রেসিপিঃ ঠান্ডা ঠান্ডা বেলের শরবত 🍹🍹

in hive-129948 •  2 months ago  (edited)

হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ঠান্ডা ঠান্ডা বেলের শরবত এর রেসিপি। আমি খুবই ঘরোয়াভাবে এটি তৈরি করি এবং গরমকালে এই শরবতের জুড়ি নেই।বেলের শরবত এর গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। এতে রয়েছে ভিটামিন-এ যা চোখের জন্য খুবই উপকারী। বেলের শরবত খেলে পেট ঠান্ডা থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়।কিছুদিন যাবত গরম পড়েছে খুব। আর এই গরমে বেলের শরবত পান করলে শরীরের ক্লান্তি দূর হবে। যাইহোক আজ তৈরি করেছিলাম বাসায় সন্ধ্যায় বেলের শরবত।

বেলগুলো আমাদের গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা।শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলাম ঈদে সেখান থেকে এনেছিলাম। আজ সন্ধ্যায় আপনাদের ভাইয়া এবং আমার বাবা বাসায় ফিরে বেশ ক্লান্ত ছিল। ভাবলাম তাদেরকে ঠান্ডা ঠান্ডা বেলের শরবত তৈরি করে দেই। এতে করে তারা এটি পান করে ক্লান্তি দূর করতে পারবে। আর আমার ছেলেও একদমই ফল খেতে চায় না আর তাই আমি যে কোনো ফল ওকে জুস বানিয়ে খাওয়ায়। ভাবলাম অনেকদিন আপনাদের সাথে কোনো রেসিপি শেয়ার করা হয় না। তাই আমি কিভাবে বেলের শরবত বানিয়েছি সেটা শেয়ার করছি।

হয়তো আপনারা অনেক উপকরণ দিয়ে বেলে শরবত তৈরি করে থাকবেন কিন্তু আমি খুবই ঘরোয়া পদ্ধতিতে এবং মাত্র কয়েকটি উপকরণ দিয়ে এই বেলের শরবত তৈরি করেছি। খেতেও বেশ মজার হয়েছিল। এবং সারাটা দিন অসহ্য গরমের পর এক গ্লাস ঠান্ডা ঠান্ডা বেলের শরবত যেন প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছিল। যাইহোক চলুন দেখা যাক আমি কিভাবে বেলের শরবত তৈরি করেছি।

1000041294.jpg

1000015079.png

উপকরণ
গাছ পাঁকা বেল
চিনি
নরমাল ঠান্ডা পানি

1000041310.jpg

1000000122.png

ধাপ-১

প্রথমেই পাঁকা বেলটি আমি মাঝ বরাবর ভেঙে নিয়েছি।

1000041309.jpg

ধাপ-২

এরপর একটি চামচের সাহায্যে বেলের নরম অংশ গুলো আমি একটি পাত্রে নিয়েছি।

1000041311.jpg

ধাপ-৩

এবার পরিমাণ মতো পানি দিয়ে হাত দিয়ে পানি এবং বেল একসাথে মিশিয়ে নিয়েছি।

1000041312.jpg

ধাপ-৪

এবার শরবত এর মিষ্টি স্বাদটা ব্যালেন্স করতে অল্প পরিমাণে চিনি ব্যবহার করেছি।

1000041313.jpg

ধাপ-৫

এবার একটি ছাকনির সাহায্যে বেলের আঁশগুলো থেকে নিয়েছি।

1000041314.jpg

ধাপ-৬

এবার সবাইকে ঠান্ডা ঠান্ডা এক গ্লাস শরবত পরিবেশন করেছি।

1000041315.jpg

1000041295.jpg

আপনারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন ফ্রিজের পানি ব্যবহার না করার। কারণ এই অসময়ে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি।তাই টিউবওয়েল কিংবা মটরের সরাসরি পানি ব্যবহার করবেন।আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000000118.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

এই গরমের দিনে বেলের জুস খেতে খুবই ভালো লাগে। শুধু যে ভালো লাগে এমনটা নয় স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। আর বাইর থেকে আসলে ঠান্ডা ঠান্ডা জুস খেলে শরীরটা একদম ঠান্ডা হয়ে যায়। অনেক মজার করে বেলের শরবত তৈরি করে সেই রেসিপিটি আমাদেরকে শেয়ার করলেন দেখে ভালো লেগেছে।

হ্যাঁ আপু বেলের জুস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

সত্যিই ঠান্ডা ঠান্ডা হলে শরবত খেতে গরমকালে এত ভালো লাগে। আমাদের বাড়িতে একটা বিরাট বিল্লাল আছে আর সেই বেলগাছে এত সুস্বাদু বেল হয়। তবে দুঃখের বিষয় আমি গরমকালে যখন বাড়ি যাই ততদিনে সমস্ত বেল শেষ হয়ে যায় ফলে আমার আর বেলে শরবত খাওয়া হয় না। আর এই ভাবেই আমি যে কত বছর বেলের শরবত খাইনি তা বোধ হয় হিসেবের বাইরে।

আপনার বেলের শরবতের রেসিপিটি দারুন হয়েছে।

আহারে আপনার কথা শুনে আমারই খারাপ লাগছে। আপনি বাড়ি যেতে যেতে সমস্ত বেল শেষ হয়ে যায়। আফসোস করে কি করবেন আপু বাজার থেকে কিনে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

বেলের শরবত খুবই উপকারী একটি রেসিপি। যার মাধ্যমে শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান হয়। গত পরশুদিন বাজারে গিয়েছিলাম, একজোড়া বেলের দাম ১০০ টাকা চাই। সেজন্য আর কেনা হয়নি। রেসিপিটা অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।

বাজারে এসব ফলের দামে বেশ চড়া। এগুলো আমাদের গাছের বেল ছিল। খেতেও বেশ মজার। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

আপনি আজকে আমার সবথেকে বেশি পছন্দের রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে আমার তো অনেক লোভ লাগলো। এই রেসিপিটা দেখলেই আমার জিভে জল চলে আসে। আপনি খুবই লোভনীয় এবং সুস্বাদু ভাবে রেসিপিটা তৈরি করেছেন। দেখেই বুঝতে পারছি অনেক মজা করে খেয়েছেন এটা। কোনো রকমে লোভ সামলাতে পারছি না রেসিপিটা দেখে।

বেলের জুস আপনার খুবই পছন্দের জন্য ভালো লাগলো আপু।এটা ঠিক বলেছেন আমরা সবাই খুবই মজা করে খেয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।