আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের অষ্টম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে নবম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন,ফকির বাবা শিহাবকে বলেছিল একেবারে সহজ রাস্তায় তার মনের আশা পূরণ করা সম্ভব। তো সেই পদ্ধতিটা শিহাবকে খুলে বললো এবং শিহাব ফকির বাবার কথা বিশ্বাস করলো। তো পদ্ধতিটা হচ্ছে,সেই ফকির বাবা শিহাবকে এক ধরনের ক্রিম দিবে এবং শিহাব তার মুখে ক্রিম মেখে, সন্ধ্যার আগে সুমির সামনে যেতে হবে। অর্থাৎ সুমি যেনো শিহাবের মুখের দিকে তাকায়। ব্যাস তাহলেই নাকি সুমি রাজি হয়ে যাবে।
কিন্তু শর্ত ছিলো, ফকির বাবার কাছ থেকে ক্রিম নেওয়ার ৩ দিনের মধ্যেই এটা করতে হবে। শিহাব তো আগে থেকেই জানতো সুমি কোথায় প্রাইভেট পড়ে এবং কোন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। সেই হিসেবে সবকিছু প্ল্যান করা হলো। তো শিহাব তার মুখে ক্রিম মেখে, একদিন সুমির জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করতে লাগলো। অর্থাৎ সুমি প্রাইভেট পড়া শেষ করে যে রাস্তা দিয়ে বাসায় যায়, সেই রাস্তা সহ আরও একটি রাস্তায় আমরা কয়েকজন ভাগ করে দাঁড়িয়ে থাকলাম। কিন্তু সুমির সাথে সেদিন দেখা হয়নি। কারণ সুমি সেদিন প্রাইভেট পড়তে যায়নি। তো পরের দিন শিহাব একজনের মাধ্যমে খবর নেয়, সুমি কলেজে গিয়েছে। সুমি কলেজ শেষ করে বাসায় ফিরতে ফিরতে বিকেল হয়ে যাবে। তো দুপুরের পরেই আমরা কয়েকজন দুই রাস্তায় ভাগ হয়ে সুমির জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
আর শিহাব সেদিন ফকির বাবার দেওয়া ক্রিম মুখে মেখে,সুমির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলো। শিহাবের বিশ্বাস ছিলো এবার অবশ্যই কাজ হবে। তো বিকেল হয়ে যাওয়ার পরেও সুমির দেখা আমরা পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ করে দূর থেকে দেখলাম সুমি তার বান্ধবীর সাথে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছে। কিন্তু শিহাব তখন অন্য রাস্তায় ছিলো। তো শিহাবকে ফোন দেওয়ার পর, সে দ্রুত সেখান থেকে রওনা দিলো এবং অনেক কষ্টে সুমির বাসার একেবারে সামনে চলে গেলো। তারপর শেষ পর্যন্ত সুমির দেখা শিহাব পেয়েছে। অর্থাৎ সুমি বাসায় প্রবেশ করার ঠিক আগ মুহূর্তে শিহাবের দিকে তাকিয়েছিল। যদি আর একটু দেরি হতো,তাহলে সেদিন আর সুমিকে দেখতে পেতো না শিহাব। যাইহোক সবাই সেদিন বেশ কষ্ট করেছিল। কারণ হাতে মাত্র আরেকদিন সময় ছিলো।
আর ৩ দিনের মধ্যে যদি শিহাব সুমির সাথে দেখা না করতে পারতো,তাহলে ফকির বাবার দেওয়া ক্রিমের মেয়াদ শেষ হয়ে যেতো। যাইহোক যেহেতু সেই ক্রিম মাখা অবস্থায় সুমি শিহাবের মুখের দিকে তাকিয়েছে,তাই আমরা সবাই ধরেই নিয়েছিলাম,এবার শিহাব সফল হবে। তো সেই হিসেবে শিহাবকে বললাম সাথে সাথে আমাদেরকে ট্রিট দিতে। যদিও সে বলেছিল সফল হওয়ার পর ট্রিট দিবে। কিন্তু আমরা তাকে শক্ত করে ধরার কারণে, শিহাব আমাদেরকে সেদিন সন্ধ্যার পরপরই ট্রিট দিতে বাধ্য হলো। তারপর আমরা খাওয়া দাওয়া করে যার যার বাসায় চলে গেলাম এবং শিহাব তো বাসায় গিয়ে সুমির কথা ভাবতে লাগলো। সে বারবার ভাবছে এবার সে সুমির সাথে চুটিয়ে প্রেম করবে হা হা হা। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ৫.৪.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1908152337329188947?t=WSgYAIpzinwCdj9GO-cptw&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1908153583368859800?t=3uPFA_hFkFEXi4GyoerBXQ&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1908392006205780387?t=ruW9pvLlR7ZeTqw_sAu3Yg&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1908435328085402108?t=oAfEB5k09IVeBLsKcrX3ZQ&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1908436006614737277?t=0s5T6EhymZBIo_hqcE_asg&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1908441088714547481?t=d8XoYR_QB5UKAy2kLcLy-A&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার গল্পের আগের পর্ব গুলো যদিও আমার পড়া হয়নি। তবে আজকের পর্ব পড়ে শিহাবের জন্য অনেক খারাপ লাগলো। আসলে ফকির বাবার ক্রিমে মনে হচ্ছে কাজ হবে না। তারপরেও দেখা যাক পরর্বে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আগামী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কারণ আগামী পর্ব হচ্ছে এই গল্পের শেষ পর্ব। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit