ব্যর্থতা হল সফলতার নতুন আরেক রাস্তা বলা যায় চাবিকাঠি। আমরা ব্যর্থ না হলে সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে পারি না। কিন্তু আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে ব্যর্থতাকে নিজেদের জীবনের অঙ্গ বলে মনে করে। আমার কাছে মনে হয় ভবের হাঁটে আপনি যতই চেষ্টা করেন না কেন? আপনাকে ব্যর্থ হতেই হবে। ব্যর্থ না হলে আপনি সফলতার আসল স্বাদ কখনোই গ্রহণ করতে পারবেন না! আপনি জীবনে যত ব্যর্থ হবেন তত একটু একটু করে সফলতার দিকে এগিয়ে যাবেন, আর যখনই আপনি সফলতার খুব দার প্রান্তে গিয়ে পৌঁছাবেন! তখন হয়তোবা আপনাকে আরো একটু বেশিই ব্যর্থ হতে হবে।
আপনার কাজের প্রতি আপনার যদি দৃঢ় বিশ্বাস থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনি সফল হবেন। ব্যর্থতা তো শুধুমাত্র সফলতার একটা অংশ। হাজার বার ব্যর্থ হওয়ার পর যে মানুষটা উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। দিন শেষে কিন্তু সেই মানুষটাই সফল হয়। তাদের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের বাধা-বিপত্তি আমাদের আসে। সবকিছু সামলে নিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হয়। কারণ সামনের পথ অনেক বেশি সুন্দর। অন্ধকার ঘন জঙ্গলে রাস্তা খুঁজে পাওয়াটা অনেক কঠিন, কিন্তু আপনি যদি চেষ্টা করেন, তাহলে অবশ্যই আপনি সেই জঙ্গল পাড়ি দিতে পারবেন। এই পৃথিবীটা ও ঠিক তেমন, যতই আপনি একটু একটু করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন। ততই আপনার সামনে পথ অন্ধকার হয়ে যাবে। তবে আপনি যদি নিজের আস্থা বিশ্বাসের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারেন। তাহলে সফলতার পথ আপনি অবশ্যই পাবেন।
আমরা মানুষ অনেক আজব একটু কাজ করার পর হাপিয়ে উঠি। কিন্তু যারা সফলতার নেশায় দৌড়াতে থাকে, তারা কখনোই হাঁপিয়ে উঠে না। হয়তো বা কিছুটা সময়ের জন্য ব্যর্থ হয়। তারপরে আবারো ছুটে চলে নিজের লক্ষ্য পূরণ করার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে অনেক বেশি খুশি। তবে অনেক ব্যস্ত ধানের কাজ আসলে কত পরিমাণে কাজ করতে হয়, সেটা হয়তোবা যারা করে তারাই বুঝতে পারে। যাইহোক সকাল থেকে অনেক বেশি ব্যস্ততার মাধ্যমে নিজের সময়টা ব্যয় করেছিলাম। এরপর রান্নাবান্নার জন্য কিছুটা সময় ব্যয় করলাম। রান্নাবান্না শেষ করে তারপর ছাদে গিয়েছিলাম, সমস্ত ছাদ ঝাড়ু দিয়ে তারপর তার মধ্যে ধান দিতে হবে।
 |
 |
 |
বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা একটু আছে তবে হবে কিনা সঠিক বলতে পারিনা। তবে আমার কাজ আমাকে করতেই হবে এটা আমি বিশ্বাস করি। তাই এক এক করে সমস্ত ধান ছাদের উপর তুলে ফেললাম। তারপর যে জায়গায় রোদ আছে ওই জায়গাতে মোটামুটি ধান মেলে দিলাম। ধানের কাজ করতে করতে কখন যে দুপুর হয়ে গেল বুঝতেও পারলাম না। যোহর এর আযান দিলো মুখ হাত ধুয়ে ওযু করে এসে নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর ছোট ছেলে আসলো স্কুল থেকে তাকে গোসল করালাম। দুপুরের খাবার খাইয়ে দিয়ে তাকে ঘুমাতে বলেছিলাম, আমি আবার দুপুরের খাবার খেয়ে ছাদে চলে আসলাম।
 |
 |
বিকেল ৪ঃ০০ টা পর্যন্ত ছাদে ছিলাম, আম পাকা শুরু হয়ে গেছে গাছ থেকে হঠাৎ করেই পাকা একটা আম ছাদের উপরে পড়ল। তারপর আমি আর আমার ছোট ছেলে ভাগ করে খেয়ে নিয়েছিলাম। তারপর ধান আবার এক জায়গায় করে বস্তা ভরে এক এক করে সিঁড়ির রুমে রেখে দিলাম। তারপর নিচে নেমে গিয়ে আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করতে করতেই মাগরিবের আজান দিয়ে দিল। তারপর গোসল করে এসে অজু করে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম, তারপর ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসলাম। ওদের পড়া শেষ হলে ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপর আমি এশার নামাজ পড়ে শুয়ে পড়েছিলাম। কখন ঘুমিয়ে পড়েছি নিজেও জানিনা। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।