনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানুষের সাথে আলোচনা করবে। আপনি কখন কি করেছেন, আপনার খারাপ দিকগুলো তারা অবশ্যই তুলে ধরার চেষ্টা করবে।
তাদের স্বার্থ যখন শেষ হয়ে যাবে, তখন তারা আপনাকে কালী বিহীন কলমের মতো ছুড়ে ফেলে দেবে। তখন আপনি শুধুমাত্র ভেঙ্গে পড়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না। তাই আমার মনে হয় কিছু মানুষের কাছে নিজের মনের অনুভূতির প্রকাশ করার আগে, অবশ্যই একটু হুঁশিয়ার হয়ে কথা বলা উচিত। কারণ বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে মানুষ কথা বলতে গেলেও দ্বিতীয়বার চিন্তা করে। মানুষ এতটাই সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে গেছে। যে কোন জিনিস ভিডিও করে ফেসবুক কিংবা ইউটিউব এর মধ্যে আপলোড করে দেয়। যার কারণে কিন্তু আপনার মান সম্মান আপনার ক্যারিয়ার সবকিছুই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
![]() |
---|
![]() |
---|
বিশ্বাস করুন শুধুমাত্র আপনার কাজের ক্ষেত্রে, তবে এতটাও বিশ্বাস করে নিজের মনের অনুভূতি প্রকাশ করতে যাবেন না। তা না হলে পরবর্তীতে কিন্তু আপনি নিজেই তাদের কাছে ধরা খেয়ে যাবেন, কারণ আমি বর্তমান সময়ে এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি, কখন কি বলেছে সেটা আমার মনে নেই। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে আমাকে যতটুকু পারছে, আমার আপন মানুষগুলো অপমান করার চেষ্টা করছে। আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখাতে অনেক বেশি আনন্দিত। প্রথম অবস্থায় সকালের কাজ গুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম।
আমার কবুতরের ডিম গুলো নষ্ট হয়ে গেছে, যেটা দেখে আসলে খুব খারাপ লাগলো। এতদিন প্রত্যাশা করেছিলাম হয়তোবা ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে, কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম সব ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। গরমের কারণে নাকি সেটাও বুঝতে পারছি না। এদিকে বৃষ্টি হচ্ছে তার উপরে প্রচণ্ড গরম, হয়তোবা গরমের কারণেই এমন হচ্ছে। যাইহোক সবকিছুই আল্লাহতালার ইচ্ছা। আমরা চাইলেও সবকিছু পরিবর্তন করতে পারবো না। সকালের দিকে মন খারাপ থাকলেও তার পর রান্নাবান্নার জন্য সব কিছু রেডি করে নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
যেহেতু মেহমান আসবে তাই সবকিছু আগে থেকে রেডি করে রেখে দিয়েছিলাম। রান্নাবান্না করতে অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল। আসলে গরমের কারণে আমার অবস্থা একেবারেই খারাপ, তার উপরে জ্বর ছিল।ঐদিন বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করার কারণে জ্বর এসে গেছে। আমি হয়তোবা ভেবেছিলাম জ্বরের পরিমাণটা অনেকটাই কম। কিন্তু শরীর প্রচন্ড ব্যথা হওয়ার কারণে বুঝতে পেরেছিলাম, হয়তোবা কিছু বেশি। তবে এতটা বেশি হবে সেটা কখনো কল্পনাও করিনি। যাইহোক দুপুরের দিকে মেহমানদের কে খাবার দিয়েছিলাম। তারপর আমি এসে একটু শুয়ে পড়েছিলাম কারন আমার শরীর আর শায় দিচ্ছিল না।
এরপরেও আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে, সোজা আমি ডাক্তারের কাছে চলে গিয়েছিলাম। ডাক্তার জ্বর মেপে দেখে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর। এরপর আমাকে অনেক বকাবকি করেছিল, আমি তাড়াতাড়ি কেন ডাক্তারের কাছে যাইনি। আসলে বাড়িতে এত কাজে রেখে ওখানে যাওয়াটা সম্ভব হচ্ছিল না। যাইহোক ওখান থেকে বেশ কিছু ওষুধ দিয়েছিল সাপোজিটার দিয়েছিল, সবকিছু নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে প্রথম অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে পানি খেয়েছিলাম। কারণ দুপুরের খাবার না খাওয়ার কারণে আমার অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে গেছে।
তারপর পানি খেয়ে মোটামুটি আমি ঔষধ খেয়ে নিয়েছিলাম। ওষুধ খাওয়ার পর আমার আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। একটু পরে মাগরিবের আজান দিল। এরপর নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম তারপর মেহমান চলে যাবে, তাই তাদেরকে আবার নাস্তা দিয়েছিলাম। নাস্তা খাওয়া হয়ে গেলে তাদের গাড়ি চলে আসে তারা তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। আমি এসে শুয়ে পড়েছিলাম, খাবার না খাওয়ার কারণে শরীরের অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। তার উপরে অ্যান্টিবায়োটিক হওয়ার কারণে আরো সমস্যা হচ্ছিল। ঔষধ খাওয়ার কারণে জ্বরের পরিমাণটা অনেকটা কমে গিয়েছিল। তবে শরীর কাপা শুরু হয়েছিল কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম নিজেও জানিনা। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম।