তীব্র অসুস্থতা ও কষ্টের মধ্য দিয়ে কেটে গেল কতগুলো দিন

in hive-129948 •  5 months ago 
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।

IMG_6112.jpeg

প্রায় ৪-৫ দিন ধরে কমিউনিটির সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই। ৪-৫ দিন ধরে পোস্ট মিসিং দেখে আপনারা অনেকেই হয়তোবা ভেবেছেন মনে হয় আমার কোন প্রবলেম হয়েছে।আসলে আমি কখনো বিশেষ কারণ ছাড়া পোস্ট মিস করি না।অবশ্য আপনারা অনেকেই হয়তো ধারণা পেয়েছেন কারণ কিছুদিন আগে আমি একটি পোস্ট করেছিলাম, যে পোস্টে বলেছিলাম আমার হাসবেন্ড ফ্লু তে আক্রান্ত। হ্যাঁ বন্ধুরা, ওই ফ্লু আমাকেও ছাড়েনি।আর এই ফ্লু নরমাল ফ্লুর মতো নয়।করোনার মত ডেঞ্জেরাস।যদিও করোনা টেস্ট করা হয়নি।প্রচন্ড জ্বর, সর্দি, কাশি, বমি, মাথা ব্যাথা, খেতে না পারা, সব কিছু মিলে যেন মনে মনে হচ্ছিল আর যেন বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।তখন মনে হচ্ছিল এখনই এত কষ্ট হচ্ছে তাহলে মৃত্যুর যন্ত্রণা কতটা ভয়ংকর হবে?৩/৪ দিন কোন ভাত খেতে পারিনি।নরম খিচুড়ির মত হাসবেন্ড রান্না করে দিয়েছিল।যদিও হাসবেন্ডও পুরোপুরি ঠিক ছিল না, কিন্তু অসুস্থ শরীর নিয়েও সে আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছে।কারণ এই রোগ হলে দশ পনেরো দিনের আগে পুরোপুরি ঠিক হয় না। প্রচুর ওষুধ খেয়ে যেতে হচ্ছে। একবার প্যারাসিটামল খেলে তার চার ঘণ্টা পর আইব্রোপ্রোফেন, আবার ৪ ঘন্টা পর প্যারাসিটাম।এভাবে বারবার এত ওষুধ খেতে হচ্ছে তা আর বলে বোঝাতে পারবো না।একবার ওষুধ মিস হলেই কাঁপিয়ে জ্বর চলে আসে।আমি সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছি কাশি নিয়ে।প্রচণ্ড কাঁশি, এত কাশি হয়েছে যে গলা বসে গিয়েছে ভালোভাবে কথা বলতে পারছিনা। কথা বললে কথা স্পষ্ট হচ্ছে না।আর গতকাল সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা হয়েছিল হঠাৎ করে কানে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়ে গিয়েছিল।এরপর ডক্টর এর কাছে গিয়েছিলাম। ডক্টর বলল প্রচন্ড কাঁশির কারণে কানে এমন ব্যাথা হয়েছে।তাহলে চিন্তা করুন কতগুলো প্রবলেমের মধ্যে চলছি আমি।

আর এ সময়ে বাচ্চাদেরকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে হাসব্যান্ড।কারণ এখন হাসব্যান্ডকে রান্না বান্না সহ ঘরের যাবতীয় কাজ করতে হচ্ছে।ঘুমানোর সময়, বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার সময় চুল বাঁধা নিয়েও প্রবলেমে পড়তে হয়েছিল তার বাবাকে।কারণ এর আগে সে কখনও এই কাজ করেনি। তাই স্কুলে যাওয়ার সময় আমাকেই রেডি করে দিতে হয়েছিল।যদিও আমি ছিলাম একেবারে বেডে পড়া।আর বাচ্চারা আমার কুকিং ছাড়া অন্যের কুকিং খেতে পারেনা।এমনকি তার বাবার রান্নাও খেতে মজা পায়না কারণ তারা আমার রান্না খেয়েই অভ্যস্ত।এ ছাড়াও রেস্টুরেন্ট থেকে, আমার ভাসুরের বাসা থেকেও তরকারি রান্না করে পাঠাচ্ছে কিন্তু প্রবলেম হলো বাচ্চারা খেতে পারেনা।তাই আজকে শরীরের একটু উন্নতি দেখে হাসব্যান্ড সবকিছু কেটে কুটে রেডি করে দিয়েছে কুকিং করার জন্য, কারণ বাচ্চারা খেতে পারছেনা।তাই আমিও আজ কষ্ট করে কুকিং করে ফেললাম।এখনও ওষুধ চলছে, বাদ দিলেই জ্বর চলে আসে।কিন্তু এখন সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে কাঁশি? আর কানের ব্যাথা। অসহ্য কষ্ট সইতে হচ্ছে। জানিনা আর কতদিন এই কষ্ট সইতে হবে। প্রবলেম হলো এ দেশে সর্দি জ্বর হলে সহজে কোন ওষুধ দেয়না। শুধু প্যারাসিটামল খেতে বলে।এটি কিন্তু নরমাল ফ্লুর মতো নয়, করোনার মতোই ভিন্ন ধরনের একটি ভ্যারিয়েনট যা হলে শরীরকে একেবারে দূর্বল করে দেয় ,আর একবার হলে সহজেই শরীর ভালো হয় না। অনেকেরই এখন এমন হচ্ছে।যাইহোক সকলেই দোয়া করবেন দ্রুত যেন এই রোগ থেকে মুক্তি পাই।

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রচন্ড ব্যস্ততা থাকার কারণে আমি নিজেও ব্লগে নিয়মিত আসতে পারিনি তাই আপনাদের পোস্ট কয়েক দিন ধরে মিসিং সে কথা আমি জানতাম না। কিন্তু আজ পড়ে বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠলো। দীর্ঘদিন প্রবাসী হওয়ার কারণে আমি খুব ভালোভাবেই জানি যে বাড়ির গৃহিনী অসুস্থ হয়ে গেলে সেই বাড়ির অবস্থা কি হয়। আপনি যেখানে একটা সামলে উঠেছেন আপনার অসুস্থতা এটাই আনন্দের খবর। এধরনের ফ্লুয়ের পরে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায় আপু। আপনি নিজেরও খেয়াল রাখবেন পরিবারের সাথে সাথে।

৪-৫ দিন ধরে পোস্ট মিসিং দেখে আপনারা অনেকেই হয়তোবা ভেবেছেন মনে হয় আমার কোন প্রবলেম হয়েছে।

কালকে রাতেও আমার ওয়াইফকে বলছিলাম, হয়তোবা আপুর কোনো সমস্যা হয়েছে, তাই পোস্ট করতে পারছে না। একবার ভেবেছিলাম ডিএম করে জিজ্ঞেস করবো,কিন্তু পরবর্তীতে আর করা হয়নি। যাইহোক আপনি এতো অসুস্থ ছিলেন, জেনে খুব খারাপ লাগলো আপু। আমাদের ভাইয়ার উপর সবমিলিয়ে প্রচুর চাপ গিয়েছে তাহলে। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আপু। অনেক অনেক দোয়া রইলো আপনার পুরো পরিবারের জন্য।

এতো অসুস্থ আপনি তাইতো ব্লগ শেয়ার করতে পারেন নি।আপনার দ্রত সুস্থতা কমনা করছি। এই ফ্লু তো দেখছি মারাত্মক।শরীরকে নিস্তেজ করে দিয়ে যায়। বেশী বেশী লিকুইড খাবার খাবেন আপু।শরীরকে দুর্বল হতে দেয়া যাবে না।মেয়েদের জন্য কষ্ট হলেও রান্না করলেন।তারপরে ও নিজের খেয়াল রাখবেন আশাকরি।আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাকে সুস্থ করে দিবেন ইনশা আল্লাহ।