পেছনের গল্প( পর্ব: ১১ )।।

in hive-129948 •  10 days ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শনিবার, ২৬ ই এপ্রিল ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000577737.jpg


কয়েকদিন ধরে ঢাকাতেও বেশ বৃষ্টি হচ্ছে। সত্যি বলতে আমার সবচাইতে পছন্দের ঋতু বর্ষা। বৃষ্টি টা আমি খুবই উপভোগ করি। কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে যদিও আগের মতো আর এটা উপভোগ একেবারেই করতে পারি না। ঐ শুধু তাকিয়ে দেখতে হয় আরর কী। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন বৃষ্টি হলেই ভিজতে শুরু করতাম। মায়ের শাসন বারণ কোন কিছুই মানতাম না। বৃষ্টি শুরু বন্ধুরা ফুটবল নিয়ে মাঠে চলে যেতাম। বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলার আনন্দ যেন কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে যারা কখনও বৃষ্টি তে ফুটবল খেলেনি তাদের এটা বলে লাভ নেই। তারা কখনোই এর মজাটা বুঝবে না বললেই চলে। ঐদিন সকাল থেকেই মেঘ ছিল আকাশে। দুপুরের পর ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। বৃষ্টি শুরু হতেই আমি বাইরে গিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম।
বৃষ্টি টা দেখলাম।


1000577733.jpg

1000577736.jpg

1000577739.jpg


এরপর রুমের ভেতরে চলে আসলাম। কারণ ততক্ষণে বৃষ্টির বেগ অনেক বেড়ে গিয়েছে। এরপর আমার পুরানো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। বেশ না বছর তিন পেছনে ফিরে গেলাম। আর স্মৃতি টা আরও ভালোভাবে জাগিয়ে তোলার জন্য পুরাতন গ‍্যালারির ছবিগুলো দেখতে শুরু করলাম। বিকেলে মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলার অভ‍্যাস সেই ছোট থেকে। তবে বয়স তখন ১৪ তখনই বড়দের দলে সুযোগ হয় প্রথমবার। তারপর থেকে বড় ভাইদের সঙ্গেই খেলতাম। তবে কয়েক বছর পরে গিয়ে মাঠে খেলোয়ার এর সংখ্যা কম হতে শুরু করে। তবে আমরা যে কয়েকজন ছিলাম তারাই খেলা শুরু করি একসঙ্গে। ২০২১ সালের কথা। তখন আমরা অল্প কয়েকজন খেলতাম। বিশেষ করে করোনার সময়ে বিকেলে মাঠে না গেলে সময় টা একেবারে কাটত না।


1000577738.jpg

1000577734.jpg

1000577735.jpg


একদিন দুপুরের পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হলো। যথারীতি সবাই বেরিয়ে পড়লাম। একে একে সবাই গিয়ে মাঠে একএিত হলাম। দুইটা দল করা হলো। শুরু হলো খেলা। টানা আড়াই থেকে তিনঘন্টা খেলেছিলাম। বৃষ্টি শুরু হলে যেন আমাদের এনার্জি লেভেল বেড়ে যেত সাথে মনের উন্মাদনা টাও। বৃষ্টি হলে মাঠে পানি জমে যায় এবং একটু পিচ্ছিল হয়ে যায় মাঠ। ঐসময় কেউই খুব বেশি জোরে দৌড়াতে পারত না। আর সেটা করতে গেলেই পড়তে হতো হা হা। তবে আরেকটা ওয়েদার ছিল যে ওয়েদারে আরও বেশি ফুটবল টা উপভোগ করা যেত। সেটা হলো পুরোপুরি মেঘলা পরিবেশ। অর্থাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগের মূহূর্তটা। ঐটা অসাধারণ একটা অনূভুতির সৃষ্টি করত।

আকাশে মেঘ পাশাপাশি বেশ বাতাস প্রবাহিত হতো। আমরা আমরা খেলতাম বেশ সুন্দর জায়গা। যার একপাশে ছিল বড় সাইজের একটা পুকুর। খেলা শেষ করে ঐ পুকুরে গোসল করে বাড়ি যেতাম। সেই দিনগুলো এখন শুধুই অতীত। এই কথাগুলো ভাবতে ভাবতে মূহূর্তের মধ্যে আমি কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম । কিছুক্ষণ পর খেয়াল করি নাহ আমি আমার বদ্ধ রুমে বসে আছি। আমি চাইলেও বড়জোর এখন এগুলো দেখে স্মৃতি টা জাগিয়ে তুলতে পারি। এর চেয়ে বেশি কিছু করা একেবারেই সম্ভব না। সময় গুলো এমনই। চোখের পলকে চলে যাবে যেটা আমরা বুঝতেই পারব না। ভালো দিনের আশায় আমরা যে দিনগুলো পেছনে ফেলে এসেছি আসলে ঐ দিনগুলোই ভালো ছিল।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.