হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ সোমবার। ২৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
জাফর হুজুরের ছোট ছেলে রামদের বাড়িতে এসে পুরো ঘটনা শুনেছিল। রহিম, রাম ও রমজান তিনজন একই বয়সের ছেলে। আগামী একমাস পরেই তাদের বয়স ৯ বছর করে পূর্ণ হবে। তাই ভালো-মন্দ বোঝার ক্ষমতা তাদের ভাল রকমই হয়ে গেছে। পুরো ঘটনা শুনে রমজান বুঝতে পেরেছিল যে, এটা তার বাবার দোষ। এদিকে রমজানের মা এবং রমজান তার বাবার আদর্শের ঠিক বিপরীত। ধর্মকে ব্যবহার করে দাঙ্গা লাগানোর কাজ জাফর হুজুরের স্ত্রী অর্থাৎ রমজানের মা একেবারেই পছন্দ করতো না। ঠিক তেমনি রমজানও তার মায়ের মতই হয়েছে। তার বাবার কুকর্ম গুলো রমজান একেবারেই সহ্য করতে পারে না। তাই রমজান তার বাবার কুকর্মের কথা জেনে খুবই লজ্জায় পড়ে গেল।
এদিকে রামদেরকে সাহায্য করার জন্য রহিম নতুন করে বুদ্ধি বের করলো। তখন রহিম রমজানকে ডেকে বললো, দেখো রমজান, রাম আমাদের অত্যান্ত প্রিয় একজন বন্ধু, আপনজন। রামকে এবং রামের পরিবারকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। রহিমের কথা শুনে রমজান বললো, বন্ধু আমার তো কিছুই করার নেই, এমনকি আমার মা পর্যন্ত আমার বাবার সামনে কথা বলার কোন সাহস রাখে না। রমজান আরো বললো, আমার বাবা যদি জানতে পারে আমি রামদের বাড়িতে এসেছি তাহলে আমাকে বাড়ি থেকেই বের করে দিবে। তখন রহিম ও রাম দুজনেই রমজানকে সেখান থেকে খুব দ্রুত চলে যেতে বললো। রমজান যাওয়ার আগে রহিমকে বললো, বন্ধু, আমাদের বাড়িতে যখন মিটিং হয় তখন আমি আড়াল থেকে সব কথা শুনবো এবং তোমাদের বলবো।
তারপর রামদের বাড়ি থেকে রমজান খুব দ্রুত তার বাড়িতে চলে গেল এবং রমজান তার মায়ের কাছে সবগুলো কথা খুলে বললো। রামদের বাড়ি থেকে গরু-ছাগল জোর করে নিয়ে যাওয়ার কথা শুনে রমজানের মা অত্যন্ত লজ্জিত হলো এবং জাফর হুজুরের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করলো। এদিকে জাফর হুজুর এবং তার সঙ্গীরা রঞ্জিতের হাতে মার খেয়ে পুরো গ্রামে হিন্দুদের বিপক্ষে মিথ্যাচার শুরু করলো। জাফর হুজুর সাধারণ মানুষদেরকে বোঝাতে লাগলো যে, সে রঞ্জিতদের বাড়িতে ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়েছিল, আর এই অপরাধে রঞ্জিত এবং রঞ্জিতের বাড়ির সদস্যরা তাকে লাঠিপেটা করেছে। জাফর হুজুর এবং তার সঙ্গীদের মুখে এরকম কথা শুনে সাধারণ মুসলমানরা হিন্দুদের প্রতি অনেক বেশি রাগান্বিত হলো।
জাফর হুজুর এবং তার সঙ্গীরা ধর্মকে ব্যবহার করে খুব সহজেই সাধারণ মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হলো যে, আমাদের দেশ থেকে সকল হিন্দুকে বিতাড়িত করতে হবে। জাফর হুজুরদের অপপ্রচারে মুহূর্তেই তাদের অনুসারীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি হয়ে গেল। ঠিক এমন মুহূর্তে খবর এলো যে, তাদের পাশের গ্রামে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে হিন্দুদেরকে ভিটেবাড়ি ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের বাড়ি লুট করা হচ্ছে, তাদেরকে বেধড়ক মারা হচ্ছে। এমনকি হিন্দুদের যুবতী মেয়েদের মান সম্মান নষ্ট করে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রঞ্জিতরা অত্যন্ত শঙ্কিত হয়ে পড়লো এবং রহিমের বাবার কাছে সকলেই ছুটে এলো।[গল্পটি চলমান থাকবে]
আমার পরিচয়।

আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।




আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
X-promotion link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকের কাজ সম্পন্ন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit