রহস্যময় পিরামিড

in hive-120823 •  9 months ago 

আসসালামালাইকুম আশা করি আপনারা সকলেই অনেক অনেক ভালো আছেন এবং আমি আপনাদের সুস্থতা কামনা করছি।

pexels-photo-4356137.jpegsource

পিরামিড আমরা অনেকেই চিনি বা জানি কিন্তু কিন্তু কতটুকু জানি এই পিরামিড সম্পর্কে। পিরামিড এর রহস্যময় খোঁজ এখন ও চলমান রয়েছে। এখনো রয়েছে এই পিরামিড রহস্য ময় ঘটনা। পিরামিড নিয়ে বা এর দৃশ্য নিয়ে অনেক মুভি ও সিনেমা তৈরি হয়েছে যা আমরা হয়তো অনেকেই দেখেছি। পিরামিড তৈরির কারন কি কেনো তৈরি করা হয়েছিল আজ সবই জানবো এই ঘটনাই।

পিরামিড কেনো তৈরি করা হয়েছিলো তা অনেকেই বলে যে সেই সময় কালে রাজাদের সমাধির জন্য এই পিরামিড তৈরি করা হয়েছিলো। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে তারা বলেছেন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক এর জন্য বা এর কারনে এই পিরামিড স্থাপিত করা হয়েছে বা নির্মাণ করা হয়েছে। পিরামিড নিয়ে এখন ও মানুষের অনেক প্রশ্ন রয়েছে। সব থেকে বড় কথা বা প্রশ্ন হচ্ছে যে পিরামিড তৈরি হয়েছে আজ থেকে ৪৭০০ বছর আগে। সেই সময় পিরামিড এর কাজ শুরু হয়।

free-photo-of-piramides-de-egipto.jpegsource

তখনকার সময় আধুনিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কার ও হয়নি তাহলে এতো বড় পিরামিড এতো বড় বড় পাথর কিভাবে নিয়ে এসেছে আর কিভাবেই বা তৈরি করেছে তা সত্যি অবাক করার বিষয়। সেই সময় কি সত্যিই ঔলোকিক কিছু ছিলো । অনেকেই বলেন যে পিরামিড এর রহস্য রয়েছে অনেক তার মূল কারন হচ্ছে এলিয়েন। তারা নাকি এই পিরামিড তৈরিতে সাহায্য করেছে। কিন্তু এলিয়েন কি সত্যিই আছে না নেই? এটা নিয়ে ও অনেক প্রশ্ন রয়েছে সবার।

পিরামিড তৈরির জন্য ছিলো হাজার ও শ্রমিক তারা বছর এর পর বছর ধরে পিরামিড এর কাজ করে যাচ্ছিলো । তখনকার সময় তাদের বানানো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিলো এই পিরামিড। পিরামিড বানানো হয়েছে নানান রকমের পাথর দিয়ে যার মধ্যে রয়েছে মার্বেল পাথর, চুনাপাথর ও আরো বিভিন্ন ধরনের পাথর দিয়ে। এগুলো ছিলো অনেক বড় বড় যার ফলে খন্ড করা হতো পাথর গুলো। পাথর গুলো খন্ড করার জন্য ব্যবহার করা হতো

pexels-photo-2402926.jpegsource

লাঙল এবং কাঠের খুটির সাহায্যে পাথর গুলো খন্ড করা হতো। পিরামিড তৈরিতে সময় লেগেছিলো প্রায় ২০ বছর এর মধ্যে কিছু পিরামিড তার আগেই তৈরি হয়েছিলো তাড়াতাড়ি হওয়া ও এরো বেশি সময় লেগেছে তা নির্ভর করেছে শ্রমিক ও আবহাওয়া মৌসুম এর উপর। পিরামিড তৈরির বিশেষ কারন হচ্ছে রাজাদের সমাধি এখানে তাদের সমাধি রাখা হতো। মৃত্যুর পর তারা তাদের কাছের মানুষ গুলোকে মমিতে রূপান্তরিত করে রাখতো। তারা এটা মনে করতো যে মৃত্যুর পর আবার ও পুনর্জনম হয়ে ফিরে আসবে।

পিরামিড এর ভিতরে অনেক রাস্তা রয়েছে যা খুবই রহস্যময় এখানে প্রবেশ করলে রাস্তা খুঁজে পাওয়া বা বের হয়ে আসার রাস্তা পাওয়া খুবই কঠিন। আমরা জানি যে পিরামিড মিসরে অবস্থিত কিন্তু আপনার কি এটা জানেন যে মিসর জাড়া ও অন্যান্য দেশে এই পিরামিড রয়েছে বা অবস্থিত আছে । মেক্সিকো, গুয়াতেমালা ও সুমের এই তিনটি দেশ এ পিরামিড পাওয়া যায়।

pexels-photo-13696943.jpegsource

আপনাদের মনে অবশ্যই প্রশ্ন আসতে পারে পিরামিড আকৃতির বেপার এ ত্রিভুজ আকৃতির মতো এর বিশেষ কারন হচ্ছে এর ধার্মিক প্রতিক। ত্রিভুজ আকৃতি তাদের কাছে ছিলো পবিত্র আকৃতি যা এই ত্রিভুজ আকৃতিকে পুঁজা করতো।

TQ.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আদিম যুগের এই পিরামিড সবার মাঝে কৌতুহল থেকেই যাবে কেননা সেই যুগে কোন আধুনিক যন্ত্র ছিল না তবুও বড় বড় পাথরগুলো কিভাবে এত কিছুই তোলা হয়েছে। তার পাশাপাশি এর যে কাঠামোটা তৈরি করা হয়েছে তা কোন ইঞ্জিনিয়ার বা টেকনিশিয়ান দ্বারা করা হয় নাই তবুও পিরামিডে ভারসাম্য সমান্তরাল যা অবাক করার মতো বিষয়।

ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি আর্টিকেল আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।

Loading...

জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে ত্রিভুজ আকৃতিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল তখনকার সময়। সেই সময় পাল্টে গেছে এখন আর ওইরকম চিন্তাভাবনা মানুষ করে না। সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।