ইডেনে রুদ্ধশ্বাস জয় কলকাতার!

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল আমাদের কলকাতা আর রাজস্থানের মধ্যে একটা আইপিএল ম্যাচ ছিল । এই ম্যাচে এমনিতেও তাদের প্লে অফে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। রাজস্থানের তো এক প্রকার বলতে গেলে একদমই নেই। তবে কলকাতা যদি এখন বাকি ৩ টা ম্যাচ জিতে যায়, তাহলে চান্স হতে পারে। কিন্তু এখানে তাদের নেট রান রেট-এ পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ মাঝে তারা যে নেট রান রেট অর্জন করেছিলো, সেটা এমন ডাউন হওয়া হয়েছে, যে এখন চাইলেও সম্ভব হবে না। আর পরের ৩ টা ম্যাচ যে জিতবে, সেটাও ধারণার বাইরে।

এই ম্যাচটা কলকাতার ইডেনে হয়েছিল। কলকাতার বেশিরভাগ ম্যাচ এই ইডেনে হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কাজে লাগাতে পারেনি। আসলে সত্যি বলতে গেলে কলকাতা টিমে ভালো প্লেয়ার থাকতেও তাদের ম্যানেজমেন্ট ঠিক নেই। যে যার মতো এসে মেরে ধরে আউট হয়ে যাচ্ছে। ইডেনের এই পিচ-এ রান করাটা সম্ভবত একটু কঠিন ছিল। এটা মোটামুটি সবাই একটু ধারণা করছিলো। তবে এটা সম্পূর্ণ বিপরীত হলো, মানে পুরো ব্যাটিং পিচ বের হলো। কলকাতা টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। হিসেবে একেবারে খারাপ করিনি, কারণ আগের ম্যাচ গুলোতে কেনো জানি পরে ব্যাটিং করে ফ্লপ করেছে।

তো যাইহোক, প্রথমে এখন তো কক এর জায়গায় আফগান প্লেয়ার গুরবাজ খেলছে। কিন্তু তার ব্যাটিং লাইন কক এর সমান ১০% পর্যন্ত হচ্ছে না। নারিন একা পাওয়ার প্লে তে যা খেলে দেয়, তাতে রান রেট অনেক হাই থাকে। কিন্তু আবার একটা বিষয় হলো, সে আউট হয়ে গেলে রান রেট ধুম করে পড়ে যায়। আসলে মেইন গতি ওখানেই, ফলে ওই মজবুত জায়গা ভেঙে গেলে সব নষ্ট হয়ে যায়। নারিন শুরু করেছিলো খারাপ না, তবে প্রথম থেকে পিচ আসলেই একটু হার্ড ছিল, বাউন্স খাচ্ছিলো খুব। নারিন উঠে উঠে কয়েকটা বাউন্ডারি মেরে আউট হয়ে যায়। ওর ওই একটাই সমস্যা যে, দেখে বা ধৈর্য ধরে খেলে না।

এরপরে রাহানে এসে কিছুটা গুরবাজ এর সঙ্গে পার্টনারশীপ গেইন করে। তবে রানের গতি প্রথম থেকে অনেক কম ছিল, এই গতিতে যে ১৫০ হবে এটাও আশা রাখেনি । আর বিশেষ করে রাসেল আজকে এইরকম জ্বলে উঠবে কে জানে, কারণ এই ১০ টা ম্যাচে তার কোনও ব্যক্তিগত রান নেই। প্রতিটা ম্যাচে খারাপ রেজাল্ট। তবে আজকে রান হাফ সেঞ্চুরি করলেও কয়েকটা ৬ মেরেছে, দেখার মতো ৬। সাথে আবার রিন্কু এসে কম বলে ভালো রান করে। রান কোথায় ছিল আর এক লাফে কোথায় চলে গেলো। ২০০ রান অর্থাৎ একটা ইমপ্রেসিভ রান ছিল। রাজস্থানের দিকে এই টার্গেট নিয়ে কলকাতার জিত অলরেডি সুনিশ্চিত করে ফেলেছিল। কারণ রাজস্থান এর রেকর্ড দেখলে আসলে এটাই ভাবনায় আসবে।

রাজস্থানের এমনিতেও উইকেট যেভাবে পড়েছিলো, তাতে এই রানের ধারে কাছে যেতে পারবে বলে মনে হয়নি। কিন্তু এখানে মীরাক্কেল ঘটেছে একটা এবং অসাধারণ ভাবে ম্যাচে ব্যালান্স নিয়ে আসে। তাদের অধিনায়ক রিয়ান পরাগ দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে, এই রানের ৮০ ভাগ সে তুলে দিয়েছে। হেরে যাওয়া ম্যাচ কিভাবে টেনে নিয়ে গিয়েছিলো, সেটা খুবই আকর্ষনীয় আর রোমাঞ্চকর মুহুর্ত ছিল। কোনো মতে রান আটকায়, মাত্র ১ টা রানের জন্য ম্যাচ জিততে পারলো না। খুবই উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচ ছিল এটা। অনেক কষ্ট করে এসেও ম্যাচ জিততে পারলো না আবার এদিকে কলকাতা হারতে হারতে কপালে টেনে দিলো।