প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কেবল মানুষের জন্যই ছিল না এক বিভীষিকাময় সময়—লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল অসংখ্য নিরীহ প্রাণীও। ঘোড়া, গাধা, খচ্চরের মতো প্ররণণীলুলী নির্যদনঈনৱযযণদে যুদ্ধকইত্রে ছুটে চলছিলू তারা খাদ্য, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং আহত সৈন্য পরিবহনের কাজ করত। নিজের জীবন বাজি রেখেও তারা দায়িত্ব পালন করেছে অবিচল নিষ্ঠায়। এই যুদ্ধে প্রাণ হারায় প্রায় ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্রাণী।
১৯১৫ সালে এই নীরব যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানাতে সংঘটিত হয় এক ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা। সৈন্যরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করে, গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারানো এই প্রাণীগুলোকে। রক্তাক্ত যুদ্ধের মধ্যেও সেই এক মুহূর্তের নীরবতা যেন জানিয়ে দেয়—মানবতার আলো তখনও নিভে যায়নি।
আহত ঘোড়াগুলোর চিকিৎসা, মৃতদের যথাযোগ্য সৎকার এবং তাদের স্মৃতিতে গড়া হয় স্মৃতিস্তম্ভ। ‘Blue Cross’ নামের একটি চ্যারিটি সংগঠন যুদ্ধক্ষেত্রে আহত প্রাণীদের চিকিৎসা দিয়ে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—যুদ্ধ যতই নিষ্ঠুর হোক না কেন, ভালোবাসা, সহানুভূতি আর শ্রদ্ধার জায়গা সেখানে আজও ছিল। সেই নীরব যোদ্ধাদের আমরা ভুলিনি, যারা ভাষা ছিল না, কিন্তু কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইতিহাসের নির্মম অধ্যায়ে আত্মোৎসর্গ করেছিল নিঃশব্দে।