বড়দের সকলকে প্রণাম জানাই। আজকে আমি সকালবেলা থেকেই ভেবেছিলাম ছবি আঁকবো। তাই ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে প্রথমে ছবি আঁকতেই বসেছি।
সকালবেলা উঠে, খুব মাথা ব্যথা করছিল। পরে মা আর দিদি মিলে বলল হয়তো আমার ঠান্ডা লেগেছে তাই মাথা ব্যাথা করছে। ঘুম থেকে উঠে সকালবেলায় আবার ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তারপর সকালবেলায় আমি খেতেও পারিনি। শরীর এত খারাপ করছিল বলে, কিন্তু পরে দুপুর বেলায় ভাত খেয়েছিলাম।
আমি যখন আঁকতে বসলাম তখন বুঝতে পারছিলাম না কি আঁকবো। পরে দিদি আমাকে আবদার করল ওর পছন্দের একটি ছবি আঁকতে। দিদিদের ছোটবেলায় টিভিতে নাকি মারুতি বলে একটা কার্টুন হত। আমি যখন খুব ছোট তখন আমিও হয়তো একবার দেখেছিলাম। মারুতি হল ঠাকুর হনুমানের ছোটবেলাকার নাম। ওই কার্টুনে দেখাচ্ছিলো যে ইন্দ্র দেব রেখেছিলেন এই নামটি।। মারুতি নামটা আমার খুব ভালো লাগে।।
কারণ মারুতি সুজুকি গাড়ির নামও হয়। তাই আমার আরো বেশি ভালো লাগে। মারুতি সুজুকি গাড়ি আমার ভালো লাগেনা, কিন্তু নাম আমার ভালো লাগে। মারুতি কার্টুনের হনুমান অনেক কিউট। ওই কার্টুনের দেখানো হয়েছে কিভাবে হনুমানজি পৃথিবীতে মানুষ রূপে এসেছিলেন তারপরে ওখানে ওই ছেলেটির একটি লেজ ছিল। আমার সম্পূর্ণ মনে নেই কিন্তু আবছা আবছা মনে হয়।
ওর একটা বন্ধুও ছিল, এই কার্টুনের একটা গান আছে। আমি আর দিদি মিলে মাঝেমধ্যেই ইউটিউবে এই গানটা চালিয়ে শুনি। গানটাই আছে - আসমান কো ছুকার দেখো তারোকি গালি সওয়ারি, চাঁদ পর ভি নাচে হাম , গীত বলো সাইয়ারি। এরকম কিছু একটা ছিল আমি ভুলও বলতে পারি।
লিংক
কিন্তু গানটার মিউজিকটা আমার খুব ভালো লাগে। আমি যখন ছবিটা আঁকছিলাম তখন এই গানটা চালিয়ে আঁকছিলাম।। গানটা শুনলেই কেমন যেন নাচতে ইচ্ছা করে।
যাইহোক আমি প্রত্যেকদিনের মত আজকেও ছবি আকার ওপর ভিডিও রেডি করেছি। এবার পরপর ধাপে ধাপে ছবি আঁকা শেয়ার করছি।
প্রথম ধাপ
প্রথমেই আমি এখানে মারুতির মুখটা একে নিচ্ছি। এখানে আমি মারুতির মুখের জায়গাটা যেমন হনুমানের মুখে জায়গা দেখতে হয় সেরকম ভাবে একে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
তারপর চোখের জায়গাটা আঁকলাম। এরপরে কানের দুল এঁকেছি। চুলের জায়গাটাও এঁকে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
এই ধাপে আমি মারুতির শরীরের অংশ আঁকছি। এখানে আমি হাত একে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
মারুতির হাতে গদা থাকে। গদা হল যুদ্ধ করার একটা অস্ত্র। হনুমানজি গদা ব্যবহার করেন। সেই গদা আমি এঁকে নিলাম। সাথেই পায়ের জায়গাটা আর জামাটা এঁকে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
চোখের জায়গায় নীল রং করা শুরু করেছি। তারপরে হলুদ রং দিয়ে মারুতির জুয়েলারি রং করছি। এর সাথেই মুখে জায়গা টুকু স্কিন কালার দিয়ে করে নিয়েছি। আমি এখানে পুরো ছবি জুড়ে প্যাস্টেল রং এবং পেন্সিল রং ব্যবহার করেছি।
ষষ্ঠ ধাপ
পুরো বডিতে স্কিন কালার করে নেওয়ার পর, আমি ওর ধুতির মত জামাটাতে কমলা রং করছি।
সপ্তম ধাপ
এবার আমি ওর চুলের রং বাদাম পেন্সিল দিয়ে করে নিলাম। তারপর ডিপ করার জন্য আবার প্যাস্টেল রং ব্যবহার করেছি। আউটলাইন গুলোকে কালো পেন দিয়ে করেছি।
ফাইনাল
এভাবেই কিউট মারুতি একটা ড্রইং তৈরি হয়ে গেছে।
আজকে আমার আঁকা ছবি সবার কেমন লাগলো, সবাই আমাকে জানাবেন।
Congratulations! - Your post has been upvoted through steemcurator06
Curated by : @rosselena - Selective Team
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit