![]() |
---|
আজকে বিশেষ কারণে মনটা খারাপ, মানুষ কাজেই নিজের অনেক অভিব্যক্তি দায়িত্ব এবং কাজের আড়ালে লুকিয়ে রাখি!
মানুষ তাই কখনও হাসি, কখনও দরাজ কণ্ঠের আড়ালে লুকিয়ে রাখি নিজের মন খারাপের কারণগুলো!
ঘড়ির কাঁটায় ভারতীয় সময় রাত নয়টা বেজে পঞ্চাশ মিনিট, ওষুধ খেয়েও মাথা ব্যাথা কমছে না!
ভাবলাম লিখে নি, কারণ এরপর যদি সমস্যা বাড়ে হয়তো লেখাই হবে না, সেটা ও আমি পারতপক্ষে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।
অপরিচিত মানুষের দেওয়া যন্ত্রণা তবুও নেওয়া যায়, কিন্তু পরিচিত মানুষের দেওয়া যন্ত্রণা গুলো সহ্য করা তুলামূলকভাবে কঠিন।
আজকে ব্যাক্তিগত জীবনে একটি অভিজ্ঞতা থেকে শিখলাম জীবন আর মৃত্যুর মাঝে যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে সেটা হলো পছন্দ!
অনেকেই হয়তো একটু দ্বন্দ্বে পড়ে গেলেন উপরিউক্ত আমার লেখাগুলো পড়ে, তবে বিশ্বাস করুন প্রতিদিনের থেকে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা থেকেই আমার এই শব্দ চয়ন।
তবুও, আপনাদের উদাহরণ দিয়ে বলি।
একটু ভাবলে খুঁজে পাবেন, আমাদের দৈনন্দিন দুঃখের বেশিরভাগটাই জুড়ে রয়েছে পছন্দ!
![]() |
---|
সঠিক মানুষ পছন্দ জীবনের আগামী পথ চলার জন্য!
নিজের পছন্দমতো পথ চলার সঙ্গী না পাওয়ার যন্ত্রণা!
পছন্দ জড়িয়ে আছে পরিধান, খাওয়া দাওয়া, শিক্ষা, মনের মানুষ, পরিবার ইত্যাদি বহুকিছু!
এরমধ্যে অনেক কিছু পছন্দসই না হলেও হয়তো দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত করা সম্ভব;
তবে, আমার মনে হয় মানুষ যদি জীবনে একবার ভুল পছন্দ করে ফেলেন, তার খেসারত দিতে হয় সারাজীবন।
তবে, আজকাল আমার প্রায়শই মনে হয়, যদি একটা টাইম মেশিন পেতাম, খানিক পিছনে গিয়ে নিজের ভুল পছন্দের তালিকায় থাকা কিছু নাম সহ ঘটনা মুছে দিয়ে আসতাম।
![]() |
---|
মানুষ কি করে অতীত ভুলে যেতে পারে?
মানুষ কিভাবে ভুলে যেতে পারে তাদের যারা এক সময় নির্দ্বিধায় তাদের বিশ্বাস করেছিল, আর সেই বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে লুটিয়ে দিয়েছিল সবকিছু?
ব্যবহারের তারতম্য নজরে পড়ার মতো পাশার দান বদলে গেলে!
আর ঠিক সেই সময় চেনা মুখ হয়ে যায় অচেনা!
নিজের পছন্দকে, নিজের সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানাতে ইচ্ছে করে!
নিজেকে বলি, আর কবে শিখবি? মানুষ এই পৃথিবীতে বসবাস করা সবচাইতে ঘৃণ্য তথা বেঈমান জীব!
আর কতবার বিশ্বাস করে ঠকবি?
আর কতবার অন্যের জন্য ভাবতে গিয়ে সর্বশান্ত হবি?
এখন আর কারোর সাথে নয়, নিজের সাথে নিজের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি প্রতিমুহুর্তে!
কখনও মনে হয়, এই অপাত্রে দানের চাইতে রাস্তার পাশে থাকা দৈন্য দের মাঝে সবটা বিলিয়ে দিলে কোথাও একটা মানসিক শান্তি কাজ করত।
![]() |
---|
ভিড়ের মাঝে অনন্য হতে যেমন যোগ্যতা প্রয়োজন, তেমনি সেই ভিন্নতাকে পছন্দ করাও সমান প্রয়োজন। |
---|
আচ্ছা আপনাদেরকেই প্রশ্ন করছি, ধরুন আপনি আপনার পছন্দের মানুষদের বিশ্বাস করে নিঃস্বার্থ ভাবে নিজের সবটা(বিশ্বাস, ভরসা, উপার্জন, পরিশ্রম ইত্যাদি) উজাড় করে দিলেন নিজে নিঃস্ব হয়ে!
এরপর যখন আপনার প্রয়োজনে তাদের আসেপাশে দেখতে পান না, কিংবা তাদের ব্যবহার অচেনা মানুষের মতো হয়ে যায়, তখন আপনাদের কি আমারই মতো মনে হয়না জীবন আর মৃত্যুর মাঝে এই সঠিক পছন্দই মুল বিষয়?
নইলে প্রতি পদে পদে ভোগান্তি ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকে না!
জীবনে যার যেটুকু সময় অবশিষ্ট রয়েছে, আমার মনে হয়, এখন থেকেই তাদের পছন্দের ক্ষেত্রে একটু সচেতন হবার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
যদিও নিজের অভিজ্ঞতা দ্বারা উপার্জিত মনের কথাগুলো নিজের মতো করে উপস্থাপন করলাম সহমতের প্রত্যাশা ছাড়াই।
পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে না গেলে শব্দের মূল্যায়ন যথার্থ ভাবে করা যায় না! কি তাই তো?
এখন প্রতীক্ষা শুধু সময়ের চক্র পরিবর্তনের, জানিনা এই ধৈর্য্য আর কতদিন ধারণ করে রাখতে পারবো!
নাহ্! ভাববো না ভুল পছন্দের কথা, তাহলে তাদের উপযুক্ত শাস্তি পেতে সময় লাগবে, ছেড়ে দিয়েছি সবটা সর্ব শক্তির বিচারের উপর।
সঠিক পছন্দের অনেক বড় ভূমিকা জীবনে, নইলে বাকি জীবন রসাতলে।


আপনার লেখাটি অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক এবং হৃদয়স্পর্শী। জীবনের প্রতিটি বাঁকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের গুরুত্ব আপনি খুব সহজ ও বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। 'জীবনের পাঠশালা' আসলেই আমাদের প্রতিটি অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই চলতে থাকে — এই উপলব্ধি মনকে নাড়া দেয়। আপনার চিন্তাভাবনা এবং অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে লেখা এই পোস্টটি যে কারো জীবনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে পারে। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি লেখা আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit