Better Life With Steem || The Diary game || 14 Jun 2025 ||

in hive-120823 •  7 days ago 
IMG_20250614_081522_358.jpg
IMG_20250614_081520_110.jpg

একটা মানুষ প্রচুর পরিমাণে কষ্ট পাওয়ার পরে, সে যখন তার প্রিয় মানুষের কাছে তার অনুভূতি প্রকাশ করতে যায়, তার মনের কষ্ট প্রকাশ করতে যায়। তখন কিন্তু ওই মুহূর্তটা থাকে অন্যরকম, কিন্তু যখন প্রিয় মানুষটা তার কষ্টের কারণ হয়। তখন সে আর কারো কাছেই নিজের মনের অনুভূতি প্রকাশ করতে যায় না। তখন সে ধীরে ধীরে নিশ্চুপ হয়ে যায়। কিছু কিছু মানুষ তো মনের অনুভূতি প্রকাশ করা থেকে অনেকটা দূরে সরে যায়। তারা বুঝতে পারে তাদের মূল্যায়ন যেখানে শেষ হয়ে গেছে। সেখানে তাদের কোন অনুভূতির দাম কখনোই হবে না।

আমিও সেটাই মনে করি, যেখানে আমাদের গুরুত্ব নেই সেখান থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে নেওয়াটাই উত্তম। আসলে একা থাকতে পারাটা সাহসিকতার পরিচয়। যদি সঠিকভাবে একা থাকতে পারেন হয়তোবা সময়ের সাথে সাথে একটু কষ্ট হবে। তবে আপনি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারলে ভালো থাকতে পারবেন। আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম। তবে আজকের দিনটা আমার জন্য অনেক বেশি ব্যস্তময় হতে চলেছে। এটা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছিলাম।

ফ্যামিলি কিংবা বংশের বড় বউ হওয়াটা কতটা কষ্টের। সেটা যারা ফ্যামিলির বড় বউ তারা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারে। প্রতিটা দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়ে সঠিকভাবে পালন করতে হয়।আর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মাঝে মাঝে দেখা যায় নিজের ভালো থাকার কারণগুলো আমরা খুঁজে পাই না। যাইহোক সকালের সমস্ত কাজ আমি কমপ্লিট করে নিয়েছিলাম। তারপর আমাকে একটা গাড়ি ঠিক করতে হবে। তার জন্য কিছুটা সময় ব্যয় করতে হয়েছিল। গাড়ি ঠিক করতে হবে মানে আমি আমার মামা শ্বশুর বাড়িতে যাবো, আমার শ্বশুর শাশুড়ি ভাগ্নি সবাইকে নিয়ে।

IMG_20250614_081527_391.jpg
IMG_20250614_081525_324.jpg

আমার ছোট ননদের জামাই যাবে তাদের বাড়ি থেকে যাবে। ওখান থেকে তাদের আরো বেশ কিছু মেহমান আছে, তবে আমরা আগে যাব কারণ রান্নাবান্নার বিষয়টা আমার উপরে পড়েছে। এরপর একটা গাড়ি ঠিক করে সোজা চলে গেলাম তাদের বাড়িতে। ওখানে গিয়ে রান্নাঘরে ঢুকে পড়লাম। রান্নাবান্না করতে করতে অনেকটা সময় ব্যয় হয়ে গেল। আসলে মেহমান অতিরিক্ত যার কারণে রান্নাবান্না তাও একটু বেশি করেই করতে হবে। এদিকে প্রচন্ড গরমে আমার অবস্থা একেবারেই খারাপ। যেটা হয়তোবা আপনাদেরকে আর দ্বিতীয়বার বলে বোঝাতে হবে না।

যাইহোক সমস্ত রান্না শেষ হয়েছিল, এরপর আমি রান্নাঘর থেকে বের হয়ে নিজের পোশাক পরিবর্তন করে নিয়েছিলাম। কেননা অতিরিক্ত ঘামে আমার শরীর ভিজে একেবারে একাকার হয়ে গেছে। এভাবে থাকলে আমার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে, কিছুদিন আগেই জ্বর হয়েছে। এরপর মেহমানরা খেতে বসেছিল তাদেরকে সমস্ত খাবার টেবিলে দিয়ে দিয়েছিলাম। সবাই খাওয়া দাওয়া করতেছে আমি একটু ফ্যানের নিচে বসে নিজেকে একটু স্বস্তি দেয়ার চেষ্টা করছিলাম। এরপর মামী শাশুড়ির সাথে আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম।

IMG_20250614_081535_203.jpg
IMG_20250614_081533_043.jpg
IMG_20250614_081531_218.jpg

মামি শাশুড়ির কাছ থেকে পাওয়া ভালবাসা

মেহমানদের খাবার-দাবার হয়ে গেলে আমরা নিজেরাও দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। তারপর ওনাদের জন্য আবার আম মিষ্টি সবকিছু বের করে কেটে নিয়েছিলাম। এরপর সবাইকে আবার বিকেল বেলা নাস্তা দিয়েছিলাম। সবার নাস্তা খাওয়া হয়ে গেলে সবাই এবার বিদায় নেয়ার পালা, এক এক করে সবার গাড়ি চলে আসলো। সবাই যে যার মত করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল। আমিও আমাদের গাড়িওয়ালা কে কল করেছিলাম উনি চলে আসলেন। তারপর আমরা আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ওনাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে।

IMG_20250614_081528_873.jpg

বাড়িতে আসার পর সামান্য পরিমাণে কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করে শুয়ে পড়েছিলাম। আসলে সারাদিন এত পরিমানে ব্যস্ত ছিলাম, এত পরিমানে কাজ করার কারণে আমার শরীর আর শায় দিচ্ছিল না কোন কাজ করতে। আর এভাবেই আমি আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। আসলে ব্যস্ততার মধ্যে এত গরম কোন কাজ করতেও ইচ্ছে করে না। তাই আর তেমন আর কোন কাজ করা হলো না।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you for sharing quality content on Steemit
You have been supported by the team:


Curated by: @dove11

বাড়ির বড়ো বৌ হলে তার উপর অনেক দায়িত্ব অর্পিত হয়ে থাকে। এটা আমি আমার নিজের শশুর বাড়িতেও দেখেছি। আমার বড়ো জা'কে দেখতাম সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। তবে এজন্য আমার শশুর শাশুড়ি সহ সবাই তাকে অন্যরকম সন্মান দিয়েছে।
সবার জন্য কাজ করেন ঠিক আছে তবে সেটা যেন আপনার সহ্য সীমা অতিক্রম না করে। নিজের প্রতিও যত্ন নিবেন। ভালো থাকবেন সবসময়।

আসলে এই কাজগুলো করতে গেলে যেমন কষ্ট হয় তার সাথে অবশ্যই শরীরের মধ্যে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয় তার পরেও সব দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারলে অবশ্যই সবার কাছ থেকে অন্যরকম একটা সম্মান পাওয়া যায় তবে নিজের সম্মান অর্জন করতে গিয়ে যদি আমরা নিজের শরীরের দিকে খেয়াল করতে না পারি তাহলে আসলে আমাদের মত অভাগা হয়তোবা আর কেউই হয় না আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

Loading...

আসলে আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন কষ্ট এমন একটি জিনিস সেটা সবার সঙ্গে শেয়ার করা যায়না এবং যার সাথে শেয়ার করা যায় এবং সে ব্যক্তি যদি আপনাকে মূল্যায়ন না করে তাহলে আরো বেশি কষ্ট পেতে হয় তাই জন্য নিজের কষ্ট গুলোকে কাউকে না বলে নিজের ভিতরে রাখার ভালো হয় আমি যেটা মনে করি আসলে ফ্যামিলিতে বড় বউ বা ছেলে মেয়ে যেটাই হোন না কেন তাদের উপরে একটু বেশি দায়িত্ব থাকে এবং সে দায়িত্ব গুলো সঠিকভাবে পালন করতে পারলে তাকে সম্মান করা একটু বেশি হয় আসলে এই পৃথিবীতে সবার মন অর্জন করা সম্ভব না তারপরও যে বড় তাকে সমস্ত দায়িত্ব বহন করতে হয় আপনার লেখাটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

আমাদের প্রিয় মানুষগুলো যখন আমাদের কষ্টের মূল্যায়ন দেয় না তখন আমার কাছে মনে হয় তাদের কাছে প্রকাশ করার চাইতে নিজের ভেতরে রেখে একা থাকাটা অনেক বেশি ভালো একটা জিনিস মনে রাখবেন আপনি যখন মানুষের ভিড়ে থাকবেন তখন কিন্তু কষ্ট দেয়ার মত মানুষের অভাব হবে না যখন আপনি একা থাকতে শুরু করবেন তখন আপনাকে কেউ কষ্ট দিতে পারবে না।

এ পৃথিবীতে আপনি যত বেশি দায়িত্ব নিতে পারবেন তত মানুষের কাছে ভালো থাকতে পারবেন আপনি যখন অন্যের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে সেই কাজ সম্পন্ন করবেন তখন মানুষ এমনিতেই আপনাকে বাহবা দিবে এটাই বাস্তব কারণ বাস্তবে সবাই কাজ করতে চায় না সবাই চায় তাদের কাজে অন্য কেউ করে দিক। অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।