ব্যানার ক্রেডিটঃ @hafizullah
আমার বাংলা ব্লগের আয়োজন রবিবারের আড্ডার নতুন সংযোজন হচ্ছে এবিবি উন্মুক্ত আড্ডা । মূলত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকে তাদের সামনে একটা বিষয় তুলে ধরা হয়। যে সকল সদস্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেই বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী হয়, তাদের নিয়েই মূলত এই অনুষ্ঠানটা পরিচালিত করা হয়।
তাছাড়া এই অনুষ্ঠানটি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেহেতু চার-পাঁচজন অতিথি থাকে প্রথমত দুইবারে সকল অতিথির মতামত শোনা হয়, দ্বিতীয়তঃ কিছুটা বিরতি দিয়ে উপস্থিত দর্শকদের মতামত গ্রহণ করা হয় এবং নিজেদের পছন্দের গান শোনা হয়। সর্বশেষে উপস্থিত সকল দর্শক ও শ্রোতাদের জন্য থাকে শুভেচ্ছা পুরস্কার।
শৈশবে ভয় জাতীয় কোন ঘটনার অভিজ্ঞতা।
প্রথম অতিথিঃ @shahid540
ভেরিফাইড সদস্য, আমার বাংলা ব্লগ
মতামতঃ আমার গল্পটা আজকের টপিক ভিত্তিক না। তারপরেও বলার চেষ্টা করছি, কিছুদিন আগে কমিউনিটি থেকে gate.io এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু পুস কয়েন ডিপোজিট করলে, যে বোনাস পাওয়া যেত সেটাকে কেন্দ্র করে। আমি মূলত বিশ্বাস করে আমার এলাকার দুজনকে gate.io অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম ওখানকার যে ডিপোজিট এড্রেস আছে সেটা আমাকে দেওয়ার জন্য। যাতে আমি ওখানে পুস পাঠাতে পারি। ওরা আমাকে অ্যাড্রেস দিয়েছিল, তবে সেটা বার্ন অ্যাড্রেস। এভাবে আমার দশ হাজার পুস বার্ন হয়ে গিয়েছে। যা আমি আর ফেরত পাইনি। তাছাড়া ওই দুটো ছেলেকে বিশ্বাস করে, যে কি পরিমাণ কষ্ট পেয়েছি, তা বলে প্রকাশ করতে পারবো না। এরপর থেকে মানুষকে বিশ্বাস করা ছেড়ে দিয়েছি এবং অনেকটা বন্ধুহীন জীবন কাটাই আমি।
দ্বিতীয় অতিথিঃ @nazmul01
ভেরিফাইড সদস্য, আমার বাংলা ব্লগ
মতামতঃ তখন আমি ছোট ছিলাম, আর বাবা-মার সাথে থাকতাম। সেই সময়, এরকম সময়ে আমাদের বাড়িতে ধান সিদ্ধ করা হতো। যেহেতু অনেকগুলো ধন একত্রে সিদ্ধ করা হতো, তাই পুরো কাজগুলো করতে অনেক সময় লেগে যেত। বলতে গেলে একদম সন্ধ্যা থেকে কাজ শুরু হতো এবং কাজ চলতো ফজরের সময় পর্যন্ত। যেহেতু দীর্ঘ সময় কাজ চলতো, তাই আমি বাবা মাকে মাঝে মাঝে সহযোগিতা করতাম। মাঝে যখন বাবা মা বিশ্রামে যেত, তখন আমি নিজেই টুকটাক ধান সিদ্ধের কাজ করতাম। সেসময় খেয়াল করেছি, আমার আশেপাশে একটা কালো ছায়া ঘোরাঘুরি করছে, এমনিতেই অনেক রাত, তার ভিতরে এমন কালো ছায়া দেখে বেশ ভয় পেয়েছিলাম। পরে অবশ্য খেয়াল করেছি, ওটা মূলত কালো বিড়ালের ছায়া। তারপরেও বাবা মাকে বলেছিলাম বিষয়টা, তারা বলেছিল জ্বীনের আঁচড়।
তৃতীয় অতিথিঃ @ripon40
ভেরিফাইড সদস্য, আমার বাংলা ব্লগ
মতামতঃ আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে আমার বয়সের ব্যবধান খুব বেশি দিনের না,মাত্র কয়েক বছরের। ২০০৭-০৮ সালের ঘটনা, তখন আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ আসেনি। সন্ধ্যা হলেই আমরা চেরাগ জ্বালিয়ে ঘরে পড়তে বসতাম আর আমার ভাই ঘুমিয়ে যেত আমার পাশেই। আমার ভাই যেখানটাতে ঘুমাতো তার পাশেই জানালা ছিল এবং জানালার সামনেই লম্বা দুটো নারিকেল গাছ ছিল। মাঝে মাঝেই দেখতাম ও ঘুমের মাঝে কান্না করত এবং নারিকেল গাছের দিকে তাকিয়ে থাকতো। একবার গরমের দিনে, আমরা পরিবারের সবাই একত্রে বাহিরে বসে আছি, আমার ছোট ভাই দেখছিলাম ঘুমের মাঝে হেঁটে বাহিরে ঘোরাঘুরি করছিল। তখন আমার কাকা তাকে থামিয়েছিল। অবশেষে আমাদের দু'ভাইকেই কবিরাজ দেখানো হয়েছিল এবং কবিরাজ বলেছিল, আমাদের দুই ভাইয়ের উপর জ্বীনের আঁচড় আছে, তাই মাঝরাতে দুভাইকে দুধ দিয়ে গোসল করালে ঠিক হয়ে যাবে, অবশেষে তাই করা হয়েছিল এবং সঙ্গে দীর্ঘদিন তাবিজ ব্যবহার করতে হয়েছিল।
চতুর্থ অতিথিঃ @abubakar121
ভেরিফাইড সদস্য, আমার বাংলা ব্লগ
মতামতঃ এটা অনেক ছোটবেলার ঘটনা, আমি আর আমার ভাই মূলত আমার মায়ের সঙ্গে একবার, আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাহফিল দেখতে গিয়েছিলাম। যদিও সঙ্গে আমার পরিবারের অন্যান্য লোকজন ছিল, তবে বাবা যাওয়ার আগেই বলেছিল সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসার জন্য। কেননা আমার মায়ের রাশির সমস্যা ছিল। যেহেতু আমরা মাহফিল দেখতে গিয়েছি, এবং ওখানে আত্মীয়র বাড়ি ছিল, তাই ওখানে গিয়ে আমি চিতই পিঠা খেয়েছিলাম। তাছাড়া যে জায়গাটাতে মাহফিল হচ্ছিল ওখানে বটগাছ ছিল। যাক অবশেষে আমরা সন্ধ্যার পরপরই ওখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফেরত চলে এসেছিলাম, যখন আমার মা আমাদেরকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসছিল, তখন মা হঠাৎই পিছন থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়েছিল। দেখছিল দুটো পাঞ্জাবি পরিহিত বাচ্চা কান্না করছিল। আমার মা যখন তাদের প্রশ্ন করেছিল তোমরা কেন কান্না করছো, তখন তারা মুহূর্তেই গায়েব হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে আমরা যখন বাসায় ফিরে এসেছিলাম, তখন বাবাকে মা বিষয়টা জানিয়েছিল। কেননা মা মাঝরাতে এলোমেলো কথা বলছিল, অবশেষে কবিরাজ দেখানো হয়েছিল। তখন অবশ্য কিছুটা কমে ছিল। তবে পরবর্তী দিন থেকে আবারও একই সমস্যা করছিল। অবশেষে আমার বাবা আবারও বড় কবিরাজ দেখিয়েছিল, সে বলেছিল ওই বটগাছের ওখানে পাঁঠা বলি দিতে এবং হাঁড়ি ভর্তি চিতই পিঠা রেখে আসতে। কারণ আমার মাকে সাতটা জ্বীনে ধরেছিল। আমার বাবা অবশ্য কবিরাজের কথাগুলো শুনে ছিল, তারপর থেকে মা এখন কিছুটা সুস্থ।
তাৎক্ষণিক অতিথি ও শ্রোতার মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পুরস্কারের স্পন্সর কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা @rme দাদা
মূলত এভাবেই আয়োজন করা হয়েছিল এবিবি উন্মুক্ত আড্ডা। আমাদের চিন্তাধারা প্রতিনিয়তই ব্যতিক্রম, তাই সব ব্যতিক্রম চিন্তা-ভাবনা নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই প্রতিনিয়ত সামনের দিকে। আশাকরি আমাদের সঙ্গে সকলেই থাকবেন, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গতকালের রবিবারের আড্ডা টি একদম একদম ভিন্ন রকম ছিল। আসলে প্রত্যেকের শৈশব জীবনে ভয় জাতীয় ঘটনা থেকে যায়। গতকাল আমরা বেশ কয়েকজনের মাধ্যমে তাদের শৈশবের ঘটনা জানতে পেরেছি। সকলেই বেশ সাবলীল ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে বলার চেষ্টা করেছিলেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রবিবারের আড্ডায় যুক্ত হতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। প্রথমদিকে ব্যস্ত থাকার কারণে যুক্ত হতে পারেনি। সেদিন রাতে প্রচন্ড ভয় পেয়েছিলাম। তাই সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করেছি। সুন্দর করে গুছিয়ে পোস্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit