ABB Contest-57 || আমার ঘুড়ি বানানোর দক্ষতা // ফিঙে রাজা ঘুড়ি।

in hive-129948 •  last year 
আমার বাংলা ব্লগ:- প্রতিযোগিতা-৫৭
বিষয় :- " ঘুড়ি তৈরি"


আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাইকে জানায় আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশাকরি সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকে আমি আমার বাংলা ব্লগ:- প্রতিযোগিতা-৫৭ অংশগ্রহণ করতে চলেছি। ধন্যবাদ জানাই আরিফ ভাইকে যিনি এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতা দিয়েছেন। এছাড়াও ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের ফাউন্ডার, কো ফাউন্ডার, এবং এডমিন ও মডারেটরদের। তিনারা চমৎকার একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। আমার বাংলা ব্লগ মানেই সব সময় নতুন কিছু আয়োজন। সেই সুবাদে এবারের প্রতিযোগিতার বিষয় হল:- শেয়ার করো তোমার ঘুড়ি বানানোর দক্ষতা। এটি নিঃস্নদেহে চমৎকার একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে ।


প্রচন্ড গরম পড়ছে। প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই গরমের মধ্যে ঘুড়ি বানানোর কাজটা এত সহজ ছিল না আমার জন্য। এই ঘুড়িটি বানাতে আমার সময় লেগেছে দুই দিন। আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অবস্থায় থেকে ঘুড়িটি বানিয়েছি শুধুমাত্র গরমের কারণে। একটা সময় ছিল সকাল বেলায় একটা ঘুড়ি বানিয়েছি, আবার বিকেল বেলাতে একটি ঘুড়ি বানিয়েছে। সেই সময় ঘুড়ি খেলার প্রতিযোগিতা হতো। কার ঘুড়িটা সব থেকে বেশি উপরে ওঠে এই নিয়ে প্রতিযোগিতা। অবশ্যই এই প্রতিযোগিতায় যে ফার্স্ট হত তার জন্য বেশ মোটা অংকের একটি পুরস্কারও থাকতো। আগে সেই সোনালী দিন গুলো হারিয়ে গেছে। ঘুড়ি বানানোর পরে ছাওয়ার জন্য যে রঙিন কাগজ লাগে সেই কাগজটা আমি সারা ইউনিয়নের দোকান ঘুরে পায়নি। প্রতি দোকানদারের একই কথা এখনকার ছেলেরা তো আর ঘুড়ি উড়ায় না কাগজ এনে কি করবো। এ থেকেই বোঝা যায় আদিকালের এইসব ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলো একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। আমি চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ সুন্দর ভাবে ঘুড়িটি তৈরি করার জন্য। এই ঘুড়িটি তৈরি করার জন্য আমি যেসব উপাদান এবং যেভাবে তৈরি করেছি সেগুলো আপনাদের মাঝে ধাপে ধাপে নিম্নে তুলে ধরবো। তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ....।


🥀প্রয়োজনীয় উপকরণ।

  • বাঁশের কাবারি।
  • দাঁ ও হেঁসো।
  • মোগা সুতা।
  • আঠা।
  • সাদা কাগজ।
  • এক্রেলিক কালার।
  • ব্রাশ।
  • ব্লেড।
"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

প্রথমে ঘুড়ি বানানোর জন্য দুইটি কাবারি নিয়েছি। অবশ্য এখানে পাকা বাঁশের কাবারি আমি ব্যাবহার করেছি।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

অতিরিক্ত রোদে শুকিয়ে যাওয়ার কারণে সকালের দিকে আমি পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে রেখেছিলাম।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

এরপর বিকেলের দিকে আমি পুকুর থেকে এটি নিয়ে আসি। এবং পানি হালকা করে শুকিয়ে নিয়েছি।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

এর পরে কাবারি দুইটি দাঁ- দিয়ে কেটে সুন্দর করে তৈরি করে নিয়েছি।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

এখানে সুন্দর মতো করে চেঁছে ঠিটি বানিয়ে নিয়েছি।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

এর পরে ঠিটি তিনটি সুতা দিয়ে বেঁধে নিয়েছি। এবং এখানে অনেকটা ঘুড়ির আকৃতি ধারণ করেছে।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

এরপর মাঝখানের ঠিটিকে নিচের দিকে মাঝ বরাবর কেটে নিয়ে হেঁসো দিয়ে চেঁছে চিকন করে নিয়েছি, যাতে করে বাঁকাতে সুবিধা হয়।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

এখানে আমি ঘুড়ির সামনের ঠিটির সাথে সুতা দিয়ে বেঁধে নিয়েছি। এরপর ওই একই মাপে বিপরীত পাশে সমান মাপ নিয়ে সুতা বেঁধে নিয়েছি।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

এই ধাপে ঘুড়ির কাঠামো তৈরি করা কাজ শেষ করে নিয়েছি। এখন ঘুড়িটির ছাউনি দিতে হবে।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

এখানে আমি সাদা কাগজ ও এক্রেলিক কালার নিয়েছি। এটা মূলত কাগজকে রঙিন করার জন্য।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

এখানে আমি ছয়টি কাগজকে হালকা করে রং করে নিয়েছি। এই পর্যন্ত প্রথম দিনের কাজ শেষ করেছি।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

প্রখর গরম পড়ছে, তাই বাড়ির বাহিরে চলে যায়। রং করা কাগজ দিয়ে একপাশ থেকে ছাউনি দিতে শুরু করতে থাকি।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

একটি একটি করে রঙিন কাগজ নিয়ে আটা দিয়ে ঘুড়ির ছাউনি দিতে থাকি।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

ঘুড়ির মাঝের অংশ কাগজ দিয়ে ছাউনি করা শেষ করি এই ধাপে।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

এরপর পেছনের বাকি অংশটুকু কাগজ দিয়ে ছাউনি দিয়ে নেয়।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

এই ধাপে ঘুড়িটির ছাওনি দেওয়া শেষ। এখানে ঘুড়ির পুরো অকৃিতি তৈরি করা সম্পন্ন করছি। এটি করতে আমার বিকেল গড়িয়ে পড়ে।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

এখানে সুতার ভাজ দেওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন এখানে সমান মাপ নিতে হয় দুই দিকে। মাপে ছোট বা বড় হলে ঘুড়ি কখনোই উড়বে না, শুধু গালি মারবে।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

এখানে ঘুড়িটি তৈরি করা কাজ শেষ। অর্থাৎ তৈরি হয়ে গেলো আমার তৈরি করা ফিঙে রাজা ঘুড়ি। ঘুড়ির পিছনের অংশ ফিঙে পাখির মতো দেখায় বলে একে ফিঙে রাজা ঘুড়ি বলা হয়।


"তৈরির প্রক্রিয়া চলছে"

ঘুড়ি উড়ানোর জন্য অবশ্যই সুতা দরকার। তাই একটি খচ্চি বানিয়ে নিয়েছি। এখানে আমি মুগা সুতা ব্যাবহার করেছি। যাতে ঘুড়ি উড়ানোর সময় বাতাসে ছিড়ে না যায়।


"তৈরির প্রক্রিয়া শেষ"

পরিপূর্ণ ভাবে ঘুড়ি তৈরি করা শেষ হলে, ঘুড়ি সহ নিজের একটি সেলফি তুলেছি।


"ঘুড়ি ওড়ার সময় কয়েকটা ফটো"

যখন আমি আকাশে ঘুড়িটি উড়ায়, ওই উড়ন্ত অবস্থাই ফটোগ্রাফি করি। আর তা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Source

ভিডিওটি ক্যাপকাট দিয়ে তৈরি


পোস্টের বিবরণ:-


বিষয়প্রতিযোগিতা-৫৭।
ডিভাইজpoco M2
বিষয়ঘুড়ি তৈরি।
লোকেশনগাংনী , মেহেরপুর, বাংলাদেশ।
ফটোগ্রাফার@tuhin002


👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


1666192548913_1666192548801_1666192548599_1666192548416_1666192548270_1666192548091_1666192547839_1666192547665_1666192022150.jpg

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPxFqYAEtmnwbJrshP4Tdaov4BmxkXJqLhx2USjht6Vy2soth7e34k1TKBQ2RZ2vXNJBF8X9uKH9aLNKFV...xU6W1ggWaLoBhkXz82k34bfNqfnFypapZe2oHzEHELJzLj6msr2RorLQSivfSXJaPiBZmUdQYzewFKsaGxDCyC6yRhEDYu8mNwzeEnkjmmjmpLrQEyQZKZnCTp.png

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আপনি বেশ কয়েকদিন সময় অতিবাহিত করলেন এটা তৈরি করার জন্য। আমার কাছে মনে হয় আপনার এই পরিশ্রম বৃথা যাবে না আপনি প্রতিযোগিতায় ভালো একটা অবস্থান দখল করে নেবেন। ঘুড়ি তৈরি করার ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকাটা অত্যন্ত প্রয়োজন।

চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ ঘুড়িটা সুন্দর ভাবে তৈরি করার জন্য। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দীর্ঘ দিন পর ফিঙে রাজা ঘুড়ি দেখার সুযোগ হলো আমার।একদা আমিও এই ফিঙে রাজা ঘুড়ি তৈরি করেছিলাম। আপনি তৈরি ঘুড়িটি দেখে আমার শৈশবের ঘুড়ি বানানোর স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আপনি ফিঙে রাজা ঘুড়ি তৈরি করেছেন এবং তা আকাশের মধ্যে উড়িয়েছেন। আপনার তৈরি ঘুড়িটি দেখে মনে বেশ উড়ন্ত।

ঘুড়ির মধ্যে দেখতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ফিঙে রাজা ঘুড়িটা। শৈশবকালে এমন ঘুড়ি অনেক বানিয়েছি এবং সব সময় এটাই করতাম। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ছোটবেলার সেই সকাল বিকেল ঘুড়ি বানানো টা এখন দুই দিনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। দারুণ লাগছে ঘুড়িটা ভাই। সময় একটু বেশি লাগলেও ঘুড়িটা খুবই সুন্দর তৈরি করেছেন। ঘুড়ি উড়লেই না বোঝা যায় কত সুন্দর হয়েছে। আপনার ঘুড়ি দেখছি খুবই সুন্দর উড়ছে। আপনি যে ঘুড়ি তৈরি তে দক্ষ সেটা বোঝা গেল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

ঘুড়ি বানানোর সার্থকতা হলো উড়ার মধ্যে। ছোটবেলায় সারাদিন এই কাজই করতাম ভাই। ঘুড়ি উড়াতে খুবই ভালো লাগতো। ছোটবেলার সেই অভিজ্ঞতাটা আজকে কাজে লাগলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

  ·  last year (edited)

আপনি অনেক সুন্দর একটি ঘুড়ি তৈরি করেছেন ভাইয়া। আপনার চমৎকার এই ঘুড়ি তৈরি করা দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। পাশাপাশি আপনি ঘুড়িটা উড়ানোর ভিডিও ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভিডিওটা বেশ ভালো লাগলো। কনটেস্ট অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য। আপু কমেন্টে একটু ভুল আছে ঠিক করে নিবেন আশা করি।

ধন্যবাদ ভাইয়া, সেট স্লোর কারণে খুব বিরক্ত হয় কমেন্ট করতে

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ফিঙে রাজা ঘুড়ি দেখতে অনেক কিউট লাগতেছে। বেশ সময় নিয়ে কাজটি সম্পুর্ন করেছেন। ভিডিওটি দেখে ভালো লাগলো। সত্যি ভাই এবারের প্রতিযোগিতায় বিষয় আমার কাছেও ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

এবারে প্রতিযোগিতায় শৈশব কে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। তাই আমার কাছে এটাই হলো বেস্ট প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণ করতে পেরেছি বলে নিজের কাছে ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

প্রথমে অভিনন্দন জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। এই ঘুড়ি গ্রামাঞ্চলে অনেক দেখা যায় আকাশে উড়লে অনেক দূর ওঠে দেখতে বেশ দারুন লাগে। আপনার ঘুড়িটাও দেখছি বেশ উপরে উঠেছে। ঘুড়ি উড়ানো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল

গ্রাম অঞ্চলে ঐতিহ্য বহন করে এই ধরনের ঘুড়িগুলো। ঘুড়িটা এত উপরে উঠেছিল ভিডিও ধারণ করতেও অনেকটা সমস্যা হয়েছিল।

আপনি যেমন অনেক সুন্দর করে ঘুড়ি বানিয়েছেন, তেমনই অনেক সুন্দর করে দেখছি উড়িয়েছেন। বিষয়টা দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ছোটবেলায় এই ঘুড়ি উড়ানো নিয়ে অনেক বেশি স্মৃতি লুকিয়ে রয়েছে। ভিডিও দেখে তো মনে হচ্ছিল যেন উপরে একটা ঈগল উড়ে যাচ্ছে। অনেক বড় করে তৈরি করেছেন আপনি এটা। নিশ্চয়ই সময় লেগেছিল অনেক বেশি। আপনি এই ঘুড়িটা খুবই নিখুঁতভাবে তৈরি করেছেন। এত সুন্দর একটা ঘুড়ি তৈরি করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এজন্য ধন্যবাদ।

যথেষ্ট সময় ব্যয় করেছি এই ঘুড়িটি বানানোর পেছনে। ঘুড়িটি অনেক উপরে উঠেছিল তাই দেখতে ঈগল পাখির মত লাগছিল। তবে এটা ঠিক ঘুড়ি মানুষের শৈশব কালকে মনে করিয়ে দেয়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ভাইয়া এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন তা আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারছি। এই ধরনের ঘুড়ি ছোট বেলায় মেলায় বিক্রি করতে দেখতাম। এই সিজনে বিকাল বেলা ঘুড়ি উড়ানোর একটি সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। আপনার ঘুড়ি যখন আকাশে উড়ছে এই সুন্দর মুহূর্ত দেখে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো। ছোট একটি ভিডিওর মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে তা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর ও ইউনিক একটি ঘুড়ি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

এই প্রতিযোগিতার জন্য আমার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েছি। চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ ঘুড়িটি সুন্দর ভাবে বানানোর জন্য। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপনি তো দেখছি ঘুড়ি তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম করলেন। ঘুড়ি তো এখন গ্রামের ছেলেমেয়েরাও উড়ায় না আর দোকানদারেরা এসব জিনিস পত্র আনবে বা কেন? তারপরও আপনি শত কষ্টের মাঝেও বিভিন্ন কিছু জিনিস কালেকশন করে ঘুড়ি তৈরি করে নিলেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার ঘুড়ি তৈরি করার দক্ষতা দেখে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আমি যখনই আপনার কাছে শুনলাম আপনি এই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করবেন আমি তখন এই ভেবেছিলাম আপনি অবশ্যই ফিংগে রাজা ঘুড়িটাই তৈরি করবেন। কারণ আপনি ফিংগে রাজা ঘুড়ি অনেক পছন্দ করেন। ঘুড়িটি দেখতে বেশ চমৎকার হয়েছে ভাই। আর আপনার ভিডিও গ্রাফির মাধ্যমে দেখলাম ঘুড়িটি খুবই চমৎকারভাবে আকাশে উড়ছে দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় ভালো একটি স্থান দখল করবেন ইনশাআল্লাহ।

ফিঙ্গে রাজা ঘুনড়ি গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। বেশি যত্ন করে ঘুড়িটি বানিয়েছে। তবে দিনশেষে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে ঘুড়িটি অনেক উপরে উঠেছিল এবং আমি ভালো ভাবে উড়াতে সক্ষম হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ঘুড়ি খুব সুন্দর উড়েছে ভাই সু স্বাগতম আপনাকে।

প্রথমেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। ছোটবেলায় আমিও অনেক ঘুড়ি তৈরি করেছি। কিন্তু এখন সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে সবকিছু কেমন জানি হারিয়ে গেছে। ঘুড়ি তৈরি করা প্রতিযোগিতা আবারো আমাদের সেই দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে এবং আমরা আবারো যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী ঘুড়ি তৈরি করতে পেরেছি, এটাই সব থেকে আনন্দের ব্যাপার। আপনি ঘুড়িটি বেশ কষ্ট করে কয়েক দিন সময় নিয়ে তৈরি করেছেন, যা আপনার পোস্ট থেকে স্পষ্ট বুঝতে পারলাম। প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে পুরস্কার পাওয়াটা এটা অন্য বিষয় কিন্তু আমরা যে আনন্দটা এখান থেকে পেলাম সেটা সত্যিই অমূল্য। আপনার ঘুড়িটি আকাশে বেশ দুর্দান্ত গতিতে উড়ে চলেছে, যা দেখে সত্যিই দারুণ লাগলো। আর ভিডিওটি চমৎকার তৈরি করেছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাই চমৎকার একটি গোছালো পোস্ট আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য।

সত্যি বলতে অনেক দিন পরে ঘুড়ি বানালাম ভাই। আর অনেক দিন পরে শৈশবের সেই মধুময় স্মৃতি অনুভব করেছিলাম। চেষ্টা করেছি ঘুড়িটি পরিপূর্ণভাবে তৈরি করতে। আমার উপস্থাপন আপনার ভালো লেগেছে এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপনার ঘুড়ি বানানোর আর ঘুড়ি ওড়ানোর দক্ষতা দেখে সত্যিই খুব অবাক হয়ে গেলাম।আমার ভাইয়ারা ঘুড়ি ওড়াতো ছেলেবেলায়।সেই অনুভূতি হলো আমার আপনার ভিডিওগ্রাফিটি দেখে।প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অভিনন্দন জানাই ভাইয়া আপনাকে। আশাকরি ফলাফল বেশ ভালো হবে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎস দেওয়ার জন্য।

অতীতে এই ঘুড়িগুলো বানানোর অনেক চেষ্টা করেছি। এখন যদি সময় পেতাম তাহলেই হয়তো বা আমিও এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারতাম। যাইহোক আপনার ঘুড়ি ওড়ানো দেখে বেশ ভালো লাগলো। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই সুন্দর ফিঙে ঘুড়ি বানানোর ধরনটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।