হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক ভাল আছেন। আজ আমি আলোচনা করব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটি হচ্ছে জ্বর নিয়ে ছোট বড় সবারই কোনো না কোনো সময় আমাদের বছরে দুই তিনবার জ্বর হয়ে থাকে। সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আজকে আমি আলোচনা করব আশা করি মনোযোগ দিয়ে সবাই লিখাটি পড়বেন তাহলে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭.০° সেন্টিগ্রেড ( ৯৮.৪° ফারেনহাইট) এবং যখন শরীরে তাপমাত্রা ৩৭.৫° সেন্টিগ্রেড (৯৯.৫° ফারেনহাইট) এর চেয়ে বেশি হয়, তখন বুঝতে হবে জ্বর হয়েছে। স্কুলে যাবার বয়স হয়নি, এমন শিশুদের যদি তাপমাত্রা ৩৮.০° সেন্টিগ্রেড (১০০.৪° ফারেনহাইট) এর বেশি হয়,বুঝতে হবে সে খুব অসুস্থ। ডায়রিয়ার মত,জ্বর হলেও শরীর থেকে প্রচুর পানি কমে যায়। যখন কোন লোক রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়,তখন তার জ্বর হয়। রোগ জীবাণু বাতাসে, মাটিতে,পানিতে বা সংক্রমিত প্রাণী কিংবা মানুষের দেহে থাকে। এই জীবাণু শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে :
- বায়ুর মাধ্যমে, যা আমরা শ্বাসের সাথে নিয়ে থাকি
- দুষিত খাদ্য ও পানীয়ের মাধ্যমে
- ত্বকের ক্ষত, মশা ও অন্যান্য কীট পতঙ্গ অথবা কুকুরের মাধ্যমে
- সংক্রমিত পুরুষ বা মহিলার সাথে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে।
- নিরাপদ ও টাটকা খাবার খাওয়া
- নিরাপদ বা ফুটানো পানি পান করা
- খাওয়ার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া
- মল ত্যাগের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া
- সংক্রমক ব্যাধিতে আক্রান্ত লোকের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা
- যৌন রোগ থাকতে পারে,এমন লোকের সাথে যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলা
- বাড়ির চতুূর্দিক এবং গ্রাম পরিচ্ছন্ন রাখা
- কীটপতঙ্গ ও জন্তর কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করা
- সাধারণ সংক্রামক ব্যাধির টিকা নেয়া।
কারো জ্বর আছে মনে হলে তার শরীরে তাপমাত্রা মাপুন তাপমাত্রা যদি ৩৭.৫° সেন্টিগ্রেড বা ৯৮.৫ ফারেনহাইটের বেশি হয় তাহলে জিজ্ঞাসা করুন কখন জ্বর এসেছে।
রোগীর ২৪ ঘন্টার কম সময় যাবত জ্বর আছে এবং অন্য কোন উপসর্গ নেই
রোগীর জ্বর বেশি হলে পরিবারের সদস্যদের দেখিয়ে দিন কিভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর মুছে দিলে জ্বর নেমে যায়। এতে রোগী ভালো বোধ করবে।
তাকে জিজ্ঞাসা করুন তিনি এমন এলাকায় গিয়েছেন কিনা যেখানে ম্যালেরিয়া আছে যদি গিয়ে থাকেন ততক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করুন। ম্যালেরিয়া চিকিৎসার জন্য সচরাচর ক্লোরো কুইন দেয়া হয় কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ক্লোরো কয়েন উপযোগী নাও হতে পারে আপনার এলাকায় কিভাবে ম্যালেরিয়া চিকিৎসা ও প্রতিরোধ করা হয় আপনার স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে আপনাকে শিখতে হবে।
আপনার এলাকায় যদি মিলিয়ে না থাকে রোগীকে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট বা সিরাপ দিন।
রোগীকে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট রাতে ঘুমাতে খাওয়ার আগে এবং সকালে একটি খেতে বলুন রোগীর শুয়ে থাকা উচিত এবং প্রচুর গরম মিষ্টি পানিও চা পানি দুধ পান করা উচিত বেশি ঘাম হলে কিছুটা লবণ পানি পান করা উচিত বাচ্চাদের সিরাপ খাওয়াতে হবে।
প্যারাসিটামল ট্যাবলেট বা সিরাপ খাওয়ার পর দুই দিনের মধ্যে যদি রোগীর না হয় তাহলে তাকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অথবা হাসপাতালে নিতে হবে।
রোগীর তিন দিনের বেশি সময় ধরে জ্বর আছে রোগীর অন্য কোন উপসর্গ না থাকলে আর দেরি না করে তার উচিত ডাক্তার দেখানো বা হাসপাতালে যাওয়া।
জ্বর এবং সেইসাথে নিচের যেকোনো একটি উপসর্গ থাকলে সাথে সাথে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিন।
- ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া
- প্রচন্ড শরীর ব্যথা
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
- চোখের রং হলুদ
- মারাত্মক ডায়রিয়া
- খিচুনি
Source
রোগী যদি গর্ভবতী অথবা গর্ভপাত হয়েছে এমন মহিলা হয় তাহলে তৎক্ষণিক তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিন।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কম বেশি সবারই জ্বর হয়ে থাকে। আমারও এবার হঠাৎ করে জ্বর হয়েছিল। অনেক কষ্ট হয়েছিলো। জ্বরে কষ্ট পায়নি এরকম মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। কারন অনেকেই জ্বর সম্পর্কে অনভিজ্ঞ। কি কি কারনে জ্বর হয় এবং জ্বর হলে আমাদের কি কি জিনিস করা উচিত। আর কোন কোন জিনিস করা উচিত নয়, এই সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বর একটি সাধারণ সমস্যা বা অনেক সময় এটি বিভিন্ন জটিল রোগের লক্ষ্যন হয়ে থাকে। এটিকে বলা হয় কোন রোগের উপসর্গ। এটি কোনো রোগ নয়। বিভিন্ন ইনফেকশনের কারণে ফ্লু কারণেও জ্বর হয়ে থাকে। তাই জ্বর কি এবং এর গুরুত্ব আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে। আসলে জ্বর হয় যখন আমাদের শরীরের অ্যান্টিবডি গুলো কোন জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে তখনই আমাদের শরীরে গরম হয় যেটাকে আমরা জ্বর বলি। তার সম্পর্কে সবারই জানা দরকার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit