আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
এক অসহায় মায়ের গল্প ১ম পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাইতো সব সময় চেষ্টা করি সপ্তাহে একটি করে গল্প শেয়ার করার জন্য ।আসলে গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা। মা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ। সৃষ্টিকর্তার পরেই মায়ের স্থান। আসলে পৃথিবীতে মায়ের ভালোবাসার কোন তুলনা হয় না। মা তার সন্তানকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে থাকেন। একজন মা পারে নিজের জীবনের বিনিময়ে ও সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে। তবে সন্তান বড় হলে আর মায়ের খোঁজ খবর রাখে।তারপরে মা সন্তানের জন্য সব সময় দোয়া করতে থাকে।আসলে আমরা যা কিছু করি না কেন মায়ের ঋণ কখনো শোধ করা যায় না। এমন একটা বাস্তব গল্প নিয়ে আজ এসেছি আপনাদের মাঝে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমাদের সমাজে বেশির ভাগ মায়েরা বয়স হলে অসহায় হয়ে পড়ে। যাইহোক আমাদের কয়েক বাড়ি পরে সম্পর্কে আমার জা হয়।আর ভাবির নাম হলো আছমা। আসলে আমার জায়ের তিনটা ছেলে দুটি মেয়ে। সব ছেলে মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তার বড় দুই ছেলে মেয়ের বাচ্চারা ও বড় হয়েছে। তারা দুজন ছোট ছেলের মধ্যে থাকে। ছোট ছেলেকে বিল্ডিং করে দিয়েছে তারা। সাথে ছোট ছেলেও কিছু সাহায্য করেছে। ছোট ছেলের ও দুইজন সন্তান হয়েছে। বাবা-মা ও ছোট ছেলেকে নিয়ে বেশ ভালোই চলছিল তাদের সংসার। ছোট ছেলে আবার বাড়ির পাশেই বিয়ে করেছে। এভাবে কিছু দিন যাবার পরে একদিন ছোট ছেলের সাথে কথা কাটাকাটি হলো আছমা ভাবির।
ভাবির ছেলে বলল তোমরা আমার ঘর থেকে নেমে যাও।আমি তোমাদের আর রাখব না। এদিকে মা বাবা বয়স্ক তাই কি করবে ভাবতে লাগলো বড় ছেলে। এভাবে কিছু দিন চলে গেল। একদিন আছমা ভাবি একই ঘরে আলাদা রান্না করল।আছমা ভাবির স্বামী কোন রকম কাজ করে।কিন্তু আছমা ভাবি মাঠে গিয়ে নিজের জমি গুলো করে। যদি ও তার স্বামী তেমন করতে পারে না। তাই সে বেশি করে।যাইহোক ছেলের সাথে আলাদা খেয়ে বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু একদিন ছোট ছেলে আর তাদের কে ঘরে থাকতে দেবে না।আছমা ভাবি সব টাকা পয়সা দিয়ে ঘর করেছে এখন আবার কিভাবে ঘর দেবে।
তারপর একদিন আছমা বেগমকে ঘর থেকে বের করে দিল।তারা দুই জন এখন বড় ছেলের ঘরপ থাকতে লাগলো।আর নিজেরা আলাদা থাকার জন্য টাকা জোগাড় করছে।[চলবে]
প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1915054220111155511?t=zSNiSHOdJbNWllsTIVRQow&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1915035212033167613?t=uWITUp7_SQS72Uu6KGjCBg&s=19
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1915056964402401360?t=KnxZByfgKdTema1CmQyCug&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit