![]() |
---|
![]() |
---|
নতুন কিছুর অপেক্ষা মানুষ প্রতিনিয়ত করে। তবে নতুন কিছু মানুষের সাথে প্রতিনিয়ত কখনোই হয় না। হয়তো বা সে যেমনটা চিন্তা করে তার সাথে ঠিক অন্যরকম ঘটে। তবে একাকীত্বটা বেছে নেওয়াটা খুব খারাপ একটা বিষয় নয়। আমার কাছে মনে হয় একাকীত্ব এমন একটা জিনিস । যেটা আপনাকে দিনশেষে অন্ততপক্ষে ভালো রাখতে সাহায্য করবে। অনেক কথাই মানুষ বলে সব কথার উত্তর এখন আর দিতে আমি প্রস্তুত নই। কারণ এখন আর তর্কের মধ্যে জড়াতে চাই না। আমাদের জীবনে সমস্যা শেষ নেই। তারপরেও আমরা সমস্যা সমাধান করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু জীবনে কিছু কিছু সময় আসে যখন আমরা সমস্যার সমাধান করার পরেও, নিজেদের মন মানসিকতা কোন কিছুই ঠিক রাখতে পারি না।
এই কয়েকদিনে অন্ততপক্ষে একটা জিনিস খুব ভালোভাবে বুঝতে পারলাম। সবার সাথে মনের কথা শেয়ার করা, সবার কাছে নিজের মনের অনুভূতি তুলে ধরতে নেই। দিন শেষে সেই মানুষটাও আপনাকে সেই কথার আঘাত দিয়েই অনেক বড় আঘাত করবে। তাই আমি মনে করি নিজের মনের অনুভূতি উপলব্ধি সবকিছু নিজের কাছেই লুকিয়ে রাখুন। যদি খুব বেশি কষ্ট হয়। আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের দুই ফোঁটা চোখের পানি ফেলুন। তারপরেও নিজের মনের অনুভূতি কারো কাছে প্রকাশ করবেন না। এখন সবাই আমাকে একটা প্রশ্ন করে, কেন সবাই এত কথা বলার পরেও আমি চুপ থাকি? তারপরেও কোন কিছু বলতে ইচ্ছে করে না! শুধুমাত্র শুনি যে যার মত করে বলে যাচ্ছে, আমি আমার মত করে শুনে যাচ্ছি! কারণ কারো কাছে এখন আর সাফাই দিতে আমি প্রস্তুত নই।
![]() |
---|
একাকীত্ব বেছে নিয়েছি। তার মানে এই নয় যে সবকিছু আমাকেই করতে হবে। কিন্তু আজকের দিনে দাড়িয়ে বুঝতে পারলাম সবকিছু আমাকেই করতে হচ্ছে। সবকিছু সামলাতে গিয়ে আমি আসলে একেবারে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। যাইহোক তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ বলবো, কারণ আল্লাহ তায়ালা আমার শরীরে শক্তি দিয়েছেন বলেই আমি চেষ্টা করেছি এবং সেখানে সফল হয়েছি। এবার আর ধান সিদ্ধ করা হবে না, তাই আগে থেকেই সমস্ত ধান ভালোভাবে শুকিয়ে বস্তায় ভরে রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই নিজের সংসারের যাবতীয় কাজ গুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। এমনিতেই মন ভালো নেই কারণ কবুতর হারিয়ে গেছে।
আমাদের প্রিয় জিনিস যখন হারিয়ে যায় তখন আমাদের কাছে অনেক বেশি কষ্ট লাগে। যাইহোক কিছু করার নেই শুকরিয়া আদায় করছি আল্লাহর কাছে। ধৈর্যের পরীক্ষা যেদিন শেষ হবে সেদিন অবশ্যই সফলতা আসবে। সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে কবুতর গুলোকে তাদের ঘর থেকে বের করে খাবার দিয়েছিলাম। এরপর সমস্ত ছাদ ঝাড়ু দিয়ে রেখে দিয়েছিলাম। একটু পরে ধান দেব আজকে ধান বস্তায় ভরে ঔষধ দিয়ে রেখে দেবো। কারণ এখন আর সিদ্ধ করব না আগের অনেক চাউল আছে। পরবর্তীতে সেদ্ধ করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। ছাদ ঝাড়ু দিয়ে নিচে নেমে আসলাম। তারপর রান্নাবান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
ঘরে এসে ছেলেদেরকে খাবার খাইয়ে দিয়ে ছোট ছেলেকে স্কুলে পাঠিয়ে দিলাম। এরপর আমি রান্নাবান্নার জন্য রান্না ঘরে গিয়ে বসলাম। চারপাশ অন্ধকার হয়ে এসেছে বুঝতে আর বাকি রইল না এখনই বৃষ্টি নামবে। বর্তমান সময়ে চারপাশ অন্ধকার হলেই বৃষ্টির সাথে সাথে নামা শুরু করে। একটু পরেই তুমুল বেগে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। আমি রান্না ঘরে বসেই আমার রান্নার কাজটা সম্পন্ন করে নিয়ে ছিলাম। রান্না করতে করতে বৃষ্টিও থেমে গেল। এটা দেখে অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম। এরপর রান্নার সমস্ত কাজ শেষ করে ঘরে সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে এসে, আমি ছাদে চলে গেলাম ছাদের মধ্যে আবারো পানি জমে আছে।
আসলে প্রতিদিন এই কাজগুলো করতে করতে এখন বিরক্তিকর মনে হচ্ছে। তবে আজকে শেষ হবে এটা ভেবেই ভালো লাগছে। যাইহোক ছাদ শুকানোর পর আমি ছাদের মধ্যে ধান দিয়ে দিলাম। এরপর ধানের কাজ করতে শুরু করলাম। একটু পরেই যোহরের আযান দিলো নিচে নেমে এসে হাতমুখ ধুয়ে ওযু করে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। তারপর নিজে আগে খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। আসলে সকাল থেকে কোন কিছু না খাওয়ার কারণে শরীর অনেক বেশি খারাপ লাগছিল। কাজ করতে গেলে খাবার খেতে ইচ্ছে করেনা, আবার খাবার না খেলে শরীর খারাপ হয়ে যায়। এটা এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে কিছুই করার নেই।
এরপর ছেলেদের কে খাবার খাইয়ে দিলাম। বড় ছেলে আবার ওই স্কুলে চলে গেল আমি ছাদে চলে গেলাম। ছোট ছেলে ঘরে বসে মোবাইলের মধ্যে কার্টুন দেখতে লাগলো। বিকেল চারটার সময় আমি সমস্ত ধান এক জায়গায় করে নিয়েছিলাম। এরপর আমি আর আমার শ্বশুর মিলে ধান বস্তায় ভরে নিয়েছিলাম। এরপর এক এক করে সমস্ত ধার নিচে নামিয়ে নিলাম। সমস্ত ধানের বস্তার মুখে একটা ওষুধ দিয়ে দিলাম, এরপর সমস্ত ধান ঘরে নিয়ে এসে একটা তেরফাল দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলাম। এরপর সমস্ত ঘর মুছে নিয়েছিলাম। মোটামুটি আজকে ধানের কাজ কমপ্লিট হয়েছে। ধান সেদ্ধ না করার কারণে এত তাড়াতাড়ি হয়েছে, তা না হলে আরো অনেক দিন সময় লাগতো।
![]() |
---|
যাইহোক নিজের কার্যক্রম গুলো শেষ করে আসরের নামাজ পড়ে বসে আছি নামাজের বিছানায়। মনে হচ্ছে এখন যদি একটু বিশ্রাম নিতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। কিন্তু সেটা আর হলো না দেখলাম নিজের এংগেজমেন্ট অনেকটাই কমে গেছে। তাই কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম। একটু পরে কবুতর গুলোকে তাদের ঘরে রেখে দিয়ে মুরগি গুলোকে ও তাদের ঘরে রেখে দিলাম। তারপর দরজায় তালা দিয়ে অজু এসে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়া শেষ হলে ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসলাম। তারপর তাদের পড়া শেষ হলে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে, আমি অজু করে নামাজ পড়ে শুয়ে পড়েছিলাম। এখন আর খেতে ইচ্ছে করছে না। এখন মনে হচ্ছে একটু ঘুম খুব প্রয়োজন। কখন ঘুমিয়ে পড়েছে নিজেও জানিনা, আর এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম।