আমার বড়দের সকলকে প্রণাম জানাই। আজকে আমি আঁকতে চলেছি একটি পেন্সিলের সঙ্গে পেনের মিশ্রণ স্কেচ। ক'দিন ধরে আমি পোস্ট করছি না। আপনারা তো জানেনই যে আমি ঠাকুর দেখতে বেরচ্ছি আর যেহেতু পাশেই রক্ত জবা বলে একটি পুজো হয় তাই ওইখানে দিদির সঙ্গে যখন তখন যেতে পারি।
যখন তখন যাই না ,মাঝে মাঝে যাই রাত করে ।এবার বেশি যাওয়া হয়নি ,দুবার যাওয়া হয়েছে । একবার বাবার সঙ্গে কুপন কাটতে গিয়েছিলাম ।আর দিদির সঙ্গে মেলায় ঘুরতে এবং ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলাম। যেহেতু আমি বললাম যে দুবার গিয়েছি, তাই দুবার ঠাকুর দেখেছি।
ওখানে যেতে যেতে পথে বৌদির সঙ্গে দেখা হয়, ঠিক টাইগার ক্লাবের আগে বৌদিও রক্তজবা দেখে মামা এবং তার বোনদের সঙ্গে ফিরছিল। আমার দিদি ধরে বেঁধে তাকে নিয়ে চলে গেল, কারণ আমি আর দিদি একাই ছিলাম। বৌদি থাকলে ভালো হতো। তাই বৌদিও আমাদের সঙ্গে রক্ত জবাই ক্লাবে যেতে রাজি হয়ে গেল।
তারপর আমরা ওখানে গিয়ে ঠাকুর দেখতে ঢুকবো। সেই পথে এত লাইন যে গুটিগুটি পায়ে এগোতে হচ্ছে। আমি তো আরো গুটিগুটি পায়ে এগছিলাম ,যেহেতু আমি ছোট। তাই এদিক থেকে লোক ঠেলা মারছে, আবার ওদিক থেকে উঠে নেওয়া হচ্ছে। তাই গুটিগুটি পায়ে এগোতে হচ্ছে। না হলে কারোর পায়ে যদি লেগে যায় তাহলে আবার সমস্যা।
যাইহোক ওখানে পৌঁছে ঠাকুরকে প্রণাম জানিয়ে আমরা বেরোলাম ,বেরিয়ে ওখানে আমি খুব জেদ করতে লাগলাম বন্ধুকের জন্য। প্রত্যেক মেলায় একটা স্টল বসে, যেখানে অনেকগুলি বেলুন থাকে। আর বন্দুক দিয়ে বেলুন ফাটাতে হয় ,যে তিনটেয় ফাটাবে সে তিনটি গিফট পাবে।
যে দুটো ফাটাবে সে দুটো পাবে। এরকম খেলাটা ।তারপর আমার দিদি আর বৌদি মিলে ওখানটায় গেলাম। দিয়ে ওই খেলাটা খেলে আমি দুটোই গুলি মারতে পারলাম। কারণ প্রথমে আমি নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ অত বড় বন্দুক আমি ধরতেও পারছিলাম না ভালোভাবে। যেমন তেমন করে দুটোগুলি বেলুনের ঠেকলো আর ফেটে গেল।
বেলুন থেকে দুটো কাগজ বেরোলো। প্রত্যেক বেলুন একটা একটা করে কাগজ থাকে ,আর গিফটের নাম লেখা থাকে। সেই দুটো কাগজ বের করে, আমাদের সামনে রাখলো। সেখানকার হাতের লেখাটা আমি পড়লাম আর বুঝলাম যে একটা সুতোর গুটি পেয়েছি, আর গায়ে সাবানের মাখার লুফা পেয়েছি ।আমার দিদি ওটা পেয়েই হাসতে লাগলো।
যাইহোক দুটো তো পেলাম, ওটাই আমার কাছে আনন্দের ব্যাপার । আর মেলায় গেলে যে কোন বাচ্চা কোন একটা দোল্লাতে চড়েই। কিন্তু আমার দিদি কোন দোলনাতেই চড়তে দিল না। আমার খুব রাগ হয়েছিল তখন। যাইহোক আইসক্রিম খেতে তো পারলাম না। ফুচকা খেয়ে চলে আসলাম। কারণ আমার ঠান্ডা লেগেছিল। তাই দিদি আইসক্রিম দিতে রাজি ছিলো না। যাই হোক এবার ছবি আঁকাতে ফিরে আসি।
লিংক
প্রথম ধাপ
প্রথম ধাপে আমি নৌকাটা একে নিচ্ছি ।নরমাল পেন্সিল দিয়ে। তারপর আমার টেন বি দিয়ে একটু শেড দিয়ে নিচ্ছি। আপনারা তো জানেনই যে আমার কাছে পয়েন্ট ফাইভ পেন্সিল অনেকদিন হলেই নেই। তাই আমি নরমাল পেন্সিল দিয়েই চালাছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার দ্বিতীয় ধাপে আমি পাশের নৌকা টাই একে নিচ্ছি। আর সেড দিয়ে নিচ্ছি।
তৃতীয় ধাপ
দ্বিতীয় ধাপে আমি মানুষ একে নিচ্ছি।
চতুর্থ ধাপ
তারপর মানুষের জামার অন্ধকার এবং আলোটা বোঝানোর জন্য সেড দিয়ে নিচ্ছি আর পাশের মানুষ টাকে নিচ্ছি।
পঞ্চম ধাপ
পঞ্চম ধাপে আমি পেছনে দূরের ঘাসগুলো এঁকে নিচ্ছি আর নৌকার নিচে সেড দিয়ে নিচ্ছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এবার আমি আকাশের পাখিগুলো এবং আকাশের সেদিন দিন নিচ্ছি। তারপর আমি জলের ঢেউগুলো একে নিচ্ছি। আর নৌকার ছায়া গুলো ডিপ করছি।
ফাইনাল
এবার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি পেন এবং পেন্সিল দুটো মিক্স করে একটি স্কেচ তৈরি হয়ে গেছে।
Contest Drawing for you
https://steemit.com/microwrite02/@joslud/write-in-micro-size-or-second-lesson
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project
@tipu curate 2
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 5/7) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নদীতে মাঝি না নৌকা বাইচে দৃশ্যটি আপনি খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলছেন এবং ছবি অংকন করার প্রতিটা পদক্ষেপ ধাপে ধাপে উল্লেখ করেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর আঁট আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit