দেখুন এই সমাজে বেঁচে থাকতে গেলে এমন কিছু নির্মম সত্য-সম্মুখীন হতে হয় যেগুলো হয়তো আমরা কোনদিনও কখনও আগে ফেস করিনি। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে সামনের পথে পা বাড়াতে হয়। আবার কলেজ জীবনে এমন অনেক কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে যেগুলো থেকে আমি অনেক ধরনের শিক্ষা পেয়েছি, তার মধ্যে আজকে একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
আমি যখন প্রথম কলেজে উঠলাম কিংবা প্রাইভেট একটি পলিটেকনিকে যখন পড়ছিলাম তখন আমি কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি পার্ট টাইম চাকরি করতাম। সেখানে অনেক নামিদামি কিংবা বড়লোকের ছেলেরাও পড়াশোনা করতো। তারা সবসময় বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ডের কাপড় থেকে শুরু করে নতুন নতুন iphone কিংবা বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র এসে ক্লাসের মধ্যে শো অফ করত। তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেত, বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পার্টি করত। কিন্তু সেসব জায়গায় আমাকে নিতো না। কারণ আমি ছোটখাটো চাকরি করতাম বলে। এমনটা নয় যে আমার এবিলিটি ছিল না কিংবা আমার ইচ্ছে শক্তি কিংবা আর্থিক অবস্থা কোনটাই কমতি ছিল না। কিন্তু তারপরও তারা একটু আমাকে ছোট নজরে দেখত। তবে সব বন্ধুর কথাই বলছি না বিশেষ কিছু বন্ধুদের কথাই বলছি।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় পিকনিকে যেত, কলেজ শেষে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আড্ডা দিত, কিন্তু আমি কোথাও যাইনি কিংবা কখনো তারা আমাকে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেনি। তবে আমি এসব কিছুতে কখনোই মন খারাপ করিনি। আমি শুধুমাত্র আমি কাজ করে গেছি এবং আমি আমার স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতদূর পর্যন্ত সফল হতে পেরেছি তবে অন্যান্য বন্ধুদের তুলনায় আমিও কম ভালো অবস্থানে নেই মোটামুটি আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি এবং পরিবারকে নিয়ে সুখে শান্তিতেই রয়েছে।
সফলতা কিভাবে ব্যর্থতা কখনোই চিরস্থায়ী হয় না। এটা ক্ষণস্থায়ী জীবন এবং সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী তাই আপনি যাই করেন না কেন আপনার থেকে নিচু শ্রেণীর মানুষ যারা রয়েছে, যাদের আর্থিক অবস্থা একটু দুর্বল তাদেরকে কখনো খারাপ চোখে দেখবেন না। কারণ তারাও একদিন বড় হতে পারে তারাও একদিন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। এই বিষয়টা কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয় বলে আমি মনে করি। যাই হোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি।