Better Life With Steem || The Diary game || 27/1/2025

in hive-120823 •  4 months ago 

হ্যালো গাইজ,,,

সবাইকে আমার পক্ষ থেকে আসসালামু আলাইকুম,,

1000153959.jpg

বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও মোটামুটি ভালো আছি। খুব সুন্দর একটা ভোরের আলো দেখতে পেয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ। যাই হোক আর দেরি না করে আবারো আপনাদের মাঝে চলে আসলাম আজকের ডাইরি গেম নিয়ে।


বেশি দেরি না করে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে যায়। ওঠে হাতমুখ ধুয়ে কিছুক্ষণ বসে ছেলেকে সকালে বিস্কুট খাইয়ে দিয়ে তারপর আমি রান্না ঘরে চলে যাই সকালের নাস্তা বানাতে।আজকে সকালে নাস্তা বানাতে একটু লেট হয়ে গেল কারণ আগে ভাজি করতে হয়েছে তারপর রুটি বানাতে হল।

1000153936.jpg

সকালের নাস্তা বানাতে এবং সবকিছু গুছিয়ে উঠতে প্রায় সাড়ে দশটার মতন বেজে গেল।এদিকে একটু তাড়াহুড়া লেগে গেল কারণ মেয়ের টিফিনের সময় সাড়ে দশটায় তাই নাস্তা হওয়াতে তাড়াতাড়ি মেয়েকে টিফিন দিয়ে আসি।

মেয়েকে টিফিন দিয়ে এসে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে একদম খিদায় অনাহার হয়ে গেছি।লিফটে করে যে তাড়াতাড়ি আসবো, তাও আসতে পারিনি। লিফটে একটু সমস্যা হয়েছিল তাই সার্ভিসিং চলছিল। যাইহোক কিছুক্ষণ পর সাহেব আর আমি দুজনে মিলে সকালে নাস্তাটা করে নিলাম। সকালে খাওয়ার পর্ব শেষ করে এবার দুপুরের রান্নার পর্ব চলে যেতে হবে।

1000153940.jpg

আজকে রান্নাবান্নার কাজটাও করতে তেমন একটা সময় লাগে নি, শর্টকাটে হয়ে গেল অল্প রান্নাতেই। এদিকে আবার রান্না বসানোর আগে সাহেবের কিছু কাপড়চোপড় বাথরুমে ভিজিয়ে রেখেছি ধর জন্য, রান্না শেষে আগে সেগুলো ধরে নিলাম । তারপর ছেলেকে গোসল করিয়ে দিলাম।

এরপরে ছেলেকে গোসল করিয়ে পরিপাটি করে রেখে তারপর আমার গোসল করাটাও সেরে নিলাম। তারপর ছেলেকে দুপুরে খাবার খাওয়াতে বসি। সারাদিনে কাজ করতে যতটা কষ্ট না লাগে ততটা কষ্ট লাগে ছেলেকে খাওয়াতে বসলে। দুইটার সময় খাওয়াতে বসলে হয়তো তিনটা সাড়ে তিনটা বেজে যায় এদিকে আমার খাবার খাওয়ার তখন রুচি থাকে না।

তারপরে কোনরকম করে ওকে খাওয়ানো শেষ করে আমি কয়টা খেতে বসি তাও পেট ভরে খেতে পারি না খাওয়ার রুচি থাকে না তখন। যাইহোক সবাই দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। আমি এদিকে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি আর মেয়ে এদিকে তার রং তুলি দিয়ে ছবি আকছে মানে পেন্টিং।

1000153947.jpg
1000153946.jpg

মেয়ে খুব বাহানা করছিল ও পেন্টিং আঁকবে তাই ওগুলো করতে যা যা লাগে ওর বাবা তা সবকিছু কিনে দিল। ওর মাদ্রাসার খালামনি মানে টিচার সে একজন আর্টিস্ট ম্যান তাই তার গুলো দেখে ওর আকার শখ হয়েছে। এদিকে আমি বিকেলে ঘুমোচ্ছিলাম আর ও আমার ফোন নিয়ে আকার ভিডিও দেখে ছবি আকছে তাও একটা ছবি আঁকতে গেলে তিন ঘন্টার মতন সময় লেগে যায়।

1000153953.jpg

আর এদিকে তো ছেলে ওর রং তুলি নেওয়ার জন্য খুব কান্না করছে আর এদিকে মেয়ে দেবে না এ কারণে ছেলে আমার হাতে অনেক মারও খেয়েছে। এরপর কোনরকম বুঝিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম।

ঘুমের ভিতর বিকালটা পার হয়ে গেলে সন্ধ্যা হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ঘুম থেকে উঠে পড়ি। সন্ধ্যা হওয়ার কিছুক্ষণ পর ছেলেকে একটা ডিম পোচ করে দিলাম ও খেতে বসল আর আমি এদিকে পোস্ট লিখতে বসি। যাই হোক এরকম করে আজকের দিনের মুহূর্ত এবং সন্ধ্যার মুহূর্ত গুলো পার করি। এভাবে করে আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন পার হয়ে গেল।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

Avengers_Allies_Team._2.png

Thanh you

আপনার দিনযাপনের প্রতিটি মুহূর্ত খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এক মা হিসেবে আপনার সারা দিনের পরিশ্রম এবং ত্যাগ সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। বিশেষ করে সকালে নাস্তা তৈরি থেকে শুরু করে ছেলেকে খাওয়ানো ও মেয়ের পেন্টিংয়ের শখ পূরণের জন্য আপনার যত্নশীল মনোভাব বেশ অনুপ্রেরণাদায়ক।

ছোটদের সঙ্গে সময় কাটানোর এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই একদিন জীবনের সবচেয়ে বড় সুখময় স্মৃতি হয়ে থাকবে। মেয়ের পেন্টিং শেখার প্রতি আগ্রহ এবং আপনার সহযোগিতামূলক মনোভাব তার সৃজনশীলতাকে আরও বাড়াবে বলে মনে করি।

আপনার পোস্টটি বেশ প্রাণবন্ত এবং আন্তরিক ছিল। আশা করি, ভবিষ্যতেও এভাবে আপনার সুন্দর দিনগুলোর গল্প আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। শুভকামনা রইল আপনার ও পরিবারের জন্য। আল্লাহ আপনার দিনগুলো আরও সহজ এবং সুখময় করুন।