বাংলার প্রকৃতির কয়েকটি ফটোগ্রাফি।

in hive-129948 •  4 months ago 

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ২১শে মার্চ,শুক্রবার, ২০২৫খ্রিঃ



কভার ফটো


1000032897.jpg

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমার কাছে ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালো লাগে। আজ আমি আপনাদের সাথে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। বাংলার এই অপরূপ সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি করতে বরাবর পছন্দ করি। বাংলার অপূর্ব সৌন্দর্যের ব্যাখ্যা যতই করি না কেন তা কম পড়বে। আজ কিছু বাংলার সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি তুলে ধরব। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেরি না করে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসা যাক।



ফটোগ্রাফি নং-১


1000032904.jpg

ক্যাপশন: লাউয়ের ডগা।
ডিভাইস: গুগোল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া

আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে লাউয়ের ডগার ফটোগ্রাফি। এই ফটোগ্রাফিতে সন্ধ্যাবেলায় ক্যাপচার করেছিলাম। সন্ধাবেলায় মাঠ থেকে বাড়ির দিকে ফেরার সময় পথের ধারে একটি লাউ গাছ থেকে ছবিটি তুলেছিলাম। লাউয়ের এই কচি ডগা খেতে দারুন লাগে। কুমড়া বড়ি দিয়ে লাউয়ের ডগা রান্না করলে সে যেন অতুলনীয় স্বাদ। সন্ধ্যার সময় ডগাটি দেখতে বেশ চমৎকার লাগছিলো।

ফটোগ্রাফি নং-২


1000032899.jpg

ক্যাপশন: কলাগাছ।
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া


আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি তে রয়েছে কয়েকটি কলা গাছের ফটোগ্রাফি। মাঠের মধ্যে যাওয়ার সময় ছোট্ট একটা কলার গাছের বাগান। সেখান থেকে মূলত বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার। সেই মুহূর্তে কয়েকটি কলাগাছ একসাথে একটি ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

ফটোগ্রাফি নং-৩


1000032900.jpg

ক্যাপশন: সরিষা ফুল।
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া

আমার এই ফটোগ্রাফি তে রয়েছে সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি। শীতের সময় সরিষা ফুল দেখা যায়। তবে আমি শীতের শেষে বসন্তে ফটোগ্রাফিটি ক্যাপচার করেছিলাম। সরিষা গাছের দু-একটি ফুলের দেখা পাওয়া যায়। কাঁচা সরিষা মাথায় ছিল এই ছোট্ট ফুল।। সেখান থেকেই ফটোগ্রাফিটি তুলেছিলাম। বসন্তে এসেও দু-একটা সরিষা ফুল দেখতে বেশ ভালো লাগছিল।

ফটোগ্রাফি নং-৪


1000032898.jpg

ক্যাপশন: বাংলার সবুজ ক্ষেত।
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো।
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া


আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে বাংলা সবুজ প্রকৃতি বা সবুজ ক্ষেত। আমাদের দেশের এই সবুজ প্রকৃতি বারবার আমাদেরকে মুগ্ধ করে দেয়। বাংলার মাঠের মধ্যে গিয়ে খোলা আকাশের নিচে চারিদিকে সবুজের সমারোহ তার মধ্যে শ্বাস নিয়ে যেন প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। ফটোগ্রাফিতে দেখতেই পাচ্ছেন অনেকগুলো খেতে দেখা পাওয়া যাচ্ছে। এক এক জমিতে এক এক ফসল চাষ করা হয়েছে। এরকম চিত্র বাংলার মাঠে অহরহ।


ফটোগ্রাফি নং-৫


1000032902.jpg

ক্যাপশন:আমের মুকুল।
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া

এই ফটোগ্রাফি তে রয়েছে আমের মুকুলের ফটোগ্রাফি। বসন্তের সময় গাছে এই আমের মুকুলের দেখা পাওয়া যায়। এই মুকুল থেকে আস্তে আস্তে আম ধরতে শুরু করে। ফটোগ্রাফিটি বেশ কয়েকদিন আগেই করেছি। এতদিনে হয়তো এই আমের কাছে আম এসে গিয়েছে। আম্র মুকুলের গন্ধ যেন পাগল করে দেয়। বসন্তের রূপের সৌন্দর্যের মধ্যে আম্র মুকুল অনেকখানি সৌন্দর্যের অংশ।


ফটোগ্রাফি নং-৬


1000032903.jpg

ক্যাপশন:শিমুল ফুল।
ডিভাইস:গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া

আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে শিমুল ফুলের ফটোগ্রাফি। খুব ইচ্ছে ছিল বসন্তের শিমুল ফুলের ফটোগ্রাফি করব। কিন্তু অনেক খুঁজে খুঁজেও শিমুল ফুলের দেখা পেলাম না। যে কয় জায়গায় দেখেছি সেখানে গিয়ে ফটোগ্রাফি করার মত অবস্থা ছিল না। মাঠের মধ্যে থেকে একটা বাড়িতে শিমুল ফুলের গাছ দেখলাম। মাকে বললাম আমি ফটোগ্রাফি করতে চাই। মা বলল শিমুল ফুল আমাদের বাড়িতেই আছে।এসে দেখি এই অবস্থা। লম্বা গাছের মাথায় রয়েছে শিমুল ফুল। চারিদিকে মেহগুন গাছের জন্য তা দেখার উপায় নেই। তবুও কোন মত ফটোগ্রাফি করলাম।


ফটোগ্রাফি নং-৭


1000032901.jpg

ক্যাপশন: বিকেলের সূর্য।
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া

আমার সর্বশেষ ফটোগ্রাফি তে রয়েছে বিকেলে সূর্য। সূর্য পাটে যাওয়া ঠিক আগ মুহূর্তে এই ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম।বিকেলের সূর্যের রক্তিম বর্ণ দেখতে অনেক ভালো লাগে। বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে সেদিন বেশ কয়েকটি সূর্যের ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এই পড়ন্ত বিকেলে মাঠের মধ্যে বেশ ভালো লাগছিলো।
আজ এই পর্যন্তই।



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আপনার বাংলার প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আপনি ক্যামেরাবন্দি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। তবে সব থেকে বেশি মুগ্ধ হয়েছি লাউয়ের ডগার ফটোগ্রাফি দেখে। লাউয়ের ডগার যে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করা যায় এর আগে কখনো দেখিনি। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

এত সুন্দর দেখতে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি দেখে মনটা ভালো হয়ে গেল। সত্যি আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করে থাকেন। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে সব সময় দেখতে ভালো লাগে। আমার কাছে আপনার চার নাম্বার ফটোগ্রাফি সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে।

আজকে তুমি অনেকগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছ দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলেই কচি লাউয়ের ডগা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। বিকালের রক্তিম সূর্য দেখলে মুগ্ধ হয়ে যাওয়া লাগে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।