চট্টগ্রাম ভ্রমণের অনুভূতি (পর্ব-২)

in hive-129948 •  2 days ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং আগের থেকে কিছুটা সুস্থ আছি। ভালো থাকার বিষয়টি হয়তো আমরা ভালো থাকা অবস্থায় গুরুত্ব দিতে পারি না, ঠিক যেমন অসুস্থ হওয়ার পরই আমরা বুঝতে পারি অসুস্থতা কতটা কঠিন। আমাদের স্বভাবজাত অভ্যাস এটা, কাছে থাকা জিনিষের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারি না কিন্তু ছুটে যাওয়ার পরই সেটার মূল্য বুঝতে পারি। বাস্তবতা হলো আমরা আজকে যেটা অনুধাবন করি কাল সেটা বেমালুম ভুলে দিয়ে গতিশীল রাখার চেষ্টা করি। যাইহোক, আজকে চট্টগ্রাম ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করবো।

সুন্দর পরিবেশে আমি প্রথমে নামাজ পরার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। ভেতরে প্রবেশ করেই মুগ্ধতা নিয়ে আগে ফ্রেশ হয়ে নিলাম তারপর নামাজের জায়গা কোথায় সেটা জেনে নিয়ে দ্বিতীয় তলায় চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে আরো বেশী মুগ্ধ হয়ে গেছি। ছোট্ট পরিসর কিন্তু সবুজে দারুণভাবে সতেজ হয়ে আছে। আসলে ইচ্ছাশক্তিই হলো বড়, আমরা চাইলে অনেক কিছুই করতে পারি, অনেক সুন্দরভাবে চারপাশটা ফুটিয়ে তুলতে পারি। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা মনে মনে অনেক কিছুই চাই কিন্তু সেই চাওয়াটাকে ইচ্ছাশক্তিতে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করি না।

IMG_20250409_130056.jpg

কিন্তু সেই পরিবেশটা ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন, নামাজের ঘরটা খুব বেশী বড় ছিলো না কিন্তু সুন্দরভাবে সবুজে সবুজে ঢাকা ছিলো। আমি ভেতরে গিয়ে নামাজ শেষ করলাম তারপর আবার সেই সবুজে ঢাকা পরিবেশে ফিরে আসলাম। যদিও সেদিন বাহিরের উষ্ণতা ছিলো অনেক বেশী উষ্ণময় কিন্তু দ্বিতীয় তলার পরিবেশটা ছিলো অনেক বেশী শীতল ও শান্ত। চারপাশটা ভালোভাবে উপভোগ করলাম, স্মৃতি স্বরূপ কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিলাম। পরিবেশ আমাদের মানসিকতার উপর দারুণ একটা প্রভাব বিস্তার করে, সেই পরিবেশে প্রবেশ সেটা আবারও উপলব্ধি করেছিলাম আমি। তারপর নিচে নেমে আসলাম কিছু খাওয়ার জন্য।

IMG_20250409_130101.jpg

IMG_20250409_130107.jpg

হালকা কিছু খেয়ে নিলাম কারণ আমার সাথে থাকা বড় ভাই সেদিন রোজা রেখেছিলেন, তাই খুব দেরী না করে দ্রুত খাবার শেষ করে নিলাম। তারপর বাহিরে এসে কিছুটা সময় হাঁটলাম আর পার্থক্য খুঁজলাম একই পরিবেশে সবুজের মাঝে কতটা শীতল ছিলো আর সবুজ ছাড়া বাহিরের পরিবেশটা কতটা ভয়ানক। খুব বেশী সময় থাকতে পারি নাই উষ্ণতায় যন্ত্রণায় দ্রুত আবার রেষ্টুরেন্ট এর ভেতর চলে যাই এবং বাস ছাড়ার আগ পর্যন্ত সেখানেই থাকি। আমরা উন্নত জীবনের খোঁজে সবুজ হতে দূরে সরে যাচ্ছি আর প্রকৃতি ধ্বংস করে নিজেদের ‍উন্নতি নিশ্চিত করছি, আফসোস প্রকৃত সত্যটা আমরা উপলব্ধি করতে পারছি না।

IMG_20250409_130114.jpg

IMG_20250409_130120.jpg

প্রকৃতি আমাদের চারপাশ শুধু সতেজ ও নিরাপদ রাখে না বরং আরামদায়ক করে তোলে। প্রকৃতির সতেজতা আছে বলেই হয়তো এখনো আমাদের সামাজিক অবস্থান ঠিক আছে। কিছু সময় পর আমরা বাসে ফিরে আসলাম তবে সেখান হতে মিষ্টি দই এবং রসমালাই কিনে নিয়েছিলাম সুন্দর পরিবেশের সতেজ মুগ্ধতা নিয়ে। যদিও দামের পরিমানটা একটু বেশী ছিলো কিন্তু তাদের ডেকোরেশন এবং সবুজে ঢাকা পরিবেশের কথা চিন্তা করে সেটা মোটেও বেশী মনে হয়নি।

তারিখঃ এপ্রিল ০৯, ২০২৫ইং।
লোকেশনঃ হাইওয়ে ইন, কুমিল্লা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আমরা নিজেদের উন্নত করতে গিয়ে সবুজ ধ্বংস করছি। আর এই উপলব্ধি এখনও আমাদের মধ্যে আসেনি। দিন দিনে এক কংক্রিটের জীবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সবুজ প্রকৃতি গড়ে তোলার জন্য সবারই সচেতন হতে হব। এবং প্রচুর গাছ লাগাতে হবে এবং যত্ন করতে হবে।