আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটি বন্ধুরা
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজ রবিবার , ৪ মে ২০২৫
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা । আমার আজকের এই ভ্রমণ পোস্ট দেখা এবং পড়ার জন্য অভিনন্দন। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক ও যশোর বিমানবন্দর ভ্রমণের দশম পর্ব নিয়ে। এর আগে আমি আপনাদের মাঝে নয়টি পর্বে শেয়ার করেছি। আর এই নয়টি পর্বের মধ্যে সবগুলোই বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্কের মধ্যে ঘোরাঘুরি ও মুহূর্তগুলো তুলে ধরেছিলাম। তবে নবম পর্বের শেষের দিকে আমি যশোর বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলাম এবং সেখানকার একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এরপরে যশোর বিমানবন্দরের পাশে সুন্দর একটি ছোট পার্ক মত জায়গা করা হয়েছে যেখানে সবাই ঘোরাঘুরি করবে। আমরা সেখানে ঢুকেছিলাম আর সেখানকার মুহূর্তগুলো এখন আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্কের থেকে আমার কাছে যশোর বিমানবন্দর ভ্রমণ টা বেশি ভালো লেগেছে।
আমরা যশোর বিমানবন্দর গিয়ে এবার থেকে নেমে দেখতে পেলাম একটি প্লেন নিচে নামছে। আমরা খুবই আনন্দের সাথে সবাই বাসে বসেই সময়টুকু উপভোগ করলাম। এরপর নিচে নামতেই মাথার উপর দিয়ে ছোট ছোট প্লেন অনেকগুলো উড়ে যাচ্ছিল বারবার। একসাথে একটা দুইটা তিনটা এভাবে কিছুক্ষণ পরপরই ছোট ছোট প্লেন গুলো উড়ে যাচ্ছিল এর সাথে কিছু ড্রোন উড়ছিল। প্লেনের আওয়াজ শুনে আবু রায়হান তো বারবার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলো। মজার ব্যাপার হচ্ছে বাসের মধ্যে আবু রায়হান ঘুমিয়ে গিয়েছিল। প্লেনের শব্দ শুনা মাত্রই তার ঘুম ভেঙে যায়। আর এরপর থেকে ও সবটা অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করছিল। তারপর আমরা এয়ারপোর্টের পাশে সুন্দর একটি ছোট্ট পার্ক দেখতে পেলাম। সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্লেন উড়োজাহাজ রকেট এগুলো সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে আগেকার দিনের। আমরা যে স্কুল থেকে গিয়েছিলাম সেই স্কুলের প্রধান ছিলেন একজন পাসপোর্ট অফিসার। আর ওখানে গিয়ে উনি আমাদেরকে অনেক সাহায্য করেছে।
তাই আমরা খুব তাড়াতাড়ি পার্কের মধ্যে ঢুকে পড়লাম। এরপর সবগুলো বেশ সুন্দরভাবে দেখছিলাম আর সময় উপভোগ করছিলাম। সাথে অনেক ধরনের খেলনা রয়েছে এর মধ্যে। বাচ্চা এবং বড়দের জন্য জায়গাটা ভীষণ সুন্দর এবং আনন্দদায়ক। প্রথমবার এত সুন্দর একটি জায়গা দেখে আমি তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ওখানে কি আমরা নাগর দোলায় চড়েছিলাম এরপর আবু রায়হানকে দুই তিনটা খেলনার ঘরে ঢুকেছিলাম তবে ও তেমনটা বুঝতে পারছিল না খেলা গুলো। কেননা ও এখনো অনেক ছোট দুই তিন বছর বয়স হলে ওগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারবে। তবে খেলনার ওই বিষয়গুলো এবং কিছুটা ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার। আমার ছবির মধ্যে আপনারা যশোর বিমানবন্দরের অনেকটা জায়গায় দেখে ফেলেছেন। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগছে।
জায়গাটা খুব বেশি বড় না কিন্তু কম জায়গাতে অনেক সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করেছে। সবাই যে যার মত প্লেনে উঠছে আর ছবি তুলছে। সব থেকে ভালো লেগেছে সবগুলো প্লেনের সামনে বড় বোর্ডে প্লেনে চালক এবং বিস্তারিত লিখে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছিল। বলা যায় কোন প্লেন কোথায় কিভাবে কে চালিয়ে নিয়ে গেছে এসব বিষয়গুলো বিস্তারিত অনেক সুন্দর ভাবে লিখে রেখেছিল বোর্ডের ওপর। এরপর অনেক বিশেষ মানুষদের ছবি ছিল এবং তাদের পরিচয় ও কর্ম খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছিল। সব মিলিয়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল যশোর বিমানবন্দর। তবে আজকে আমি এখানে শেষ করছি। বাকি অংশটুকু অন্য পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে আবার নতুন কোন পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে হাজির হবার চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/MstFatema137069/status/1918667203316244884?t=KfM8A4Ut0YSU4weQOdXXYA&s=19
https://x.com/MstFatema137069/status/1918673922608025859?t=15AXbQ3rORR63-GKYwPy7A&s=19
https://x.com/MstFatema137069/status/1918674783954161917?t=_eOplAI2jjj_unKzdsLrZg&s=19
https://x.com/MstFatema137069/status/1918675707443462202?t=2-_b9O8Mi5BaFo0NGt5ewA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit