Edited By Canva |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
বন্ধুরা, আপনারা কেমন আছেন? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আজকেও আমি আপনাদের সঙ্গে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করব।বিষয়: ২ মে — আজকের দিনটাও খুব সুন্দরভাবে অতিবাহিত করি, আলহামদুলিল্লাহ।
প্রতি দিনের মতো সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে উঠি। ঘুম থেকে উঠে ঘড়িতে দেখি সাড়ে আটটা বাজে। তাই দেরি না করে ফ্রেশ হলাম। যেহেতু আজ শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম, তাই কিছুক্ষণ পর সকালের খাবার খেলাম।
আজকের সকালের খাবার হিসেবে ছিল গরুর মাংসের তরকারি, সাথে লাল শাক ভাজি এবং ভেন্ডি ভর্তা। আলহামদুলিল্লাহ, আজকের খাবারটা অনেক ভালো ছিল। খাবার শেষে আমি এবং আমার ওয়াইফ বারান্দায় গিয়ে বসি।
এমন সময় রাস্তার পাশ দিয়ে বরফ বিক্রেতা যাচ্ছিলেন। তখন আমি বরফ কিনে সবাইকে দিলাম — ওয়াইফ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন সবাই মিলে বরফ খেলাম। প্রতি পিস মাত্র ৫ টাকা ছিল।
কিছুক্ষণ পর চাচা শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন আসলো। চাচা শ্বশুর জানালেন, তাদের ছেলের ঘরে নাতি হয়েছে, তাই আমাদের ওখানে যেতে বললেন। সেই উপলক্ষে একটি ছাগলও কেনা হয়েছে।
তখন আমি, আমার ওয়াইফ, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং দাদি শাশুড়ি সবাই মিলে রওনা হলাম চাচা শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে। পথে বাজার থেকে মিষ্টি নিয়ে যাই চাচা শুশুর বাড়িতে । ওখানে পৌঁছে দেখি দশটা বাজে। যেহেতু আজ শুক্রবার, তাই ফ্রেশ হয়ে প্রস্তুত হই জুমার নামাজের জন্য।
ঘড়িতে এগারোটা বাজলে আমরা সম্বন্ধীর শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিই। সেখানে পৌঁছে দেখি সাড়ে এগারোটা। তখন প্রচুর গরম ছিল, তাই ফ্রেশ হয়ে এসে ফ্যানের নিচে বসে বাতাস উপভোগ করি।
বিছানায় বসে আমি, আমার চাচাতো শালিকা এবং তার ভাগ্নি সবাই মিলে হাতের ছবি তুলি, যা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
এরপর খাবার পরিবেশন করা হয়। খাওয়া শেষে জুমার নামাজ পড়ার জন্য আমি মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হই। যেহেতু মসজিদ দূরে, তাই ঠিকানা নিয়ে রওনা দিই এবং ঠিক একটার দিকে মসজিদে পৌঁছি। হুজুরের বয়ান শুনে, পরে দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করি।
নামাজ শেষে আবার সম্বন্ধীর শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসি। ওখানে দেখি আমার ওয়াইফ এবং শালিকারা বাদাম খাচ্ছে। আমাকেও খেতে বলল, আমি খাই এবং একটি ছবি তুলে রাখি।ছবি তুলে কিছু সময়
পরে আমি এবং আমার এক বিয়াই ঘুরতে বের হই। পাশের বাড়ির সামনে একটি অজানা গাছে ফুল ফুটেছে, তার একটি ছবি তুলে রাখি ও আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। ফুলটা আমি চিনি না, যদি আপনারা চিনে থাকেন, তাহলে মন্তব্যে জানাবেন।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে রান্না শেষ হয়। দুপুরে খাসির মাংস ছিল — আলহামদুলিল্লাহ — সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দারুণ লেগেছে। খাওয়া শেষে কেউ ৫০০ টাকা, কেউ ১০০০ টাকা দিল আমার সম্বন্ধীর যে বাচ্চা জন্মেছে ।যাইহোক সকলের কার্যক্রম শেষে
বিকেল পাঁচটার দিকে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে রওনা দিলাম। কিছুটা হেঁটে গিয়ে গাড়ি ধরতে হল। পথে কিছু ফুল দেখে ওয়াইফ বললো ছবি তুলতে।
তাই আমার ওয়াইফকে ফুলের পাশে দাঁড় করিয়ে ছবি তুললাম এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
এরপর গাড়ি পেয়ে রওনা দিলাম। পথে পড়লো সালদা বাজার। সেই বাজারের কিছু দৃশ্য দেখে ভালো লাগলো, তাই একটি ছবি তুলে রাখি।
প্রায় ৪০ মিনিট পর সম্বন্ধীর বাড়িতে পৌঁছাই। ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ পরে বাজারে যাই। বাজারে রাত ৮টা পর্যন্ত গল্প, আড্ডা করি। পরে আবার সম্বন্ধীদের বাড়িতে ফিরে এসে রাতের খাবার খাই।রাতের খাবার খেয়ে রাত ১১টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি।
এটাই ছিল আমার ওই দিনের সকল কার্যক্রম। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
যেহেতু শ্বশুরবাড়িতে রয়েছেন তাই দিনের শুরুটা একটু অন্যরকম ভাবেই হবে এটাই স্বাভাবিক তবে আপনার চাচা শ্বশুরের নাতি হয়ে ছেড়ে জানতে পেরে ভালো লাগলো তার আগামী দিনের পথ চলা অনেক বেশি সুন্দর হোক এটাই কামনা করে সৃষ্টিকর্তার কাছে ওখানে গিয়ে সবার সাথে আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন জানতে পেরে আরো বেশি ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit