আজ শুক্রবার ছুটির দিন।যথারীতি সকাল টা একটু ধীর গতিতেই শুরু হলো।আজকে সকালে নাস্তা বানানো হয়নি।হোটেল থেকে আনা হয়েছে।নাস্তায় ছিল তন্দুর রুটি,স্যুপ, সবজি,ছোলার ডাল।নাস্তা শেষ করে চা নিয়ে বসলাম।যদিও এখন আর আগের মত এনজয় করে চা পান করা হয় না।কারণ সাদামাটা রঙ চা ই খাওয়া হয়।
কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ঘরের কাজ শুরু করে দিলাম।আজকে আমার রান্নাঘরে বেশ কিছু কাজ আছে।এদিকে ঘর মোছার খালার আজকে ছুটি।তাই প্রথমে ঘরদোর গুছিয়ে ঝাড়ু দিয়ে নিলাম।এরপর রান্না করে গিয়ে প্রথমে রান্নাঘর পরিষ্কার করে নিলাম।এরপর এক পাশে আটা সেদ্ধ পানি ও আরেক পাশে ডাল বসিয়ে দিলাম।
আজকে ঝুরা মাংস করব তাই গতকালই মাংসের মধ্যে সব মসলা মিশিয়ে রেখে দিয়েছি।আর আজকে প্রেসার কুকার টাও ব্যবহার করব।কেনা হয়েছে বেশ কিছুদিন হলো কিন্তু ব্যবহার করার সময়ই পাইনি।আর ঝু্রা মাংস করতে প্রেশার কুকার খুবই জরুরী।যেহেতু নতুন ডিজাইন ও ধরনের কুকার তাই একটু টেনশন হচ্ছিল।কারণ এটার ব্যবহার বিধি ইউটিউবে ও খুব একটা নেই।
আটা সেদ্ধ করে রুটি বানানোর কাজ চলছিল।মূলত রুটি বানিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিবো।পুরো সপ্তাহের রুটি এভাবে করে নিই।
প্রায় ৪০ টার মতো রুটি বানিয়ে ফ্রোজেন করে রেখে দিলাম।এরপর মাংস চড়িয়ে দিলাম।সব কাজ গুছিয়ে নিতে ঘন্টা খানিকের মতো সময় লাগলো।আমি টেবিলে খাবার দিয়ে রান্না ঘরের কাজ শেষ করে নিলাম।
গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর দুপুরের খাওয়া ও হয়ে গেল।খাওয়া শেষে একটু বিশ্রাম নিলাম।এমন সময় হাজব্যান্ড বলল যে উত্তরা তার বন্ধুর দোকান আছে।সেখানে যেয়ে ট্রেডমিল দেখতে।যদি যাই তাহলে যেন দ্রুত রেডি হই।এজন্য আসরের নামাজ পড়ে খুব দ্রুত রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম।উবার ডাকা হলো উত্তরা যাওয়ার জন্য।
যেহেতু ছুটির দিন রাস্তায় খুব একটা জ্যাম নেই।এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে দিয়ে খুব সহজে উত্তরা পৌঁছে গেলাম।ট্রেডমিল দেখতে দেখতে মাগরিবের আজান দিয়ে দিল।ওখানেই নামাজ পড়ে নিলাম। ট্রেডমিল পছন্দ করলাম। ততক্ষণে প্রায় সাড়ে ছটা বাজে।এরপর দোকান থেকে বের হয়ে ঠিক করলাম মেট্রোরেলে করে বাসায় যাব।তাই একটি রিক্সা ভাড়া করলাম।রিক্সা ভাড়া নিল ৬০ টাকা।মেট্রো রেল স্টেশনে পৌঁছানোর পূর্বেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো।যদিও ছাতা ছিল সাথে তবুও হালকা ভিজে গেলাম।
মেট্রো স্টেশনে পৌঁছে দেখি মানুষের বিশাল লম্বা লাইন টিকেট কাটার জন্য।আগে শুক্রবারে মেট্রোরেল বন্ধ থাকতো।তবে এখন শুক্রবার বিকেলে মেট্রো খুলে দেয়ার কারণে অনেকের অনেক সুবিধা হয়েছে।আমি দীর্ঘ সময় লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কেটে নিলাম। এরপর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।বাহিরে প্রচন্ড বেগে বৃষ্টি হচ্ছে।
বাসায় পৌঁছাতে প্রায় আটটা বেজে গেল।প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেই একটি রিকশা ভাড়া করলাম।রিক্সায় বেশ ভিজেও গেলাম।বাসায় পৌঁছে খুব দ্রুত কাপড় ছেড়ে হাত মুখ ধুয়ে নিলাম।এরপর রাতের খাবার খেয়ে সবকিছু গুছিয়ে নিলাম। ট্রেডমিল ডেলিভারি দেয়ার কথা এজন্য বসে থাকতে হলো।এ ফাঁকে অবশ্য ননাস ও বড় জায়ের সাথে কথা বলে নিলাম।ততক্ষণে রাত প্রায় সাড়ে দশটা বাজে।
এশার নামাজ পড়ে নিলাম।ট্রেডমিল সেট করতে করতে এগারোটার মতো বেজে গেল।কিছুক্ষণ পরে জানলাম আমার বিল্ডিং এর লিফটে কোন সমস্যা হয়েছে।এদিকে ১৭তলা থেকে এতগুলো লোক কিভাবে নামবে এটাই ভাবছিলাম।যাক পরবর্তীতে সমস্যার সমাধান হয়।এরপর সব কিছু গুছিয়ে ঘুমাতে চলে গেলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you for your support.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit