ডাক্তার দেখাতেও ঘুষ!

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আজকে আপনাদের সাথে এমন একটি লেখা শেয়ার করতে এসেছি। যে লেখাটি শেয়ার করতে বলা চলে কিছুটা লজ্জা লাগছে আমার নিজের। কারণ সবসময় নিজের দেশ সম্পর্কে খারাপ কিছু লিখতে কেনো যেনো খুব খারাপ লাগে। অর্থাৎ বারবার মনে হয় যে হাজার খারাপ হলেও এটা তো আমার নিজের ই দেশ। কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপার এমন থাকে, যে ব্যাপার গুলো নিয়ে আসলে কথা না বললেই নয় এবং আমার মনে হয় আসলে আমাদের সকলের জায়গা থেকে যদি আমরা কিছুটা হলেও সচেতন হওয়ার চেষ্টা করি। তাহলে হয়তো এই ব্যাপারগুলো কিছুটা হলেও কমে যাবে।

আমরা আমাদের দেশের মোটামুটি প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখেছি যে, সেই কাজটি দ্রুত হওয়ার জন্য কিংবা সেই কাজটি বরাবর সময় এ হওয়ার জন্য আমাদের ঘুষ দিতে হয়। সেটা যে কোনো সরকারি কাজ বলি, সেটা কোনো প্রতিষ্ঠান বলে কিংবা যাই বলি না কেনো। কিন্তু গতকাল আমি এক অদ্ভুত ব্যাপার এর সম্মুখীন হয়েছি। সেটা হলো আমার ডাক্তার দেখানোর দরকার ছিলো খুব জরুরী এবং আমার সেই ডাক্তার দেখানোর জন্য ডাক্তারের কম্পাউন্ডারকে আমার ঘুষ দিতে হয়েছে।

আসলে সেদিন কিন্তু ওই ডাক্তার অবশ্যই বসতো এবং নিয়ম অনুসারেই রোগী চেকআপ করতো। অর্থাৎ এমন নয় যে, আমি আগেভাগে লাইনের জন্য টাকা দিয়েছি কিংবা কয়েকদিন আগে নেওয়ার জন্য টাকা দিয়েছি। এরকম কিছু নয়। অর্থাৎ আমি সাধারণভাবেই কিন্তু দেখাতে পারতাম। কিন্তু ওই কম্পাউন্ডার যে টাকা দিবে তাকে শুধুমাত্র সিরিয়াল দিচ্ছিলো। তা না হলে আর বাকিদের অনেক দেরিতে অর্থাৎ আরো অনেক দিন পরের সিরিয়াল দিচ্ছিলো।যেটা আমার দ্বারা নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ আমি প্রচন্ড অসুস্থ ছিলাম এবং আমার তখন সাথে সাথেই ডাক্তার দেখানোর দরকার ছিলো। আর তাই আমি আসলে বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়ে তারপরে ডাক্তার দেখিয়েছি। অর্থাৎ আমি সেই জায়গায় নিরুপায় ছিলাম। কিন্তু অনেক মানুষ দেখলাম যারা আসলে শুধুমাত্র দ্রুত দেখানোর জন্যেই তাকে ঘুষ দিচ্ছিলো। অর্থাৎ হয়তো উনারা কিছুদিন পরে দেখাতে পারতো। কিন্তু তাও তারা সেই খারাপ পথের আশ্রয় নিয়েছে। আমার মনে হয় আমরা যদি নিজেদের জায়গা থেকে কিছুটা স্ট্রং হওয়ার চেষ্টা করি। তাহলে এই ব্যাপারগুলো আর ঘটবে না।