আজ - ৫ই আশ্বিন আশ্বিন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | সোমবার | শরৎকাল |
সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে রুমে আসলাম। এবং সকালের নাস্তা করে প্রস্তুতি গ্রহণ করলাম মাকে নিয়ে হসপিটালে যাওয়ার জন্য। আমার মায়ের শরীর গত কিছুদিন যাবৎ ভালো যাচ্ছে না এবং তার এই স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে আমি খুব একটা সময় ব্যয় করতে পারছি না এই প্ল্যাটফর্মে। সকাল ১১ টায় রিকশায় করে রওনা হলাম আমি এবং মা। গুরুতর অসুস্থ আমার মা! জ্বর, ঠান্ডা থেকে শুরু করে নানান ধরনের রোগ বহন করেছেন উনি। যাইহোক, আগে থেকে মোবাইলে সিরিয়াল দিয়ে রেখেছিলাম।
প্রায় এক ঘন্টার মধ্যে আমরা সেখানে উপস্থিত হলাম। ডাক্তার আসতে দেরি তাই বাহিরে অপেক্ষা করছিলাম আমি, নিজেকে রিফ্রেশ করার জন্য। হসপিটালে গেলে দেখা মেলে হাজারো মানুষ অসুস্থতায় আক্রান্ত। তবে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাদের অনেককেই এখন পর্যন্ত সুস্থ রেখেছেন।
ডাক্তার দেখানোর পরে আমাদের এলাকায় এসে আমি কিছু ফটোগ্রাফি করি। ছোট্ট টুকরিতে করে একজন মাছ বিক্রি করছিল তার মাছগুলো দেখছিলাম কেনার জন্য এবং তারপর মাছ বিক্রেতার ফটোগ্রাফি করেছি।
আমাদের এরিয়াতে একটি হোটেলে গরম গরম জিলাপি ভাজা হচ্ছিল, আমার মা দেখে উনি খেতে চেয়েছনে এবং আমি সাথে সাথে কিনলাম হাফ-কেজি বাসার সকলের জন্য। প্রতি কেজি জিলাপি ১৪০ টাকা করে গুরের তৈরি তাই। স্পেশাল অর্ডার ব্যতীত রেগুলার জিলাপির আয়োজন করা হয় না এখানে। যাইহোক, আমরা বাসায় চলে এসেছি! বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম করলাম কিছুক্ষণ আমি।
আসরের নামাজ আদায় করলাম সময়মত! অলস বিকেলে আমি আমার মায়ের জন্য জীবনের প্রথম আজকে স্যুপ রান্না করলাম। জ্বরের রোগীদের জন্য ইহা একটা দারুণ খাবার যা আমি ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারলাম। যাইহোক, নিজে থেকে এই আয়োজন করলাম মায়ের জন্য এবং জুসের জন্য মালটা কিনে আনলাম।
যদিও মায়ের খাওয়ার প্রতি অনিহা বোধ করছিলেন বেশি। যাইহোক, বাসার মধ্যে প্রায় অনেকেই অসুস্থ! সন্ধ্যায় খাবারের জন্য তেমন কোনো আজকের আয়োজন ছিল না, তাই আমি একটু হালকা ক্ষুধা নিবারণের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে চটপটি খেলাম কাছাকাছি একটি দোকান থেকে।
এশারের নামাজ আদায় করে আমি বাসায় চলে এসেছি। বাসা দেখলাম সবাই টেলিভিশন দেখে সময় পার করছেন। মনটা আমার তেমন একটা ভালো ছিল না, সবার সাথে সময় দেওয়ার জন্য আমিও তাদের সাথে একত্রিত হয়ে টিভি দেখা আরম্ভ করলাম এবং কথাবার্তা বলতে থাকলাম। কিছুটা সময় পাওয়ার সাথে সাথে আমি steemit.com এ প্রবেশ করি এবং আমার কমিউনিটির জনবলকে সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করেছি। যাইহোক, রাত ১০.৪০ মিনিটে রাতের খাবার খেয়ে তারপর ঘুমানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করালাম আমরা।
ধন্যবাদ সবাইকে
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন! নিজের মতো করে লিখার চেষ্টা করলাম! জানিনা কতটা ভালো করে লিখতে পেরেছি? তবে যদি কোন প্রকার ভুলত্রুটি আমার পোস্টে পেয়ে থাকেন দয়া করে মন্তব্য করবেন।
অনেক সুন্দর একটি দিনলিপি উপস্থাপন করেছেন আপনি।খুবই সুন্দর হয়েছে ভাই।আপনার পোস্টে সারা দিনের খুঁটি নাটি বর্ণনা দিয়েছেন।খুব ভালো লাগলো।শেষে খাবারের ছবি গুলো আমার জিভ থেকে পানি টেনে বার করছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে স্বাগতম ভাইজান এবং আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার তরফ থেকে আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য 🙂
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই ভাইয়া অনেক সুন্দর ভাবে আপনি বেশ গুছিয়ে লিখেছেন। আপনার মা অসুস্থ দোয়া করি যেন আপনার মা সুস্থ হয়ে যায়। আপনি আপনার মার যত্ন নিন। আপনিও ভাল ভাবে থাকেন। আপনারা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আপনার দিন টি পড়ে অনেক মজা লাগলো অনেক সুন্দর ছিল আপনার প্রতি শুভকামনা রইল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই দোয়া করবেন আমার মায়ের জন্য 🙂 আপনার কাছ থেকে পাওয়া সুন্দর মন্তব্য আমার ভালো লেগেছে! সময় নিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই ❤️ আশাকরি সাথেই থাকবেন এভাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বোঝাই যাচ্ছে আপনি খুব ব্যস্ততার সাথে দিনটি পার করেছেন বিশেষ করে আপনার মাকে নিয়ে সকালে হাসপাতাল এগিয়েছেন সৃষ্টিকর্তার কাছে ফরিয়াদ জানাই আপনার মাকে যেন তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি সত্যি আনন্দিত যে আপনার কাছ থেকে সুন্দর মন্তব্য পেয়ে 🙂 আশাকরি সাথেই থাকবেন।
আপনার জন্য ভালোবাসা ❤️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit