মনের আবেগকে বেশি প্রভাব বিস্তার করতে দেওয়া উচিত নয়।

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।

প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, মনের আবেগকে বেশি প্রভাব বিস্তার করতে দেওয়া উচিত নয়। এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।

আসুন শুরু করি

source

এই পৃথিবীতে সুন্দর এবং সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকাটা অনেকাংশে নির্ভর করে মানুষের মনের উপর। মানুষের মন প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তনশীল। মন কখনো একেবারে স্থির থাকে না। মনের মধ্যে অনেক কিছুই ঘুরপাক খায়। আসলে মনকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। সময় এবং পরিস্থিতি পরিবর্তনের সাথে সাথে মন পরিবর্তন হয়ে থাকে। জীবনের অনেক কিছু মনের উপর নির্ভর করে। আমরা অনেক সময় চাইলেও মন ভালো না থাকার কারণে অনেক কাজ করতে পারি না।

আবার দেখা যায় মন ভালো থাকায় কাজ খুব দ্রুত এবং নির্ভুল হয়ে থাকে। মনের মধ্যে আমাদের আবেগ জমা হয়। অনেক সময় মনেতে অনেক বেশি আবেগ থাকে। আমরা অনেক সময় মনের আবেগের বশত অনেক কাজ করে ফেলি। যখন আমরা বেশি আবেগি হয়ে পড়ি তখন আমাদের পরিপার্শ্বিক অবস্থার উপর বিচার-বিশ্লেষণ করা বা, ভালো মন্দ যাচাই করার সম্ভব হয় না। আমরা মনকে সব সময় নিয়ন্ত্রন করতে পারি নাই। কিন্তু আমরা যদি মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তাহলে আমাদের জীবনে সফলতার চেয়ে ব্যর্থতা পরিমাণ বেশি হবে।

তাই মনের আবেগকে অতি উৎসাহিত করতে দেওয়া উচিত নয়। মনকে সবসময় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানুষ সৃষ্টিশীল ও চিন্তাশীল প্রাণি। আমাদের মন হচ্ছে উড়ন্ত পাখি মতোন কখন গাছের ডালে বসে আবার কখন উড়ে যায় তার কোন ঠিক নেই। মানুষ তার চাহিদা গুলোকে যদি কমিয়ে দেয় এবং বেশি আবেগী না হয় তাহলে মনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আবেগী না হয়ে যে কোন কাজ করার সময় ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াটাই উত্তম। অতিরিক্ত আবেগের কোনো ভালো দিক নেই।

অতিরিক্ত আবেগ আমাদেরকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। অতিরিক্ত আবেগের ফলে এক সময় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। মানুষের মনে আবেগ থাকা ভালো। তবে যে কোন বিষয় অতিরিক্ত আবেগ থাকা একে বারে ভালো নয়। আবেগ অনেক সময় আমাদেরকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। তাই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হলে অতি আবেগ বাদ দিতে হবে আমাদের। ‌আবেগকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় আবার একই সাথে করাও যায় না।

আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে কোনো পরিস্থিতিকে আবেগ দিয়ে বিবেচনা না করে যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজন সচেতনতা। যে কোন পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলে রাখতে হবে আবেগি হওয়া যাবে না । মনের আবেগকে বেশি প্রভাব বিস্তার করতে দেওয়া উচিত নয়। মনের আবেগকে বেশি প্রভাব বিস্তার করতে দিলে তা নিজের মঙ্গলের চেয়ে অমঙ্গল বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।

অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।

আমার পরিচিতি

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।