ফোটোগ্রাফি পোস্ট: বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্ৰাফি ।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

🥰...এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে দীর্ঘ কয়েক মাস আগে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে ।আজকে আমি আপনাদের সাথে বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হওয়ার পর থেকে ফটোগ্রাফি যেন আমার নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। আগে এটি ছিল একধরনের হালকা শখ, আর এখন? যেন চোখের সামনে যেকোনো সুন্দর মুহূর্ত ধরা পড়লেই সেটাকে ক্যামেরাবন্দি না করে শান্তি পাই না! বিশেষ করে যখন প্রকৃতির মাঝে হাঁটি, রাস্তার ধারে হঠাৎ দেখা মেলে এক ফোঁটা শিশিরে ভেজা পাতার, কিংবা বিকেলের সোনালি রোদে ঝলমলে কোনো দৃশ্য তখন মোবাইল বের করে সেটাকে ধরে রাখা একরকম অভ্যাস হয়ে গেছে। ফোটোগ্রাফির প্রতি এই টান শুধু ঘোরাঘুরি বা ভ্রমণের জন্য নয়, বরং প্রকৃতির নিখুঁত সৌন্দর্যকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করার জন্য। গ্রামের সরল প্রকৃতি, ফুলের কোমল রঙ, গাছের পাতায় খেলা করা আলো ছায়া এসবের মধ্যেই যেন এক অন্য রকম মায়া লুকিয়ে থাকে। আমি এর আগেও বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি ! কিন্তু প্রতিবার নতুন নতুন করে অন্য রকম দৃশ্যের সৌন্দর্য ক্যামেরা বন্দী হয়।তাই আজকে বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্ৰাফি নিয়ে হাজির হয়েছি।

এটি একটি ঘাস জাতীয় ফুল।।এই ছোট্ট, কাঁটাময় ফুলটির সৌন্দর্য লিখে প্রকাশ করার মতো নয়। সূর্যের আলোতে এর সূক্ষ্ম গঠনগুলো যেন সোনালি রঙের ছোট ছোট মুকুটের মতো ঝলমল করে। সবুজ ডাঁটার মধ্যে এ ফুলের উপস্থিতি আশ্চর্যরকম প্রাণবন্ত, যেন প্রকৃতির ছেলেমানুষি খেলা। মানুষের হাতের কোমল স্পর্শে ফুলটির কোমলতা আর সূক্ষ্ম সৌন্দর্য আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। শহরের কোলাহলের বাইরে, প্রকৃতির এই সহজ অথচ মনোমুগ্ধকর সৃষ্টি যেন এক অনাবিল শান্তির প্রতীক। এই ফুলের ফটোগ্রাফী টি আমাদের মাঠ থেকে সংগ্রহ করেছি।

এটি একটি কাশফুলের মতোই ফুল। হয়তো এই ফুল টি কাশফুল শ্রেণীর একটি ফুল।কাশফুল সাধারণত বর্ষার শেষ দিকে বা শরৎকালে ফোটে।এর ফুলগুলো সাদা থেকে হালকা রূপালি রঙের হয়, আর খুবই হালকা ও তুলার মতো নরম।গাছগুলো লম্বা, সরু এবং গুচ্ছাকারে বেড়ে ওঠেনদীর ধারে, বিলের পাশে বা খোলা মাঠে কাশবন তৈরি করে দোল খায় হাওয়ায়।কাশফুল বাংলার শরৎ ঋতুর এক অনন্য প্রতীক, যা প্রকৃতিতে এক ধরনের নরম, শান্ত সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেয়।ছবিতে পেছনের সবুজ ক্ষেত এবং খোলা আকাশের সাথে হাতে ধরা কাশফুলের সমন্বয় দারুণ এক প্রকৃতির আবেগ সৃষ্টি করে।

এটি বৈশাখের মেঘলা আকাশের ফটোগ্রাফী।বৈশাখের আকাশ আজ একেবারে অন্যরকম। সকাল থেকে রোদ ঝলমলে থাকলেও, বিকেলের দিকে হঠাৎ করেই আকাশের রঙ বদলে যেতে শুরু করেছে। দূরে দূরে জমে উঠেছে গাঢ় ধূসর মেঘের স্তর। মনে হচ্ছে, প্রকৃতি যেন তার রঙিন ঢালায় ছায়ার এক নতুন পরত যোগ করেছে।হালকা বাতাস বইছে চারপাশে, ভেজা মাটির গন্ধ যেন অলক্ষ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। ক্ষেতের ধান ও ভুট্টাগাছ গুলো হেলে দুলে মৃদু সুরের মতো গাইছে অদৃশ্য কোনো গান। পাকা ভুট্টার শীষ নরম বাতাসে মাথা নুইয়ে সম্ভাষণ জানাচ্ছে।

এটি সবুজ শ্যামল ধান ক্ষেতের ফটোগ্রাফি।যেখানে দৃষ্টির শেষ সীমানা, সেখান পর্যন্ত শুধুই সবুজের বিস্তার। নরম বাতাসে দুলে ওঠে হাজারো ধানের মাথা, একসাথে যেন কোনো অদৃশ্য সুরের তালে নাচে তারা।প্রকৃতি যেন তার সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রূপ এই ধানক্ষেতের মাঝে গড়ে তুলেছে। মাটির গন্ধ, ভিজে বাতাসের ছোঁয়া আর ধানের মিষ্টি সুবাস একসাথে মিশে তৈরি করে এক মায়াময় পরিবেশ। পায়ে হেঁটে গেলে নরম ঘাসের ছোঁয়া, পাখির মিষ্টি ডাক আর দূরে গ্রামের ছোট ছোট কুঁড়েঘর এই দৃশ্যপটকে আরও জীবন্ত করে তোলে।

এটি একটি আমাদের গ্ৰামের একটি নদীর ফটোগ্রাফি।নদী যেন প্রকৃতির এক শান্ত অথচ ছন্দময় কবিতা। তার প্রতিটি ঢেউ, প্রতিটি কলকল ধ্বনি জীবনের অনন্ত গতির কথা বলে। কখনো শান্ত, কখনো বিক্ষুব্ধ নদী তার নিজের ভাষায় বলে যায় কাহিনি, বয়ে নিয়ে যায় অজস্র স্মৃতি আর স্বপ্ন।নরম বাতাসে নদীর জলে সূর্যের আলো ঝিকমিক করে ওঠে, মনে হয় যেন হাজার রঙের তারা নদীর বুকে নেমে এসেছে। সকালবেলা নদীর কুয়াশাচ্ছন্ন জলরাশি এক অপার্থিব নীরবতা ছড়িয়ে দেয়, আর সন্ধ্যাবেলায় গোধূলির লাল আলোয় নদীর শরীর জ্বলজ্বল করে ওঠে স্বর্ণালী রূপে। এই নদীর ফটোগ্রাফি টি আমাদের গ্রাম থেকে সংগ্রহ করেছি।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।