সেমিষ্টার ফাইনাল প‍্যারা!!

একটা সময় আমার কাছে সবচাইতে আনন্দদায়ক মূহূর্ত ছিল স্কুলে ছুটির ঘন্টা। আমার মাধ্যমিক বিদ‍্যালয়ের সময়ের কথা। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পযর্ন্ত টানা ক্লাস ছিল আমাদের। দুপুরের পরের ক্লাসগুলো খুবই বিরক্ত লাগতো। একেবারেই মন বসত না। বলতে পারেন ক্লাসে বসে স‍্যারের বকবক শুনতাম। যেটা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগত। ক্লাসের জানালা দিলে স্কুলের মাঠের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। আর অপেক্ষায় থাকতাম কখন ক্লাস শেষ হবে। আর কখন সেই কাঙ্ক্ষিত ছুটির ঘন্টা বাজিয়ে দেবে। জানি ঐ বয়সে সবারই চিন্তা চেতনা আগ্রহ ঠিক ঐরকমই ছিল। এরপর যখন কলেজে উঠলাম তখন আনন্দের ধরন টা পাল্টে গেল। অর্থাৎ আমার আনন্দ হতো সেমিষ্টার ফাইনাল শেষ হলে।

সেমিষ্টার ফাইনাল শেষ হলে এখন যে আনন্দ টা অনূভব করি সেটা এককথায় অন‍্যরকম। এই সেমিষ্টার টা আমার বেশ ভালো যাওয়ার কথা ছিল। কারণ যে সাবজেক্ট গুলো ছিল সেগুলো আমার পছন্দের সাবজেক্ট। মিডটার্ম পরীক্ষায় বেশ ভালো নাম্বার পেয়েছিলাম সবগুলো তে। ঈদের পরের সপ্তাহ থেকে ছিল আমার সেমিষ্টার ফাইনাল। ভেবেছিলাম বাড়ি থেকে এসেই টানা লেখাপড়া শুরু করে দেব কিন্তু সেই গুড়ে বালি। ঈদে বাড়ি থেকে আসার পর থেকেই আমার মনটা খারাপ ছিল। সেটা কাটিয়ে যখন পড়তে বসার মতো মন তৈরি করলাম তখন আমার ছব নিয়ে পড়লাম ঝামেলায়। আমার প্লান্টে ঝামেলার জন্য মোটামুটি কয়েকদিন আমি খুবই বাজে অবস্থায় ছিলাম। যেমন সময় পাইনি। একইভাবে আমার মন মানসিকতা সবকিছুই খারাপ ছিল।

---

---

গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার রাতের কথা। না তখন প্রস্তুতি নেওয়ার আর সময় নেই। শুধুমাত্র ক্লাসের নোটগুলো বের করে একবার চোখ বুলিয়ে নিলাম। ভাবলাম কাল যা হবার হবে আমার আগামী পরীক্ষা দুইটা বেশ ভালোভাবে দেব। কিন্তু সেটা আমার অদিষ্টে ছিল না। পরের সপ্তাহে আমি আরও বড় ঝামেলায় পড়লাম। এর মাঝে আমার একটা ইন্টারভিউ কল আসলো। ঐটা নিয়েও আমি একটু বিচলিত হয়ে গেলাম। ফলাফল পরীক্ষার প্রস্তুতি একেবারে শূণ‍্যের কোঠার। ভরসা শুধু আগে যতটা পড়েছি সেটাই। গতকাল যখন পরীক্ষা টা শেষ করলাম মোটামুটি ভালো লাগছিল। কারণ ঝামেলার কারণে আমি প্রস্তুতি ঠিকঠাক নিতে পারিনি। যেখানে ভেবেছিলাম রিটেক খাবো হয়তো। কিন্তু পরীক্ষা দেওয়ার পরে অনূভুতি টা পুরোপুরি ভিন্ন।

মোটামুটি চারটা পরীক্ষায় ভালো দিয়েছি। আশাকরি আমার গড় সিজিপিএ ঠিক থাকবে। যদিও এর থেকে ভালো করতে পারোতাম যদি আমি ঐভাবে ঝামেলায় না পড়তাম। তবে ঐসব বাদ। সেমিষ্টার ফাইনাল শেষ প‍্যারা শেষ। আপাতত কয়েকদিন কিছুটা রিল‍্যাক্স করে কাটাতে পারব। পরের সেমিষ্টারের প‍্যারা শুরু হতে এখনও দেরি আছে। তবে এবার ঠিক করে সেমিষ্টারের প্রথম থেকেই লেখাপড়া করব যেন শেষে গিয়ে চাপ না হয়ে যায়। এটা ঐ পলিটেকনিক থেকেই চিন্তা করি। পরের সেমিষ্টারে ভালো করে পড়ব। কিন্তু সেই পরের সেমিষ্টার আর আসে না। এই করতে করতে ডিপ্লোমা শেষ করেছি। এখন গ্রাজুয়েশন ও এভাবেই চলছে। আমার মনে হয় সেই কাঙ্ক্ষিত পরের সেমিষ্টার আর আসবে।

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

---

আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।

---

---

---

---

---

---

---

---