Better life with Steem || The Diary game ||30 November 2024||

in hive-120823 •  6 months ago 
Picsart_24-11-30_22-24-06-117.jpg

[Edit by pics Art]

আজকে শনিবার ছুটির দিন।তাই সকালে একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠবো এই পরিকল্পনা ছিল।কিন্তু অভ্যাস বশত ভোরেই ঘুম ভেঙে গেল।শুয়ে না থেকে তাই উঠে গেলাম।প্রথমে কুসুম গরম পানি খেয়ে নিলাম।এরপর টেবিলে নাস্তা দেওয়ার কাজ গুছিয়ে নিলাম।৯ টার দিকে নাস্তা শেষ করে নিলাম।এরপর রান্নাঘরের সব কাজ গুছিয়ে বের হয়ে আসলাম।

IMG_20241130_093103.jpg

কেন যেন যেদিন কাজ বেশি করি সেদিন কাজ শুধু বাড়ে আর বাড়ে।কাজ আর শেষ হতে চায় না।আমার সাথেই এমন হয় নাকি সবার সাথেও এমন হয় আসলে জানিনা।যাই হোক আরো খুঁটিনাটি বিভিন্ন কাজ করতে করতে প্রায় দশটা বেজে গেল।

গতকাল রাতে দেখেছি আমার ছেলের মুখে ঠোঁটের কাছে ত্বকে সমস্যা হয়েছে।এই সমস্যাটি ওর অনেক বছর আগে হয়েছিল।আসলে ওকে সাঁতার শিখতে দিয়েছিলাম।সেখানকার পানি থেকেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছিল।এরপর বেশ কয়েকবারই সমস্যাটি হয়েছে।মাঝে অনেক বছর ভালোই ছিল।গতকাল রাতে আবার দেখলাম।তাই সকাল থেকেই পুরনো প্রেসক্রিপশন খুঁজতে লাগলাম।অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে প্রেসক্রিপশন পেলাম।হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম।

IMG_20241130_095854.jpg

আজকে বাহিরে যেতে হবে।টেইলরের দোকান থেকে কাপড় উঠাতে হবে।আবার কিছু কাপড় সেলাই করার জন্য ও দিতে হবে।এজন্য টেইলার জসিম ভাইকে ফোন দিলাম।উনি বললেন যে গত সপ্তাহে দেয়া কাপড়গুলো এখনো সেলাই করা হয়নি।আমি বললাম ঠিক আছে সমস্যা নেই।নতুন কাপড় গুলো দেই, একসাথে দিয়েন।

IMG_20241130_110336.jpg

দোকানে কাপড় দিয়ে রিক্সা নিয়ে নিলাম। সেগুনবাগিচা বাজারের জন্য।বাজারে নেমে প্রথমে চলে গেলাম দোতালায়।ওখানে পাইকারি দোকান থেকে মুড়ি ,ময়দা,বেসন,মসলা ও ময়লা ফেলানোর পলিব্যাগ কিনলাম।এরপর মুদি দোকান কাবলি ছোলা ,রাজমা,ডাবলি, কর্নফ্লাওয়ার,মাশরুম সহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিলাম।

নিচে নামার পরে মনে হলো কিছু সবজি নিয়ে যাই।তাই আমার পরিচিত সবজি দোকানে গেলাম।সবজিওয়ালা আমাকে পেলে পারলে দোকানের সব সবজি দিয়ে দেয়।সবসময়ই সে এমন করে।মোটামুটি বেশ কয় ধরনের সবজি নেয়া হলো।এরপর বের হয়ে রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় এসে প্রথমে বাজার গুলো বের করে একে একে জায়গা মত গুছিয়ে রাখলাম।

IMG_20241130_120126.jpg

এসব কাজ করতে করতে আসলে অনেকটা সময় লেগে গেল।টেবিলে খাবার দিয়ে গোসলে যেতে যেতে প্রায় ২ টা বেজে গেল ।কয়েকটা কাপড় ধুয়ে দিলাম।এরপর গোসল করে নামাজ পড়ে নিলাম।নামাজ শেষ করে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।দুপুরে খাওয়া শেষ করে বসার পর মেয়ে এক কাপ কফি দিল।কফি খেয়ে উঠতে না উঠতে দেখি আসরের আযান দিয়ে দিয়েছে।

আসরের নামাজ পড়ে তবেই কিছুক্ষণ রেস্ট করার সুযোগ পেলাম।তবে রেস্ট করার সুযোগ বেশিক্ষণ হলো না।আজকে কিছু পিঠা বানানোর কথা ভাবছিলাম।কিভাবে কি কি কাজ করবো তার পরিকল্পনা আমি রেস্ট করতে করতে করে নিলাম।মাগরিবের নামাজ পড়ে ই রান্না ঘরে চলে গেলাম।

