হ য ব র ল জীবনের গল্প | আমার চাকরির জীবনের অভিজ্ঞতা (৪র্থ পর্ব)

in hive-129948 •  5 months ago 
আমার চাকরির জীবনের অভিজ্ঞতা

man-597178_1920.jpg

Source

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি সুস্থ আছি। গত পর্বে আমি আমার চাকরি জীবনের সংক্ষিপ্ত কিছু বর্ণনা তুলে ধরেছি এবং সবকিছুই মোটামুটি একটু বেশি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি। চাকুরী জীবনে অভিজ্ঞতা হয়েছে অনেক কিছুই তবে সেই অভিজ্ঞতা গুলোকে যদি আমি কাজে লাগে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে সেসব অভিজ্ঞতায় অনেক বড় কিছু অর্জন করা সম্ভব বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। কিন্তু যখন সে সব অভিজ্ঞতাগুলোর স্মৃতিচারণ করি তখন নিজের কাছেই অনেক খারাপ লাগে, যেসব জীবনের নিজস্ব কোন স্বাধীনতা নেই।

একজন মানুষ যখন চাকরি করে তখন তার কাঁধে অনেক বড় একটি দায়িত্ব থাকে। তার পরিবারের দায়িত্ব তার বাবা-মাকে দেখার দায়িত্ব। সে যদি বিয়ে শাদী করে তাহলে তার সকল দায়িত্ব তার কাঁধে থাকে। এমত অবস্থায় চাকরি জগতে যতই সমস্যা হোক না কেন যত মানুষই আমাদের পিছিয়ে লেগে থাকুক না কেন সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। কোন একটি ভুল হলে তো আর কোন কথাই নেই। হাজারটা কথা শুনতে হবে। মাঝে মাঝে অনেকেরই ইচ্ছা করে চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্য কিছু করি কিন্তু সেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে বের হয়ে আমরা আসতে পারি না। তাই জন্য সে সবকিছু সহ্য করে হাজারো মানুষ চাকরির পথ এখনো বেছে নিয়েছে এবং চাকরি করে যাচ্ছে।

আমি যখন চাকরি করছিলাম তখন বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল জানিনা সে সব সমস্যাগুলো অন্যান্য মানুষেরা ফেস করেছে কিনা তবে আমার সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছিল আমার সময় মেলানো টা। বিশেষ করে আমি এই কমিউনিটিতেও কাজ করছি এবং আমার পড়াশুনাটাও এখনো কমপ্লিট হয়নি। আমার চাকরির সময় তো আছেই। সবমিলিয়ে সব টাইমিং গুলো একত্রে মিলানোটা আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই চ্যালেঞ্জিং বিষয়ের মধ্যেই এক বছরের খানিকটা বেশি সময় পার করেছি।

lego-2539844_1920.jpg

Source

খাতা-কলমে অফিস আওয়ার যদিও আট ঘন্টা ছিল কিন্তু সেখানে ১০ ঘণ্টার উপরেই আমাকে থাকতে হতো। বাকি ১৪ ঘণ্টায় আমাকে দৈনন্দিন সকল কাজ শেষ করতে হতো। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় হ্যাংআউট কিংবা মিটিং থাকতো সে সবকিছু ম্যানেজ করাটাও আমার জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। এমত অবস্থায় আমার দৈনন্দিন ঘুমের যে বিষয়টা রয়েছে সেটা মাঝে মধ্যেই অনেকটাই ব্যাঘাত ঘটে যেত। যার কারণে শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল যদিও কয়েক মাস পর থেকে সেটা ভালোভাবে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম এবং খানিকটা সফল হয়েছিলাম।

তবে চাকরি জীবনের যে আমি বিভিন্ন ধরনের বিষয় শিখতে পেয়েছি যেমন একটি দায়িত্ববোধ। আমার একটি দায়িত্ব ছিল এবং সেই দায়িত্ব থেকে সবকিছু আমাকে করতে হতো। এরপরে সময়ের সঠিক ব্যবহার। আমরা দৈনন্দিন জীবনে যাই করি না কেন সময়ের যদি সঠিক ব্যবহার করতে না পারি তাহলে কিন্তু কোন কাজেই সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবো না, এই বিষয়টাও ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

এমনও অনেক দিন গিয়েছে সারারাত ডিউটি করে এসে বাসায় কোনোভাবে আমার ভার্সিটির ব্যাগটা নিয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম ক্লাস কিংবা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। এতে করে যে পরিমাণে শরীরটা ক্লান্ত ছিল সেটা আসলে বলে বোঝাতে পারবো না। কিন্তু তারপরও এই সব কিছুই করেছি শুধুমাত্র আমার পরিবারের জন্য, আমার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করার জন্য। জানিনা সেটাতে কতটুকু সফলতা অর্জন করেছি। তবে আমি চেষ্টা করেছি। যখন দেখছি আমি আর কোনভাবেই পেরে উঠতে পারছিলাম না তখন এসে চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছে এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছি পরাশুনা শেষ হলে পরবর্তীতে চাকরি কিংবা অন্য কোন ব্যবসা লাইনে নিয়োজিত থাকবো। যাই হোক আজকের মত এখানে শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।

PUSS_gif.gif


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

photo_2021-06-28_11-13-39.jpg

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



বিষয়: হ য ব র ল জীবনের গল্প | আমার চাকরির জীবনের অভিজ্ঞতা (৪র্থ পর্ব)

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

পড়াশোনা আর চাকরি দুটো একসাথে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া খুব একটা সহজ কথা নয়। তার উপরে যেখানে ব্লগের অনেকটা কাজ করতে হয়।তো সর্বোপরি অনেক কিছু ম্যানেজ করা খুবই মুশকিল হয়ে যায় সেখানে ঘুমের ব্যাঘাত তো ঘটবেই। আর এই সিডিউলে বেশি দিন চললে খুব তাড়াতাড়ি শরীর নষ্ট হবে। তাই পড়াশুনো শেষের পরে চাকরি করবে বলে যে সিদ্ধান্তটা নিয়েছ সেটাই ঠিক। সব কিছু এক সাথে ভালো হওয়া মুশকিল আছে। পরিবার তো আছেই। পরিবারের জন্য করবেও। কিন্তু সবই সময় বুঝে।

আপনি ফকির গ্রুপে চাকরিরত অবস্থায় বেশ কঠিন সময় কাটিয়েছেন ভাই। চাকরি, পড়াশোনা এবং কমিউনিটির কাজ সামলানো চাট্টিখানি কথা নয়। এসবকিছু একসাথে সামলাতে যেকোনো মানুষ হিমশিম খেয়ে যাবে। তবে এই অভিজ্ঞতা গুলো পরবর্তীতে আপনার জীবনে অবশ্যই কাজে লাগবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।