Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আর আপনাদের আজকের দিনটি অনেক ভালো কাটছে। গত বছরের তুলনায় এই বছর সব গাছেই আম একটু বেশি পরিমাণে হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই একটা গাছে আম পাকতেও শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত আম মাখা খাওয়া হয়নি।
বলতে পারেন একা একা আম মাখা খাওয়ার কোনো মজা নেই বলেই আর ইচ্ছে করেনি মেখে খেতে। তবে এই বছরের প্রথম পোড়া আমের শরবত খেয়েছি আজ থেকে বেশ কয়েকদিন আগেই। তবে সেই পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি। তাই ভাবলাম আজ আপনাদেরকে শেয়ার করি এই বছরের পোড়া আমের শরবত খাওয়ার দিন কিভাবে শরবত তৈরি করেছিলেন সেই পদ্ধতি।

সত্যি কথা বলতে অনেকেই গ্যাসে আম পুড়িয়ে পোড়া আমের শরবত তৈরি করেন। তবে গ্যাসে পোড়ানোর থেকেও উনুনের আগুনে আম পুড়িয়ে তার শরবত তৈরি করলে সেই স্বাদ অনেক গুণ বেড়ে যায়। এই বছর বেশ কয়েকদিন আগে অর্থাৎ বাসন্তী পুজোর সময় আমি আমার বাপের বাড়িতে গিয়েছিলাম।
আশাকরি সেই সময়কার পোস্ট আপনারা অনেকেই পড়েছিলেন। তখন একটা বান্ধবীদের বাড়িতে একটি গাছে বেশ বড় আম দেখেই সকলে ঠিক করেছিলাম, একসাথে বসে পোড়া আমের শরবত খাবো। তাই সকালে রান্না শেষ করে বান্ধবীর মা আমাদের জন্য দুটো আম উনুনের মধ্যেই পোড়া দিয়েছিলেন।

"প্রয়োজনীয় উপকরণ"
পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ লেখার আগে চলুন কি কি উপকরণ নিয়েছিলাম তা একবার আপনাদের জানাই, -
নং | উপকরণ | পরিমাণ |
১. | কাঁচা আম | ২ টো |
২. | লাল বাতাসা | এক কাপ |
৩. | বীট লবন | পরিমাণ মতো |
৪. | জলজিরা | ৬ প্যাকেট |
৫. | জল | পরিমাণ মতো |
৬. | গন্ধরাজ লেবুর পাতা | ৪-৫ টা |

"তৈরীর পদ্ধতি"
খুব কম উপকরণ দিয়ে এই গরমে এমন সুন্দর একটি শরবত কি পদ্ধতিতে বানিয়েছিলাম, এবার সেই ধাপগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি।
"প্রথম ধাপ"
উনুনে পোড়ানো আমগুলো একটু ঠান্ডা হলে ভালো করে ধুয়ে, খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছিলাম। খোসা গুলোতে একটু পোড়া ভাব (ছবিতে যেমন দেখতে পারছেন) এলে তবেই এই শরবতের আসল স্বাদ পাওয়া যায়। এরপর আঁটিগুলোকে আলাদা করে ছাড়িয়ে, শাঁস গুলো মিক্সিতে দিয়ে দিয়েছিলাম।

"দ্বিতীয় ধাপ"
অন্যদিকে লাল রঙের বাতাসা জলের মধ্যে আগে থেকেই ভিজিয়ে রাখা হয়েছিলো। যাতে সেগুলো নরম হয়ে যায়,আর পরবর্তীতে জলের সাথে সহজেই মেশানো যায়। যাইহোক পরে বাতাসা গুলো ভালোভাবে গলে গেলে জলের মধ্যে মিশিয়ে জলটাকে আলাদা জায়গায় ছেঁকে নিয়েছিলাম।

"তৃতীয় ধাপ"
এরপর এ জলের মধ্যে পরিমাণ মতো বিট লবণ এবং জলজিরা মিশিয়ে নিয়েছিলাম। আর তার সাথে দিয়েছিলাম গন্ধরাজ লেবুর পাতা। পূর্বে আমি পোড়া আমের শরবতে কখনো গন্ধরাজ লেবুর পাতা ব্যবহার করিনি। তবে এটা দিলে স্বাদ ও গন্ধ যে এতো ভালো হয়, সে বিষয়ে আমার কোনো ধারণা ছিল না।

"চতুর্থ ধাপ"
যাইহোক আমগুলো মিক্সিতে ভালোভাবে পেস্ট করে, আগে থেকে বাতাসা ও মসলা মেশানো জলের মধ্যে আমের শাঁসের পেস্ট দিয়ে দিলাম। এরপর দুটি পাত্রের মধ্যে এদিক ওদিক করে সমস্ত জিনিস গুলোকে সুন্দরভাবে মিশিয়ে নিলাম।

"পঞ্চম ধাপ"
তারপর ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা জল বের করে আরো খানিকটা জল মিলিয়ে শরবতটাকে পুরো ঠান্ডা করে, তারপর গ্লাসে ঢেলে নিয়েছিলাম।
এরপর চারজন মিলে দারুণ আনন্দ করে খেয়েছিলাম এই বছরের প্রথম পোড়া আমের শরবত। আমরা যখন এই শরবত খেয়েছিলাম তখন হয়তো অনেকেই শরবত খায়নি। কারণ বেশিরভাগ গাছে তখনও আম বড় হয়নি।

"ফাইনাল লুক"
যাইহোক সেই মুহুর্তটা খুব সুন্দর ভাবে অতিবাহিত হয়েছিলো। তবে সেই মুহূর্তে নিজেদের ছবি অর্থাৎ সেলফি আমরা তুলিনি। তার পিছনেও কারণ ছিলো, সে না হয় অব্যক্তই থাক। তাই আপনাদের সাথে শুধু আমের শরবতের ফাইনাল লুকটাই শেয়ার করলাম।

আপনারা কারা কারা এই বছর পোড়া আমের শরবত খেয়েছেন, অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করি। ভালো থাকবেন প্রত্যেকে।

প্রথমে বলবো পোড়া আমের শরবত আমি কখনো খাইনি। তবে আপনার শরবত তৈরি করার পদ্ধতি এবং ছবি দেখে অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে। আম ভর্তা একা একা তৈরি করে খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না তবে আপনি আমের শরবত তৈরি করেছেন খুব সুন্দর ভাবে একজন অবশ্যই তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করব অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার আমের শরবত তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit