![]() |
---|
যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন তারা বেশিরভাগই বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন করে থাকেন।এর মধ্যে কিছু কিছু গ্রুপ আছে পরামর্শ বা ধর্মীয় রীতি-নীতি সম্পর্কে শিক্ষা দানের বা পরামর্শ দানের।আমি এমনই একটি গ্রুপে জয়েন আছি। অনেকদিন থেকেই লক্ষ্য করছি সেখানে একটি বিষয় নিয়ে খুব বেশি পরামর্শ চাওয়া হয়ে থাকে আর তা হলো তাদের স্বামী বা স্ত্রী পরকীয়ায় আক্রান্ত।
অভিযোগের হার তুলনা করলে নারীর পরকীয়ার তুলনায় পুরুষের পরকীয়ায় জড়িতের হার বহু গুনে বেশি।স্বামীর পরকীয়া জনিত কারণে বেশিরভাগ নারী ই সন্তানের জন্য বা বিভিন্ন কারণে স্বামী- সংসার ছাড়তে চায় না।বারবার একটি কথা জানতে চায়।কি আমল করলে বা কি দোয়া পড়লে তাদের স্বামী পরকীয়া থেকে ফিরে আসবে।মাঝে মাঝে মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে এসব জীবন কাহিনী পড়লে।
![]() |
---|
বেশ কিছুদিন আগে আমি এক দিনলিপিতে বলেছিলাম আমার বান্ধবী সাবিনার কথা।যার স্বামীও পরকীয়ায় লিপ্ত।সাবিনা আর ওর স্বামীর প্রেমের বিয়ে ছিল।সাবিনার সাথে সম্পর্কের আগে তার অন্য এক মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল।বর্তমানে সেই প্রেম আবার জাগ্রত হয়েছে।তাই সাবিনা আর দুটি বাচ্চাকে স্বামীর আর ভালো লাগছে না।জীবনের এই মধ্য বয়সে সাবিনা কোনোভাবেই বুঝতে পারছে না তার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত কি হবে।সে নানান চেষ্টা করছে কিন্তু নিজের সীমাবদ্ধতার বাঁধা অতিক্রম করতে পারছে না।
আরেকটি দল আছে যারা সরাসরি পরকীয়া করতে পারছে না।তারাও পরকীয়ার এপাশ ওপাশ ঘুরে বেড়াচ্ছে।মোবাইলে ইমো, মেসেঞ্জার চ্যাটিং সহ বিভিন্নভাবে ডেটিং চালিয়ে যাচ্ছে।এক বিবাহিতা নারীর গল্প বলছি।তার স্বামী তার প্রতি সমস্ত দায়িত্ব পালন করে এবং বলে যে সে তাকেই ভালোবাসে।অনলাইনে মেয়েদের সাথে চ্যাটিং করতে তার ভালো লাগে।
![]() |
---|
এটাতে সে বেশ রোমাঞ্চকর অনুভূতি পায়।সে শুধু মজা হিসেবে এখানে সময় কাটায়।স্ত্রীকে বারবার ওয়াদা করে সে পুরোপুরি স্ত্রীর প্রতি নিবেদিত।স্ত্রীকে কখনো ছাড়বে না।কারো সাথে সরাসরি কোন সম্পর্কে জড়াবে না।আবার অনলাইনের এই কার্যক্রম গুলোও সে ছাড়বে না।ভেবে বলুন তো এমন পুরুষকে কি বলা যায়?
তবে শুধু মুদ্রার এক পিঠ নয় আরেক পিঠে নারীরাও পরকীয়ায় কম জড়িত নয়।সোনার সংসার, নিষ্পাপ কচি মুখের সন্তান,মা-বাবার সম্মান,নিজের আত্মসম্মান কোন কিছুই নারীকে গৃহে ঠেকাতে পারছে না।এগুলোর জন্য আসলে দায়ী কি? দায়ী কে?
আসলে এগুলোর কারণ ও ব্যাখ্যার কোন শেষ নেই।আমি নিজে কোনো বিশেষজ্ঞ নই যে সঠিক মতামত দিতে পারব।তবে যারা এগুলো নিয়ে কাজ করে,গবেষণা করে তারা নিরন্তর তাদের কাজ করে যাচ্ছে।কিন্তু ওই যে বলে কারো কারো অন্তরে মোহর পড়ে গেছে,তাদেরকে কোন কথা,কোন নীতি বাক্য,কোন উদাহরণ বা কোন কিছুতেই তাদের কিছু আসে যায় না।
![]() |
---|
তাদের চোখ থাকতে তারা অন্ধ, মুখ থাকতে বধির এবং তাদের মধ্যে বিবেক থাকা সত্ত্বেও বোধ-বুদ্ধিহীন হয়ে এই কাজগুলো অবিরত করে যাচ্ছে।প্রতিনিয়ত পারিবারিক বিশৃঙ্খলা, সংসারে অশান্তি,সন্তানদের জন্য বিভীষিকাময় শৈশব জীবন এগুলো শিক্ষিত মানুষ থেকে শুরু করে মূর্খ-অজ্ঞ ব্যক্তিরা একই রকম আচরণ করে থাকে।এদের মধ্যে কোন তফাৎ নেই।
তবে আমার নিতান্তই ক্ষুদ্র জীবন বোধ ও অভিজ্ঞতা থেকে আমি একটি কথা বলতে চাই -
একটি বাস্তব সত্য সবার মেনে নেয়া উচিত। আর তাহলো "আপনার সামনের ব্যক্তিটি কখনো বদলে যাবে না"।আপনি যখন এই কথাটা আত্মস্থ করে নেবেন,তার প্রতি আপনার আবেগকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।তখন দেখবেন অনেক কিছু সহজ হয়ে গেছে।নিজের জন্য সম্ভবপর সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পারবেন।