মামারবাড়ীতে বিকেলের ঘোরাঘুরি

in hive-120823 •  10 days ago 

নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি প্রথম দিন মামার বাড়িতে কাটানো বিকেল বেলার মুহূর্ত।

20250313_165037.jpg

যেহেতু আগের দিন আমি ভাই ছোট মামার বাড়িতে ছিলাম না ।তাই আমার মা ওখানে থেকে গিয়েছিল ।ছোট মামার দুই মেয়ে ,ওদেরও মন খারাপ করছিল যখন আমি আর আমার ভাই বাবার সাথে গ্রামের বাড়িতে চলে আসি। তাই মা ওখানে থাকতে বাধ্য হয়েছিল। প্রথম দিন দুপুর বারোটার পর ছোট মামার বড় মেয়ে মিঠাই আর আমার মা গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। মিঠাইয়ের মা অর্থাৎ আমার ছোট মামী আর ছোট মামা শহরের বাড়িতেই ছিল।

20250313_170255.jpg

আর এদিকে আমার বাবাও কৃষ্ণনগরের দিকে রওনা দেয়। ফেরার সময় আমাদের নিতে আসবে এটাই কথা হয়। বিকেল বেলায় আমরা বোনেরা বার হবো ঠিক করি। আসলে মিঠাইয়ের মামার বাড়িও আমাদের গ্রামের পরের গ্রামে। তাই ও বায়না করছিল দিদুন বাড়ির যাওয়ার জন্য। আমার মাও বলল ও যখন এত বায়না করছে, তোরা সবাই মিলে যা ওকে নিয়ে তোরাও ঘুরে আয়।

20250313_171012.jpg

ছোটমামার শশুর বাড়িতে অনেক আগে গিয়েছি। বেশি যাওয়া হয় না বললেই চলে। কিন্তু হাঁটা পথে ই
যাওয়া যায়। মোটামুটি এক /দেড় কিলোমিটার দূরে হবে। আর ভেতরের রাস্তা দিয়ে গেলে আরো কাছে হয়। মামার বিয়ের পর মাঝেমধ্যেই যেতাম। তারপর মামার বাড়িতেই কম যাওয়া হয়। তো অন্যান্য বাড়িগুলোতে তো ঘোরা আরো কম হয়।।

20250313_171059.jpg

যাইহোক বিকেলবেলা রেডি হয়ে আমি ,তিথি, শর্মি ,ঈশান মিঠাইকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ওর দিদির বাড়ির দিকে। সকালের দিকে যখন দুপুরবেলায় বেরিয়েছিলাম। অনেক দোকানপাট বন্ধ ছিল ।কিন্তু বিকেল বেলায় দেখি অনেক দোকান খুলে গেছে ।গ্রামের মধ্যেই আমাদের পরিচিত এক মামা মোমোর দোকান আর মুদিখানার দোকান খুলেছে। দেখেও ভালো লাগলো ।

20250313_171145.jpg

ওখান থেকে সবার জন্য চকলেট কিনলাম। সবাই মিলে চকলেট খেতে খেতে মোটা দিদার বাড়ির পেছন দিক দিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম ।মেন রোড ধরে গেলে যেতে বেশ সময় লাগবে। কিন্তু মোটা দিদার বাড়ির পেছনের বাগান দিয়ে গেলে অনেকটা তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।

20250313_171233.jpg

মোটা দিদার বাড়ির পেছন দিক দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম ,তখন বাগানের মধ্যে প্রবেশ করেই বেশ সুন্দর লাগছিল। গাছগুলো দুদিক দিয়ে আর মাঝখানে যাওয়ার একটা সরু রাস্তা। যেতে যেতেই সামনে পড়ল একটা শিমুল ফুলের গাছ। গাছের তলায় কত কত শিমুল ঝরে পড়ে আছে। শিমুল এর অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করে ফেললাম। ফটোগ্রাফির সাথে তাল মিলিয়ে একটা কবিতা লিখেছিলাম।আমি কিছুদিন আগেই পোস্ট করেছি ।কবিতাটার নাম ছিল - আশা ।
20250313_171316.jpg

বাগান পার হওয়ার পরেই আমরা মেইন রোডের উপর উঠে গেলাম।আর দু তিন মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যাব মিঠাইয়ের দিদুন বাড়ি। সবাই মিলে গল্প করতে করতে রাস্তার বাদিক ঘেঁষে খুব সাবধানে হাঁটছিলাম। কারণ ওই রাস্তাটা মেইন রোড ।ওই রাস্তাটা কালিয়াগঞ্জের দিকে যায়। মিঠাই আর দিদার বাড়ি পৌঁছে গেলাম ।মিঠাইয়ের দিদা দোতলার থাকে। উপর থেকে আমাদের দেখতে পেয়ে অবাক হয়ে গেলেন। আমরা দোতলায় উঠে গেলাম। এক দু মিনিট কথা না বলতে বলতেই, মিঠাইয়ের দাদু বেরিয়ে পড়লেন আমাদের খাবার আনার জন্য ,আমি বারবার বারণ করতেও শুনলেন না।

20250313_171852.jpg

ততক্ষণে দিদার সাথে আমি, মিঠাই, আমরা সবাই গল্প করছিলাম।। দিদা দাদুর বয়স হয়েছে। শরীর অনেকটাই খারাপ এখন। ঠিকভাবে হাঁটতেও পারেন না দিদা। তবে এখন একটু সুস্থ মনে হল। মাঝে দাদুর হার্ট এর সার্জারি হয়েছে। বয়স হলে যা হয় আর কি। ওনার দুটো মেয়ে একটা আমার ছোট মামী ,যে বড় ।আর ছোট মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে।। বাড়িতে বুড়ো বুড়ি একাই থাকেন। আর ভাসুর দেওর এর ফ্যামিলিগুলো পাশাপাশি বাড়ি।

20250313_175737.jpg

দেখলাম দাদু আমাদের জন্য মিষ্টি, সিঙ্গারা ,গজা নিয়ে এসেছে। এর সাথে দিদা ক্ষীর বানিয়েছিল, সেটাও ধরিয়ে দিল। আমরা তো অত খেতেই পারলাম না ।কারণ দুপুরবেলায় পেট ভরে ভাত খেয়েছি। শর্মি আবার মিষ্টি খেতে বেশি ভালোবাসে না। তাই একটা প্লেট নিলাম আমার আর শর্মির জন্য ।আগের দিন জার্নি করে জন্মদিনে খাওয়া-দাওয়া বেশি হয়ে গেছে ।তাই শরীরটাও সেরকম ভালো ছিল না। তাই অল্প করে খেলাম ।কথা বলতে বলতে ,খেতে খেতে সন্ধ্যে পার হয়ে গেল। আর ওদিক থেকে মা বারবার ফোন করতে লাগল।

1000238898.jpg

তাই আমরা একটু পরেই বেরিয়ে পড়লাম ,আবার বাগানের ভেতরে রাস্তা দিয়েই চলে আসলাম। ফেরার পথে রাস্তায় আলো থাকলেও বাগানের ভেতরে পুরো অন্ধকার ছিল ,তারপরেও বেশ মজা লাগছিল।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...
Loading...

A very nice post has been observed among us.

Pemandangan dan suasana yang indah.