IMG_20241130_201515.jpg

শিলপাটা ধুয়ে রাখলাম চ্যাপা শুটকির ভর্তা করার জন্য।চাপটি দিয়ে খাওয়া হবে।এরপর একে একে পিঠা বানানোর জন্য সব কাজ গুছিয়ে নিতে লাগলাম।আজকে আমি তিন রকমের পিঠা বানাবো।সাজের পিঠা, চাপটি পিঠা ও দুধ চিতই।চাপটি পিঠার গোলাটা গত কাল ই করে রেখেছিলাম।তাই ওটা নিয়ে আজকে টেনশন করতে হলো না।তবে কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলাম যে ছবি তোলার কথা একেবারেই মাথা থেকে চলে গিয়েছিল।

কিন্তু বাকি দুইটা পিঠা তৈরি যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।দুধ জ্বাল দেয়া, নারকেল বাটা, বাদাম বাটা, সাজের পিঠা তেলে ভাজা আসলে
অনেকগুলো কাজ।আজকে এতগুলো পিঠা বানানোর উদ্দেশ্য হলো একজনের বাসায় দেব। তাদের ঘরে নতুন বউ এসেছে।নতুন বউয়ের জন্যই আসলেই পিঠা বানানো।আমাদের জন্য শুধু দুধ চিতই পিঠা রাখলাম।

IMG_20241130_212546.jpg

পিঠার সব কাজ শেষ করে করতে করতে প্রায় নয়টা বেজে গেলো।এরপর ফ্রেশ হয়ে এশার নামাজ পড়ে নিলাম।এমন সময় বান্ধবী নার্গিস মেসেজ দিলো যে আগামীকাল সকালের নাস্তা রেস্টুরেন্টে করতে চায়।আমিও রাজি হয়ে গেলাম।আর এখন আগামীকালের জন্য সবকিছু গুছিয়ে শুয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xyWsw1kHnXVkn7Qp6hme6bwxmeXAsiaziMYqPesnvAxBKoZxpvAxoJGLfGnEUeMr1gEv2DbujLXro4ihMK4nci7VnRSHt.png

DeviceName
Androidvivo v19
Cameratriple camera 48mp+8mp
LocationBangladesh 🇧🇩
Shot by@hasnahena

DiHLrjiPetHt6ciV9azim9NPHuTMQ59H51nYE8xqo83cHwKoMWBRmLojbYwVzV9tQHbQbS38qpoDVF7h1MKDoicCr8iqdBXbBpeXUAhSRs...v2uoYJLLGNKHUduDD6QojicEZMKyFqVqBMZbqeFstcERLXyHRx3F9DTnEwa2aLuKJt3RPuhi1j4YJwfM92kheG2sV3FFD2kYtYaQETCN5Y2txGb7x7NKKhqT3C.png

◦•●◉✿ধন্যবাদ সবাইকে লেখাটি পড়ার জন্য।✿◉●•◦

◦•●◉✿ Thank You For Reading ✿◉●•◦

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপু আপনার নিজের তৈরি খাবারের আইটেম গুলো দেখে মুখে জল চলে আসলো।মনে হয় অনেক ধরনের উপাদানের প্রয়োজন হয়েছে এই খাবারগুলো তৈরি করতে।

Loading...

আপনার পোস্ট পড়ে রীতিমত আমার কষ্ট হলো।সারাদিনে কতো কাজ করেছেন। ঘরে বাইরে দুদিকেই সময় দিতে গিয়ে সারাদিন বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ হয়নি। এমনকি বিশ্রাম নেওয়ার জন্য যখন বসেছেন, তখনও মাথার মধ্যে কাজের চিন্তা ঘুরপাক খেয়েছে। তাই প্রকৃত অর্থে আজ আর বিশ্রাম নেওয়া হয়নি আপনার। তবে যাই বলুন আপনার তৈরি পিঠে গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। যাদের বাড়িতে পিঠাগুলো পাঠিয়েছেন, তারা কিন্তু আরাম করেই খাবে। অথচ আপনি বানানোর সময় কত সময় ধরে, কত কষ্ট করে বানিয়েছেন। তবে হ্যাঁ আত্মীয়তা রক্ষা করতে গেলে এই সমস্ত জিনিস আমাদেরকে করতেই হয়। ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। প্রেসক্রিপশনটা যখন খুঁজে পেয়েছেন, আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি আপনার ছেলের ত্বকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। ভালো থাকবেন।