Source
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ছোট একটি গল্প শেয়ার করতে এসেছি ।আমাদের বাড়ির পাশে একটি মেয়ে পড়াশোনায় অনেক ভালো পিএসসি থেকে সব কিছুর রেজাল্ট তার প্লাস। মেয়েটি পড়াশোনায় ভালো বলে তাদের গ্রামের মানুষ তাকে অনেক ভালবাসত এবং শ্রদ্ধা করতো ।তাদের পরিবারের অবস্থা তেমন একটা ভালো ছিল না। তার বাবা দিনমজুরির কাজ করতো ।দিন মজুরির কাজ করে তাদের সংসার চলত। একদিন যদি তার বাবা বসে থাকতো তাহলে তাদের সংসার চালানো সমস্যা হয়ে যেত। মেয়েটা পড়াশোনায় ভালো বলে পড়াশোনার টাকা পয়সার জন্য যদি কোন সমস্যা হতো তাহলে গ্রামের মানুষ তাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করতো ।মেয়েটি পড়াশোনা করতে করতে একদিন ফেসবুকে একটা ছেলের সাথে পরিচয় হয় ।পরিচয় হওয়ার পর কথা বলতে বলতে তাকে ভালো লাগে। শুধু মেয়েটির না ছেলেটাও মেয়েটার সাথে কথা বলতে বলতে তাকে ভালোবেসে ফেলে।
ব্লগার @mdemaislam00 ব্লগিং ডিভাইস infinix note 11pro অনুবাদে মোছাঃ ইমা খাতুন শ্রেণী গল্প
||ছোট একটি গল্প||
ছেলেটা দেশের বাইরে থাকত ।ছেলেটা মেয়েটাকে এতই ভালোবাসছিল যে ছেলেটা দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশে চলে আসে। এবং মেয়েটাকে বিয়ে করে। মেয়েটাকে যখন বিয়ে করছিল তখন ছেলেটার পরিবার মেয়েটাকে মেনে নিচ্ছিল না। কেননা মেয়েটার পরিবারের অবস্থা তেমন একটা ভালো ছিল না ।তবুও খুব আবদার করার পর মেয়েটাকে মেনে নেয়। মেয়েটাকে পরিবারের মানুষ মেনে নিলেও মেয়েটাকে একটু দেখতে পারত না ।সব কথাতেই তাকে অপমান করতে এবং অনেক কষ্ট দিত। এভাবেই চলতে চলতে একদিন ছেলেটার মা সিদ্ধান্ত নিল যে করেই হোক মেয়েটাকে বাড়ি থেকে বের করে দিবে। এই পরিকল্পনা ছেলেটা শুনে ফেলে এবং তার মা দের সাথে অনেক ঝগড়া করে। ঝগড়া করার পর ছেলেটার মা ছেলেটার চাচাকে ডেকে এনে অনেক মারে। মারার পর ছেলেটা বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই মেয়েটার হাত ধরে। এবং একটা ঘর ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। তারা বাসা বাড়িতেই থাকে এবং মেয়েটা পড়াশোনা চালিয়ে যায়। আমরা যখন টিভিতে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা দেখে থাকি তখন হয়তো ভাবি এগুলো হয়তো সাজানো ।কিন্তু চোখে না দেখলে হয়তো বুঝতে পারতাম না মানুষ এত খারাপ হয় । স্বার্থের জন্য এত দূর যেতে পারে ।
এতদিন ছেলেটা যত টাকা পয়সা বিদেশ থেকে ইনকাম করেছিল সবকিছুই তার বাবা-মা আত্ম সাবধান করে এবং তাকে কিছুই দেয় না। তখন ছেলেটা ভাবে রিক্সা চালিয়ে সংসার চালাবে। ছেলেটা সারাদিন রিক্সা চালিয়ে যা টাকা-পয়সা হতো সেই টাকা পয়সা দিয়ে তাদের সংসার চালাত। এদিকে মেয়েটি টিউশনি করা তো এবং লেখাপড়া করত ।এভাবেই চলছে চলতে ছেলেটা ও মেয়েটা কঠোর পরিশ্রম করার পর অবশেষে তারা তাদের পরিশ্রমের ফল পেল ।মেয়েটি পড়াশোনা করতে করতে এখন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা হয়ে গিয়েছে। মেয়েটা যখন শিক্ষিকার চাকরি পেল কিছুদিন পর ছেলেটাকে আর রিক্সা চালাতে দিল না ।কিছু টাকা পয়সা দিয়ে তাকে ব্যবসা করতে বলল। এদিকে যে বাবা-মা ছেলেটাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল ।সেই বাবা-মা এখন অনেক কষ্টে আছে। বিভিন্ন ঋণ বাকির কারণে তাদের করুন অবস্থা। ছেলেটার বাবার ও ক্যান্সার হয়েছে ।ছেলেটার বাবাকে চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেক টাকা পয়সা খরচ হয়ে গিয়েছে। আসলেই কাউকে যদি কেউ কষ্ট দেয় হয়তো এই দুনিয়ার পর থেকে সবকিছু শোধ হয়ে যায় ।তাই কোন কিছু নিয়ে অহংকার করা বা কাউকে ছোট করে দেখা এটা ঠিক না ।সব সময় নিজের দিক থেকে একটু ভাবতে হবে, মনে রাখতে হবে আমার যদি এরকম অবস্থা হতো তাহলে আমার সাথে যদি এমন ব্যবহার করতো মানুষ তাহলে কেমন লাগতো। আশা করি আমার গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে কতটা ভালো লেগেছে আশা করি কমেন্টে জানাতে পারেন ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit