আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের পঞ্চম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন,ফকির বাবার কথায় এবং কাজে মিল পাওয়া যায়নি বলে,শিহাব জোর করে ৫০০ টাকা ফেরত নেয় ফকির বাবার কাছ থেকে। তো ফকির বাবার মাধ্যমে যেহেতু কোনো কাজ হয়নি,সেহেতু শিহাবের মনটা একেবারে খারাপ হয়ে যায়। এককথায় বলতে গেলে, সে সুমিকে পাওয়ার আশা একেবারেই ছেড়ে দিয়েছে। শিহাব তখন পড়াশোনার দিকে ফোকাস দেওয়ার চেষ্টা করে,কিন্তু পারে না।
আবার মাঝেমধ্যে ভাবে,বাংলাদেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যাবে। কারণ বাংলাদেশে থাকলে সে কিছুতেই সুমিকে ভুলতে পারবে না। আসলে সত্যিকারের ভালোবাসায় কষ্ট অনেক বেশি। সবমিলিয়ে শিহাব বেশ ঝামেলায় পড়ে যায়। কারণ সে তো সুমিকে একেবারেই ভুলতে পারে না এবং সুমিও তার কথায় রাজি হয় না। তো একদিন কথায় কথায় শিহাব তার এক ভাগ্নে কে সুমির ব্যাপারে সবকিছু খুলে বলে। তারপর শিহাবের ভাগ্নে শিহাবকে বলে,তাদের এলাকায় খুব ভালো একজন ফকির বাবা রয়েছে। সে নাকি রাতের বেলা গভীর ধ্যানে বসে এবং তার সামনে নাকি জ্বীন হাজির করে। সেই ফকির বাবা জ্বীনের মাধ্যমে নাকি সবকিছুই করতে পারে। ফকির বাবার কথা শুনেই শিহাবের মেজাজ খারাপ হয়ে যায় এবং শিহাব যে আগে ফকির বাবার মাধ্যমে চেষ্টা করেছিল,সেটা তার ভাগ্নে কে বলে।
তাই শিহাব আর ফকির বাবার নাম শুনতে পারে না। কিন্তু শিহাবের ভাগ্নে তবুও বলছে, তাদের এলাকার সেই ফকির বাবা নাকি আসলেই ভালো এবং অনেকে বিভিন্ন ধরনের উপকার পেয়েছে। অবশেষে শিহাবের ভাগ্নে শিহাবকে একপ্রকার জোর করলো সেই ফকির বাবার কাছে যাওয়ার জন্য। এমনকি সেই ফকির বাবাকে যত টাকা পয়সা দিতে হবে, সেটাও শিহাবের ভাগ্নে দিবে। এককথায় শিহাবের ভাগ্নে গ্যারান্টি দেয় শিহাবকে। পরবর্তীতে শিহাব তার ভাগ্নের কথায় রাজি হয়ে যায় এবং তারা সিদ্ধান্ত নেয় ফকির বাবার কাছে যাবে। শিহাবের বাসা থেকে তার ভাগ্নের এলাকায় যেতে রিকশা দিয়ে ১৫/২০ মিনিট লাগে। তো শিহাবের ভাগ্নে একদিন একাই সেই ফকির বাবার কাছে যায় এবং শিহাবের ব্যাপারে কিছু কথা খুলে বলে।
তো সেই ফকির বাবা বললো, পরের দিন সন্ধ্যার সময় শিহাবকে সাথে করে নিয়ে যেতে। তো পরের দিন শিহাব এবং তার ভাগ্নে সন্ধ্যার সময় সেই ফকির বাবার কাছে যায়। শিহাবের মুখ থেকে সবকিছু শোনার পর, ফকির বাবা তাদেরকে বাহিরে বসে একটু অপেক্ষা করতে বললো। তারপর সে ধ্যানে বসলো বেশ কিছুক্ষণের জন্য। বেশ কিছুক্ষণ পর তাদেরকে ডাকলো এবং শিহাবের হাতে তাবিজ দিয়ে বললো, শান বাধানো পুকুরের এক পাশে নেমে,সেই তাবিজটা গেঁথে দিতে হবে এবং ৩ দিনের মধ্যেই তাবিজটা গেঁথে দিতে হবে। তো এটা শুনে তো শিহাব টেনশনে পড়ে গেলো। কারণ শান বাধানো পুকুর খুঁজে বের করাটা কিছুটা ঝামেলার ব্যাপার। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ১৪.৩.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit