শুভ রাত্রি
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে জানাই আমার সালাম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ।
আজ শেয়ার করবো চট্রগ্রাম বাঁশখালী চা বাগান ও ইকোপার্ক ঘোরাঘুরির ২য় পর্ব। সেখানে উঁচু উঁচু পাহাড় রয়েছে আর মাটি ভাওয়াল অঞ্চলের মতো লাল। আমরা তো সেখানে গিয়ে রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম সিলেট চা বাগান দেখতে যাবো কিন্তু সময় বের করতে পারছিলাম না। সেজন্য এমন সুযোগ পেয়ে সিলেট না হোক অন্য জায়গায় তো চা বাগান দেখতে পেরেছি। এতেই খুব ভালো লেগেছে। আমরা যখন পাহাড়ি রাস্তা বেড়ে উপরের দিকে উঠছিলাম তখন খুব ভয় করছিল। কারণ রাস্তা একদম খাড়া ছিল আর তা দিয়ে উঠা খুবই কষ্টকর। আমার ছেলে তো খুব আনন্দ পেয়েছে।
প্রথমবার চা পাতা দেখে খুব ভালো লেগেছে। তাছাড়া সেখানে বেশ সুন্দর ফুল গাছ রয়েছে আর চা ফুল দেখেও খুব ভালো লেগেছে। চা ফুল দেখতে একদম লেবু ফুলের মতো। এরপর সেখানে লজ্জাবতী গাছের অভাব নেই। যেহেতু সকাল বেলা গিয়েছি তারজন্য রোদের তাপ ও খুব ছিল। এমন সুন্দর জায়গায় বিকালে ঘুরতে গেলে বেশি ভালো হতো। কিন্তু আমাদের হাতে সময় ছিল না বলে সকালে যেতে হয়েছে।
যেদিকে তাকাই শুধু সবুজ আর সবুজ। বিশেষ করে চা বাগানের মাঝখানে বড় বড় গাছগুলো দেখতে বেশি ভালো লেগেছে। বিশাল এলাকা জুড়ে এই চা বাগান। চা পাতা দেখতে অনেকটা গন্ধরাজ ফুলের পাতার মতো। আমরা যেখানে প্রায় অনেকটা সময় কাটিয়েছি। আমরা আসার সময় বেশ কিছু চা পাতা নিয়ে এসেছিলাম। এমন সুন্দর জায়গায় সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে। আমার ছেলে তো খালি জায়গা পেয়ে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছে। বাচ্চারা সবসময়ই ঘোরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করে।
আমরা যখন চলে আসবো সেই সময় দেখতে পেলাম জিপগাড়ি দিয়ে কিছু লোক সেখানে যাচ্ছে। এরপর আমাদের দেখে তারা বললো আপনারা তাড়াতাড়ি এই স্থান ত্যাগ করেন। কারণ এখানে বুনো হাতির দল আসে আর তাদের সামনে পড়লে রক্ষা নেই। এই কথা শুনে ভয় পেয়ে গেলাম আর সেজন্য দেরি না করে তাড়াতাড়ি নিচে নেমে আসলাম। তবে একটা জিনিস ভালো লেগেছে সেখানকার মানুষজন খুবই ভালো। তাদের ব্যবহার খুব ভালো।
কারণ সেখানে আশেপাশে কোনো হোটেল নেই তারজন্য যারা সেখানে ঘুরতে যায় সবাই ঐসব মানুষের বাড়িতে ফ্রেশ হতে যায়। প্রতিটা বাড়ির মহিলারা খুবই আন্তরিক। এরপর মেইন রাস্তায় আমাদের গাড়ি দাঁড়ানো আর সেখানে আসতে গিয়ে আবারও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। কারণ সেখানে কোন ধরনের যানবাহন চলে না। এরপর কিছুদূর আসার পর একটা ছোট অটো রিকশা পেলাম আর কোনো রকম গাড়ির কাছে চলে আসলাম। এভাবেই সেদিন চা বাগান ঘোরাঘুরি শেষ হলো।
যাই হোক পরবর্তী পর্বে ইকো পার্কে ঘোরাঘুরির বাকি অংশ নিয়ে আসবো। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে। ❤️
পোস্টের বিবরণ
ডিভাইসের নাম | vivo y16 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @tanjima |
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
লোকেশন | চট্রগ্রাম বাঁশখালী |
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power



Comment link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@tanjima, আপনার puss ব্যালান্স লো হয়ে গিয়েছে। ডিপোজিট করুন, নাহলে ভোট মিস যাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit