শুভ রাত্রি
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে জানাই আমার সালাম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ।
আজ শেয়ার করবো চট্রগ্রাম বাঁশখালী চা বাগান ও ইকোপার্ক ঘোরাঘুরি। বেশ কয়েকমাস আগে হঠাৎ করে আমরা একদিনের জন্য লং জার্নিতে গিয়েছিলাম। আমার ছোট ভাই আগে ট্রাভেল এজেন্সির কোম্পানিতে জব করতো। সেখান থেকে তারা প্রতিবছর কোথাও না কোথাও পিকনিক করতে যায়। এই বছর জানুয়ারিতে তারা চট্রগ্রাম বাঁশখালী চা বাগান ও ইকোপার্ক ঘোরাঘুরি এবং পিকনিক করার প্ল্যান করে। হঠাৎ করে সন্ধ্যায় আমার ভাই ফোন দিয়ে বলে চল সবাই মিলে ঘুরতে যাই। তারপর সব কথা খুলে বলে। রাত ১২ টায় গাড়ি সারারাত যাবো সারাদিন ঘুরবো এবং সন্ধ্যার দিকে আবারও গাড়িতে উঠবো।
আমরা কোন কিছু না ভেবেই এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই। যেমন নাম বাঁশখালী তেমনি সেদিন আমরা ঠিক মতোই বাঁশ খেয়েছি। এই কথার মানে আমার পোস্ট পড়লে বুঝতে পারবেন। এরপর তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে রেডি হয়ে মায়ের বাসায় চলে যাই। আমরা ছিলাম তিনজন আর মা ওরা ছিল তিনজন অর্থাৎ আমরা ৬ জন গিয়েছি। অন্যদিকে আরও অনেক মানুষ ছিল। এরপর রাত ১ টার দিকে গাড়ি ছাড়া হয়। আমরা সেদিন বাচ্চাদের কথা চিন্তা না করে এমন জার্নিতে রাজি হয়ে গেলাম। কিন্তু যখন জার্নি শুরু হলো অর্ধেক রাস্তা গিয়েছি তখন ইচ্ছে করছিল বাসায় চলে আসি। কিন্তু কোন উপায় ছিল না।
আমার ছেলে তো তাও একটু বড় কিন্তু আমার ভাইয়ার ছেলের বয়স মাত্র ছয়মাস। যাওয়ার সময় দু'জন বাচ্চাই ঘুমিয়ে ছিল। তেমন বেশি বিরক্ত করেনি। তার কারণ যাওয়ার পথে একদমই জ্যাম ছিল না। যখন রাত ৩ টা বাজে তখন এক রেস্টুরেন্টে এ গাড়ি থামানো হয় খাওয়া দাওয়া করার জন্য। রেস্টুরেন্টের ছবি দেখলে বুঝতে পারবেন কতটা ভিআইপি। কিন্তু তাদের খাবারের মান এতটাই খারাপ যা বলার বাহিরে। যেহেতু আমরা বাসা থেকে খেয়ে গিয়েছিলাম তাই হালকা কিছু খাবার অর্ডার করেছিলাম। যেহেতু আমরা পিকনিক এ গিয়েছি তাই তারা বলেছে সকালের নাস্তা আর দুপুরের খাবার তারা খাওয়াবে। বাকি যত খাবার খাবো সেগুলো নিজের পকেট থেকে যাবে। তারজন্য আমরা রেস্টুরেন্টে নিজেদের জন্য বার্গার অর্ডার করেছিলাম। প্রতি পিস বার্গার এর দাম ১৫০ টাকা ছিল। যেখানে ঢাকায় এর মূল্য ১০০ টাকা।
তারপরও খেতে হবে বলে অর্ডার করেছিলাম কিন্তু যখন খাবার মুখে দিয়েছি তখন একদম বমি চলে আসলো। আমরা পাঁচ পিস অর্ডার করেছিলাম সেদিন সবগুলো খাবার ফেলে আসতে হয়েছিল। শুধু শুধু টাকা গিয়েছে। এরপর আমরা ভোর ৭ টার দিকে বাঁশখালী পৌঁছে যাই। যেহেতু আমরা সারাদিন ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যায় আবার গাড়িতে উঠবো তাই হোটেল বাড়া করার উপায় ছিল না। আমরা যেখানে নেমেছি সেখানেই কিছু মানুষ বসবাস করতো। সবাই একেক বাড়িতে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলাম। সত্যি বলতে সেসব বাড়ির মানুষজন খুবই ভালো ছিল।
আমরা সাথে করে বাবুর্চি নিয়ে গিয়েছিলাম আর তারা সকালের রান্না শুরু করে। অন্যদিকে আমাদের বলা হয় রান্না শেষ হওয়ার আগেই যেন আমরা চা বাগান থেকে ঘুরে আসি। এরপর সবাই মিলে দলবেঁধে হেঁটে রওনা দিলাম। কারণ মেইন রাস্তা থেকে চা বাগান বেশ অনেকটা দূর আর সেদিকে কোনো গাড়ি যাতায়াত করে না। সেজন্য হেঁটেই যেতে হবে। তবে আমরা বহু কষ্টে একটা অটো পেয়েছিলাম সেজন্য বাকিরা হেঁটে গেলেও আমরা যাইনি। সেখানে গিয়ে লাল মাটির রাস্তা দেখে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। তবে প্রচন্ড রোদ ছিল বলে সেদিন চা বাগানে ঘোরাঘুরি করতে খুব কষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক পরবর্তী পর্বে চা বাগানের বাকি অংশ নিয়ে আসবো। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে। ❤️
পোস্টের বিবরণ
ডিভাইসের নাম | vivo y16 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @tanjima |
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
লোকেশন | চট্রগ্রাম বাঁশখালী |
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power



Comment link
Comment link
Comment link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit