হ্যালো
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো আবারও কেন বিয়ে করতে হলো সে সম্পর্কে কিছু কথা। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
হিন্দু শাস্ত্র মতে বিবাহ হয় অগ্নিকে সাক্ষী রেখে ঢাকঢোল পিটিয়ে।বিয়ে রেজিস্ট্রার হতো না এবং কোন বাধ্যবাধকতা ছিলো না।কোন ইচ্ছে ও ছিলো না।বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করার কিন্তুু সরকার এখন বিয়ের লিগাল ডকুমেন্ট হিসেবে বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন বাধ্য করেছেন তাই করতে হলো।
আমাদের বিয়ের পুরোহিত মারা গেছেন যেহেতু পুরোহিত সাইন লাগবে তাই শনি মন্দিরের পুরোহিত কে নিয়ে এসে সাইন করে নেয়া হলো।
সকালে উঠেতেই দেখলাম মুৃষুলধারে বৃষ্টি শুরু হলো।বৃষ্টি দেখেই মনে পড়ে গেলো আমার বিয়ের দিনও ঠিক এইরকম বৃষ্টি হয়েছে সারাদিন রাত।বিয়েতে বৃষ্টি হওয়া নাকি ভালো।সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদ হয়।বৃষ্টি হচ্ছে তাতে কি বিয়ে রেজিস্ট্রার করতে তো যেতেই হবে কারণ বিয়ে রেজিষ্ট্রেশনের কাগজপত্র জমা দিতে হবে অফিসে।স্নান করে রেডি হলাম। মেয়েকে রেখে জেতে চাইলাম কিন্তুু সে বায়না ধরলো যাবে আমাদের সাথে।সবাই বলেছে তোর মা,বাবা বিয়ে করতে সেজন্য বিয়ে দেখতে যাওয়ার কৌতূহলী হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার ইচ্ছে।মেয়ে হাতমুখ ধুয়ে রেইন কোট পড়ে রেডি।
আমরাও রেডি হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে চলে গেলাম গাইবান্ধায় হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে।
হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রারের কার্যালয় বাসভবনে। আমরা গিয়ে অফিসে কিছু সময় অপেক্ষা করলাম এবং তারপর আসলেন উকিল।একটু পর অল্প বয়সী একটি মেয়ে ছোট্ট টুকটুকে একটি বাচ্চা নিয়ে হাজির।বাচ্চার বয়স চার বছর।মেয়েটি কাগজপত্র সব ঠিকঠাক করলেন লিখলেন। কাগজপত্র সব রেডি করে আমাদের সাইন নিলেন। এরপর মেয়েটি লেখালেখি করছিলো।
মেয়েটিকে দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম অবিবাহিত মেয়ে কিন্তুু বাচ্চাটি যখন মা বলে ডাকলো তখন বুঝলাম মেয়ের মা।শাখা সিদুর নেই ভাবলাম মুসলিম কিন্তুু গলায় তুলসির মালা দেখে বুঝলাম সে বিধবা।এতো অল্প বয়সে কি করে বিধবা হলো জানার খুব কৌতূহল জন্ম নিলো।প্রশ্ন করে বসলাম বাচ্চার বাবা কতোদিন আগে গত হয়েছে এবং কি হয়েছিলো।
বাচ্চার বাবা বাবা চাকুরী করতেন গোবিন্দগঞ্জে। অফিস শেষে বাড়িতে এসেছে বাইক চালিয়ে। বাড়িতে এসে মেয়ের হাতে চকলেট দিয়ে বাথরুমে গেছে স্নান করতে গিয়ে স্নান করেছে মেয়ে বাথরুমের দরজায় দাড়িয়ে ছিলো। বাবা স্নান করে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়েছে আর সাথে সাথে স্টোক করেছে। হাসপাতালের গেটে নিয়ে যাওয়ার আগেই সব শেষ। বাচ্চার হাতের চকলেট তখনো শেষ হয়নি।শুধু মেয়ে নয় ছেলেও আছে। ছেলে বড়ো মেয়ে ছোট।
এখন মেয়ে নাকি আর কাউকে স্নান করতে দিতে চায় না এবং মাকে বলে মা বাবা তো স্নান করেই মারা গেলো স্নান না করলে তো মারা যেতো না।এসব কথা শুনে বুকটা হুহু করে উঠলো আমার।খুবই খারাপ লাগলো।মেয়ে টি বিয়ে রেজিস্ট্রার লিখে সংসার চালায়।
এসব গল্প করতে করতে আমাদের বিয়ে রেজিস্ট্রারের কাজ শেষ হয়ে গেলো।আমাদেরকে দিয়ে কাগজপত্র বুঝিয়ে দিলো।
রেজিস্ট্রার অফিস থেকে বের হয়ে সোজা মিষ্টির দেকানে গিয়ে রস মুঞ্জি ও সিংগাড়া খেয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
এই ছিলো আমার আজকের আবারও বিয়ে করার গল্প। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
https://x.com/DattaShapla/status/1913265833427779825?t=rHuymvBKEAdkvDitcFjJXw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/DattaShapla/status/1913269477330018443?t=b3ilZoEPJdGp-YNavWnmJA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/DattaShapla/status/1913274836983623903?t=jKNNRQtnIuSnhFHRMcdtag&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit