কি খাচ্ছি!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

অনেকেই হয়তো জানেন না অর্থাৎ আসলে কাউকেই সেভাবে জানাতে পারিনি। কারণ এই কয়েকদিন আমার উপর দিয়ে যেয়ে কি গিয়েছে ।বিশেষ করে শুধুমাত্র আমার উপর দিয়ে গিয়েছে বললে ভুল হবে ।আমার পরিবারের উপর দিয়ে যে কি গিয়েছে। সেটা আমি হয়তো লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করা কখনোই সম্ভব নয়। তাও আসলে ভাবলাম যে আজকে যেহেতু একটু লেখালেখি করছি কিংবা লেখা লেখি শেয়ার করছি। সে ক্ষেত্রে আসলে আপনাদের সাথে ব্যাপারগুলো একটু শেয়ার করা যাক। আসলে এই ব্যাপারগুলো এমন যে শেয়ার করলেও কোনো কষ্ট কমবে না।

যাইহোক মূল ঘটনা শুরু হয় বেশ কয়েকদিন আগে থেকে। তো আমার যেহেতু এখন পরীক্ষা চলছে। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষার আগেই একদিন আমার ছোট ভাই তার কোচিংয়ে একটি পার্টিতে একটা কেক আনে। অর্থাৎ সেটা কোচিং থেকে আনা হয় অর্থাৎ পেস্ট্রি। আর। আর সেটা কেনা হয়েছিল বনফুল থেকে এবং সেই পেস্ট্রিটি ওরা একটু দুষ্টুমি করে মুখে মাখে অর্থাৎ পেস্ট্রির ক্রিমটি। এবং এরপরে সে যথারীতি বাসায় আসে এবং বাসায় আসার সাথে সাথেই তার চোখ এতটাই ফুলে যায়। অর্থাৎ চোখ এবং চোখের নিচে যে রীতিমতো সকাল হতে হতে ওর দুটো চোখই পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

আমরা তো প্রথমে সাধারণ এলার্জি ভেবে এলার্জির ওষুধ দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা আরও বেশি রিএকশন হয়েছিলো। কারণ সেটা এলার্জি ছিলো না। যাইহোক ডাক্তারের কাছে নেওয়ার পরে ডাক্তার বিশাল শকিং একটা ব্যাপার বললো এবং সেটা হলো কেকের মধ্যে অনেক বাজে কিছু কেমিক্যাল ছিলো আর অর্থাৎ যে কেমিক্যাল মুখে লাগাতে কেমিক্যাল রিএকশন এর কারণে ওর মুখে ইনফেকশন হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ চিন্তা করুন, মুখে লাগাতে যদি মুখে ইনফেকশন হয়ে যায়। তাহলে আমরা কি খাচ্ছি?

চিন্তা করুন বনফুল আমাদের দেশের কিন্তু যথেষ্ট স্টাবলিশ একটি প্রতিষ্ঠান বলা চলে।অনেক বড় একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের পুরো বাংলাদেশের।কিন্তু সেই জায়গার খাবারের যদি এই অবস্থা হয়। তাহলে অন্যান্য জায়গার খাবার এর কি অবস্থা! ব্যাপার গুলো কিন্তু এমন যে আমরা বর্তমানে টাকা দিয়ে বিষ কিনে খাই। অর্থাৎাৎ চিন্তা করুন এটা ভাবতেও কিন্তু অবাক লাগে যে সামান্য একটু ক্রিম মুখে লাগাতে মুখে ইনফেকশন হয়ে যায়।আর তার উপরে আরো যেটা ভয়ংকর লেগেছে সেটা হলো ডাক্তার ওষুধ দেওয়ার পরে ফুলা কমে গিয়েছিলো এবং ফুলা কমার পরে যেটা শুরু হলো সেটা হলো ওর সম্পূর্ণ মুখের চামড়া উঠে গিয়েছিলো।

অর্থাৎ কি ভয়ংকর পরিস্থিতি হয়েছিল চিন্তা করতে পারেন! অর্থাৎ আমরা যে কি খাচ্ছি। অর্থাৎ আমরা যে এসব খেয়ে বেঁচে রয়েছি। সেটাই। সেটাই যেনো আমার কাছে এখন সপ্তম আশ্চর্যের মতো মনে হয়। আর তার উপরে আসলে এরপরে অর্থাৎ তার এই মুখের সমস্যা শেষ হওয়ার পরেও ঝামেলার মধ্যে ছিলাম। আর এরপরে তো আরো বড় বিপদে পরেছিলাম। যাইহোক সেটা আগামী লেখাতে শেয়ার করার চেষ্টা করবো।কারণ আজকের লেখা হয়তো একটু বড় হয়ে যাচ্ছে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।