বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে প্রতিদিনের জীবন সংগ্রাম থেকে এক টুকরো অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আমাদের জীবন সংগ্রাম অনেক কঠিন। আর সেই কঠিন জীবনকে আরো কঠিন করে দেয় ঢাকা শহরের যানযট। সারা বিশ্বের শহরের মধ্যে ঢাকা শহর খুবই ব্যয়বহুল আর ঘনবসতিপূর্ণ একটি শহর। যেখানে জীবন পরিচালিত করতে মধ্যে ও নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে হিমসিম খেতে হয়। আর সব থেকে বড় সমস্যাটি হলো সময় মেইন্টিন করা যায় না। ঢাকা শহরে যারা বাস করে তাদের জীবনের অর্ধেক সময় যানযটের মধ্যেই বসে থাকতে হয়।
গতকাল আমার এক সাবেক কলিগ তার ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য জামালপুর থেকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। জন্মের পর থেকেই নাকি ছেলেটাকে ডাক্তারের চেকআপের উপর রাখতে হচ্ছে। সে আমাদের সাথে চাকরি করতো। ২০২১ সালে চাকরি ছেড়ে গ্রামে গিয়ে ছোট একটি ব্যবসা দিয়েছে। এখন মোটামুটি ভালো অবস্থানেই আছে। তো সে আরো কয়েকবার এসেছিল। যখন ঢাকা আসে আমাকে ফোন দেয়। তবে কাজের চাপে দেখা করার সুযোগ হয় না।
গতকাল আমি আবার একটি পারসোনাল কাজে ইস্কাটনে গিয়েছিলাম। সেখানে থাকা অবস্থায় কলিগ ফোন করেছিল। চিন্তা করলাম যেহেতু অনেকদিন যাবত দেখা সাক্ষাত হয় না তাই একবার দেখা করে আসি। রিকশা নিয়ে পিজি হাসপাতালের দিকে রওনা দিয়েছিলাম। কি বলবো কোথায় থেকে যে এত গাড়ি আসে, আল্লাহই জানে। মেইন রোডে ৩০ মিনিটের মত জ্যামে বসে থেকে অধৈর্য হয়ে গলির রাস্তা দিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে করলাম। সেদিক দিয়ে আরো বেশি জ্যাম। মানে ঢাকা শহরে কি যে একটা অবস্থা।
১০ মিনিটের রাস্তা ১ ঘন্টায় যাওয়া যায় না। শহরে যত মানুষ তত গাড়ি। এখন যে রাস্তা আছে সেটা ডাবল করে দিলেও জায়গা হবে না। আর দুঃখের বিষয় হলো অধিকাংশ মানুষ বা ড্রাইভার ট্রাফিক আইন মানে না। বিশেষ করে রিকশা অটো সে গুলো বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে। অর্ধেক রিকশা অর্ধেক হেঁটে ঘাম জড়িয়ে অবশেষে পিজিতে গিয়ে পৌঁছেছিলাম। আর গতকাল কি পরিমান গরম ছিল, সেটা আপনারা সবাই জানেন।
অবশেষে কলিগের সাথে দেখা হয়েছে। পিজির ক্যান্টিনে চা নাস্তা খাওয়া হয়েছে। আসার সময় চিন্তা করলাম যে ভাবেই হোক মেট্রোরেলে যেতে হবে। কারন যাওয়ার সময় যদি আবার যানযটে আটকে যায়, তাহলে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। শাহবাগ থেকে মেট্রোরেলে উঠলাম পল্টনে আসার জন্য। মেট্রোতে উঠে দেখি মানুষের জন্য পা রাখার জায়গা নাই।
রাস্তার যানযট থেকে বাঁচতে সবাই চেষ্টা করে মেট্রোতে যাতায়াত করতে। জানজট এড়াতে ঢাকাবাসীর ভরসা এখন মেট্রোরেল। কিন্তু সব জাগায় তো মেট্রোরেল নাই। মেট্রোরেলে ২০ মিনিটের রাস্তা যাওয়া যায় মাত্র পাঁচ মিনিটে। যার ফলে সবাই মেট্রোরেলে হুমরি খেয়ে পড়ে। ঢাকাবাসীকে যানযট থেকে মুক্ত করতে হলে ঢাকা শহরকে গাজিপুর,নারায়ণগঞ্জের সাথে মেট্রোরেলে কানেকশন করতে হবে। তাহলে হয়তো ঢাকাবাসী যানজট থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ২২-০৪-২০২৫ |
সময় | দুপুর -১২.৩০ মিনিট |
স্থান | শাহবাগ , ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [12/30/2024 3:52 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
https://x.com/RamimHa74448648/status/1914929100881547706?t=sXxUS8oiaMbOuiGsfG8hMw&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1914650420846514241?t=KOgZyHQsxwHKNgGunf3WQg&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঢাকার রাস্তার জ্যামের কথা আর না বলি। মাঝে মাঝে এটা আর সহ্য হয় না। তবে এক্ষেত্রে মেট্রো টা বেশ কার্যকর। কিন্তু মেট্রোতেও এখন বেশ অনেক ভীড় হয়। টিকিটের জন্য অনেক টা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit