*আসসালামু আলাইকুম!
প্রিয় স্টিমবাসী আশাকরি আলহামদুলিল্লাহ সবাই ভালো আছেন।*
আজ আপনাদেরকে আমার একটা কষ্টের দিনলিপি বর্ণনা করবো। এটা পড়লে, আপনি কিছুটা হলেও এই দেশের আমলাতান্ত্রিক জন দুর্ভোগ নিয়ে, কিছুটা হলেও ধারণা নিতে পারবেন।
চলেন,শুরু করা যাক...
আমার আজকের দিনটা শুরু হয় যথারীতি সকালে নামাজের মাধ্যমে এরপর একটু ঘুমায়। ৮টায় উঠে তাড়াহুড়া করে চলে যায়,বাস স্টেশন। গন্তব্য কক্সবাজার শহর। সাধারণত আজকে যেহেতু শেষ কর্ম দিবস তাই তাড়াহুড়া করে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হলো না।
বাংলাদেশের যে,আমলাতান্ত্রিক দুর্ভোগ তা অসহ্যের বাহিরে চলে গেছে। আমি আজকে কক্সবাজার গেলাম অনেক দিন আগে একটা আমার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার জন্য আবেদন করেছিলাম। সেটা আবেদন অনেক দিন পেন্ডিং থাকার পর সাধারণত কাট-খড় ফুড়িয়ে (বাকিটা বুঝে নিয়েন) সেটাকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার নিয়ে আসলাম।
জেলা নির্বাচন অফিসে আজ সহ দুইবার গেলেও একবারও কাজের কাজ কিছুই হলো না। সারাটা দিন তো লস, সেই সাথে টাকা,সময়,সব লস। নির্বাচন অফিসার থাকলে আমার মাত্র দুই মিনিটের কাজ। অথচ আজ অনেকদিন যাবত, কোন সুরাহা হচ্ছে না।
আমার জন্ম সালের একটা সংখ্যা পরিবর্তন করতে না পারায় আমি অনেক দিন অনেক, সমস্যায় আছি। এরকম বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষ বিপদে আছে। সাধারণত এসব কাজ একটু মনযোগী হলে ১ মাসে সব সমাধান করা সম্ভব। অথচ এই অবহেলার কারণে মানুষ কি পরিমাণ কষ্টে আছে,সেটা যদি উপর মহল বুঝতো।
গেলাম নির্বাচন অফিসে দেখি,কোন সিনিয়র অফিসার বসেনাই। যথারীতি আজকেও ফিরে আসতে হলো।
এরপর আমি আর মাইনুল ভাই বের হয়ে,পাশে একটা ভালো মানের নাস্তার দোকানে ঢুকে নাস্তা করে,আমি ঈদগাহ আর মাইনুল ভাই, আমার বড় ভাই তাকে রামুতে বিদায় দিয়ে,বিষণ্ণতা নিয়ে চলে এলাম বাসায়।
এসে যোহর আদায় করে,খেয়ে একটা ঘুম দিলাম, পরে মাগরীবের পর আমার একটা টিউশন থেকে কল দিচ্ছে যাওয়ার জন্য। এদিকে বাসায় আপুরা নাস্তা বানাচ্ছে। এগুলা খেয়ে চলে গেলাম টিউশনিতে।
এরপর এশারের নামাজ শেষে,বাসায় ফিরে,,এই কমিউনিটির জন্য লিখতে বসলাম।আমার প্রিয় কমিউনিটি। এইভাবে খুব সহসায়,আমার আজকের দিনের সমাপ্তি।
সবাই ভালো থাকবেন,দোয়া করবেন,পাশে থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
সত্যি বলতে আমি কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে চাইলে,এর জন্য ৩০ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে কক্সবাজার শহরে আসতে হয় এটা খুবই কষ্টের বিষয়। এবং এরকম নিয়মিত জার্নি করতে করতে প্রায় ক্লান্ত বলা যায়। এজন্য যাই করি,একটু পর পর নাস্তা করায় লাগে। এজন্য ঢুকলাম কক্সবাজার শহরের জন্য বিখ্যাত আল-গণিতে।
আজকে কাজ ছিলো নির্বাচন অফিসে,উপরের মূল অংশে বিস্তারিত জানাচ্ছি।
আমার প্রিয় ভাই মাইনুলের সাথে অনেক দিন পর আজকে সেলফি নিলাম। আমার প্রিয় ভাইটা আমার জন্য অনেক কষ্ট করে। আমি যখনই ডাকি আমার কাজের জন্য,উনার অফিশিয়াল কাজ রেখে চলে আসেন রামু থেকে।
আমার প্রিয় ভাইয়ের ব্যাপারে উপরের অংশে জানাচ্ছি।
আমাদের বাসার সন্ধার নাস্তা সবাই,একসাথে বাসায় করি,তারপর যে,যার কাজ করি।
আজকের বাসায় আলু ভাজি,সুজির হালুয়া,আর পরোটা ছিলো।
আমার বড় আপু, আম্মু,ছোট বোন সবাই মিলে নাস্তার কাজে একে অন্যকে সাহায্য করে,এসব তৈরি করা হয়।
আমরা যখন একসাথে বসে নাস্তা করি,তখন আমাদের মধ্যে একে অপরের প্রতি মায়া মমতা লক্ষ্য করা যায়। মান অভিমান তখন আমাদের মধ্যে লাজ করে না। আমরা কোন সমস্যা হলে, সেটা এখানে একসাথে সবাই মিলে সমাধান করতে পারি।
সবাই আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।
Your post is very well presented. The moment spent with all the family was very nice. Good luck to you. Thank you for sharing your beautiful post with us.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you for sharing the post, improve the quality of your post and stay original and avoid plagiarism.
Determination of Club Status refers to the https://steemworld.org/transfer-search Web-based Application
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
thanks a lot for report.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit