কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আমরা যদি সুষম খাদ্য গ্রহণ না করি তাহলে দেখা যায় আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে অথবা আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। তাই ভালোভাবে এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যের প্রয়োজন। তেমনই পাশাপাশি আমাদের পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আমরা যদি সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত পরিমান না ঘুমাই অথবা রাতে শুয়ে শুধু এপাশ-ওপাশ ঘুরতে থাকি গভীরভাবে সুন্দর একটি ঘুম না দিই তাহলে আমাদের শরীর কিন্তু সকালে উঠেও অনেক বেশি ক্লান্ত থাকে। কারণ আমাদের শরীর ঠিকঠাক ভাবে আগের দিনের ক্লান্তি রাতে সঠিকভাবে না ঘুমানোর ফলে দূর করতে পারে না। তাই রাতে না ঘুমালে আমাদের শরীর ক্লান্ত থাকে এবং কোন কাজেই মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। অনেকেই আছে যাদের রাতে ঠিকঠাক ঘুম হয় না, একটা পিন পরার শব্দ তারা টের পায়। অর্থাৎ পরিপূর্ণ ভাবে গভীর ঘুম তারা ঘুমাতে পারে না। এছাড়াও সারাদিনের বিভিন্ন ধরনের চিন্তা, সংসার এবং পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন জীবনের দুশ্চিন্তার কারণে রাতে ভালোভাবে অনেকেই ঘুমাতে পারে না। তাই আজ আমি আমার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চলেছি যার দ্বারা আমি অনেক বেশি উপকৃত হয়েছি এবং আমার ঘুমের সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়েছে। রাতে ঘুমের আগে আমাদের অবশ্যই একটু স্নান করে নেওয়া উচিত।
স্নান করলে নিজেকে পরিষ্কার এবং সুস্থ অনুভব হয়ে থাকে। তাই আমাদের ঘুম ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি স্নান করা সম্ভব না হয় তাহলে ভালো করে হাত, পা, মুখ এবং অবশ্যই ঘাড়ে জল দিয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার হয়ে তবে এই ঘুমাতে যাওয়া উচিত। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ তাই আমরা সবাই রাত জেগে ফোন দেখে থাকি কারণ সারাদিন কিছু না কিছু কাজের মধ্য দিয়ে দিন যায়। তবে আমাদের বুঝতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা রাত জেগে যেসব ভিডিও দেখে চলেছি তাতে শুধু ভিউজ বাড়ছে অন্যের উপকার হচ্ছে, আর আমাদের প্রতিনিয়ত শরীরের ক্ষতি হচ্ছে। রাত জেগে ফোন দেখার কারণে আমাদের চোখে অনেক বেশি প্রেসার পড়ে যার ফলে আমাদের চোখ খারাপ হয়ে যেতে পারে এবং চোখের পাওয়ার অনেকটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়া আমরা যদি ফোনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখে নিজেকে এন্টারটেইন করতে থাকি তাহলে আমাদের রাতের ঘুম আসতে এমনিতেই অনেক বেশি দেরি হবে। তাই ঘুমের অন্তত এক ঘন্টা আগে থেকেই আমাদের ফোন দেখা বন্ধ করা উচিত। এবং যদি সম্ভব হয় তাহলে রাতে খাবার পরে কিছু সময় হাটাহাটি করলে মন এবং শরীর দুটো একটু রিলাক্স হতে পারে।
ঘুমাতে গিয়ে আমাদের কখনোই কোনো রকম দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়। আমরা যদি ঘুমের আগে কোনরকম দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপ নিয়ে ঘুমাতে যাই তাহলে ঘুমের মধ্যে আমাদের অবচেতন মন সেই জিনিস নিয়ে ভাবতে থাকে এবং আমাদের ঘুম আসতে পারে না বরং আমরা খারাপ স্বপ্ন দেখতে পারি। যার ফলে আমাদের ঘুম পুরোই নষ্ট হয়ে যায়। আর ঘুমের দ্বারা আমরা আমাদের শরীরকে সুস্থ করতে অক্ষম হতে পারি। তাই ঘুমের আগে বা ঘুমের সময় যদি আমরা রিলাক্সিং স্লিপিং মিউজিক শুনি তাহলে আমাদের মনটা অনেক বেশি শান্ত হবে এবং আমাদের অনেক ভালো লাগবে। বর্তমানে ইউটিউবে রাত হলেই অনেক সুন্দর স্লিপিং মিউজিক শুনতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক শব্দ বা আওয়াজ যেমন বৃষ্টি পড়া, পাখি ডাকার আওয়াজ, পিয়ানো বাজানোর আওয়াজ, জলের আওয়াজ, কৃষ্ণের বাঁশির সুর, ওম নমঃ শিবায়, পাতা এবং প্রাকৃতিক অনেক আওয়াজ ইউটিউবে শুনতে পাওয়া যায়। এসব সুন্দর মিউজিকের ভিডিও গুলো অনেক আস্তে করে চালিয়ে চোখ বন্ধ করে যদি কিছু সময় শোনা যায় তাহলে দুশ্চিন্তা দূর হবে এবং মন অনেক বেশি শান্ত হয়ে যাবে।
আর তার সাথে যদি আমরা সুন্দর সুন্দর কিছু দৃশ্য কল্পনা করতে পারি তাহলে রাতে অনেক সুন্দর ঘুম আসবে এবং সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে নিজেকে অনেক ফ্রেশ অনুভব হবে। তবে এইসব মিউজিক দিনের যেকোনো সময় বা দুপুরের ভাতঘুমের সময়ও শোনা যায়। এইসব মিউজিক যখন শুনতে হবে তখন অন্য কোন দুশ্চিন্তা মূলক চিন্তাভাবনা করলে আমাদের চলবে না, রাতে ঘুমের সময় মন দিয়ে আমাদের সেই মিউজিক শুনতে হবে এবং সেই প্রাকৃতিক দৃশ্য অনুভব করতে হবে তাহলেই অনেক সুন্দর ফল পাওয়া যাবে। এছাড়াও আমরা যদি সারাদিন টুকটাক মেডিটেশন করতে থাকি তাহলেও আমরা অনেক বেশি রিলাক্স হব এবং আমাদের ঘুম অনেক সুন্দর আসবে। মিউজিক আসলে একটি থেরাপি যা একটা রাগী মস্তিষ্ককেও শান্ত করতে সক্ষম হয়ে থাকে। অর্থাৎ আমাদের প্রচন্ড রাগের মুহূর্তেও যদি আমরা সুন্দর একটি মিউজিক চালিয়ে সেদিকে মনোযোগ দিই তাহলে আমাদের রাগটাও কিন্তু খুব দ্রুত কমতে থাকে। তাই সুন্দর একটি ঘুমের জন্য আমরা এমন সুন্দর একটি মিউজিক থেরাপি ট্রাই করে দেখতে পারি। অবশ্যই সুন্দর একটি ফলাফল পাওয়া যাবে।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit