আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে,বিপদ আসলেই বলে আসে না। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন, আমরা যমজ দুই ছেলে গত সোমবার অর্থাৎ ডেলিভারির পর থেকেই এনআইসিইউ তে ভর্তি রয়েছে। আসলে এই কয়েকটা দিন যে কিভাবে কাটছে, সেটা বলার মতো নয়। ঘুম,খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে, আমার জীবনের সবকিছুই ওলট পালট হয়ে গিয়েছে। আসলে চোখের সামনে নিজের সন্তানদের এমন অবস্থা দেখে নিজেকে স্থির রাখাটা খুবই মুশকিল। অথচ আমাদের প্ল্যান ছিলো সন্তান দুটি পৃথিবীতে আসার পর অনেক কিছু করবো। কিন্তু ডেলিভারি সময়ের বেশ কিছুদিন আগে বাধ্য হয়ে সিজার করতে হয়েছে বলে,এই ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে।
আসলে অনেক সময় মানুষ ভাবে একরকম আর হয়ে যায় আরেক রকম। যাইহোক আমার যমজ দুই ছেলে এখন প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটালের এনআইসিইউ তে ভর্তি রয়েছে। যদিও প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটাল আমার বাসা থেকে খুব কাছে। তবুও তাদেরকে হসপিটালে রেখে বাসায় যেতে একেবারেই ইচ্ছে করে না। এরমধ্যে ২ দিন রাত ১২ টার সময় বাসায় চলে গিয়েছিলাম এবং সকাল সকাল হসপিটালে চলে এসেছিলাম। কারণ বাসাও একেবারে খালি। আমার বাসার সবাই এখন হসপিটালে রয়েছে। সবাই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে, কখন বাচ্চা দুটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে আমাদের কাছে চলে আসবে। তাছাড়া আমার ওয়াইফ তো আরও বেশি টেনশন করছে। কারণ ডেলিভারির পর একটা সন্তানকেও সে কাছে পাচ্ছে না।
এর চেয়ে কষ্ট আর কি হতে পারে। তাছাড়া আমার ওয়াইফ এর তো দীর্ঘদিন চিকিৎসা করার পর বাচ্চা হয়েছে। তাই সে আরও বেশি ভেঙে পড়েছে। এনআইসিইউ তে ঢুকে দুই বাচ্চাকে যখন ব্রেস্ট ফিডিং করাতে যায়, তখন তো সে কান্নায় একেবারে ভেঙে পড়ে। তবে আজকে আলহামদুলিল্লাহ দুই বাচ্চার অবস্থা অনেকটা ভালো। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কালকে দুপুরে দুই বাচ্চাকে এনআইসিইউ থেকে কেবিনে শিফট করবে। তারপর কেবিনে একদিন থেকে,বাসায় যাওয়ার প্ল্যান করতেছি। আপনারা সবাই বেশি বেশি দোয়া করবেন, যাতে করে আমার দুই বাচ্চা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায় এবং আমরা তাদের দু'জনকে নিয়ে ভালোভাবে বাসায় ফিরতে পারি। আজকে আর বেশিকিছু লিখতে পারছি না। কারণ মন-মানসিকতা একেবারেই ভালো নেই।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ১৯.৪.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1913612873919865146?t=qyqlMIX5zBjKl0WtEf1VBA&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1913615253826572686?t=dKj_VhThx7nhVW-cewQ8SA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে বিপদ একবার হঠাৎ আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়। আর বিপদ আসলে চারদিক থেকে আসে এটাই বাস্তবতা। বিপদ কখনো বলে আসে না । ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হঠাৎ করে বড় ধরনের বিপদে পড়লে মাথা ঠিক রাখা যায় না। যাইহোক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের জীবনে কখন কি ঘটে যায় কেউ বলতে পারে না। আর বিপদ কখনোই বলে আসে না। বিপদ কখন কার দরজা কড়া নাড়বে সেটা কেউ কখনো জানে না।মায়ের কাছে বাচ্চারা না থাকলে কতটা যে কষ্ট হয় সেটা শুধু একজন মা জানে।আজ তাদের কেবিনে দেওয়া হবে শুনে খুবই ভালো লাগলো।ভাবি ও বাবুদের জন্য দোয়া রইল। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু আজকে দুই বাচ্চাকে কেবিনে দেওয়া হয়েছে। ওদের জন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit